কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানা না থাকলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি পড়ে নিন।
এই আর্টিকেলটি পড়ে নিলে আপনার কলার উপকারিতা অপকারিতা সব বিস্তারিত জানতে
পারবেন। কারণ আজকে কলা উপকারিতা অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আপনি হয়তো নিয়মিত কলা খেয়ে থাকেন কিন্তু কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা
সম্পর্কে জানেন না। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য তাহলে চলুন দেরি না করে
কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ কলা খাওয়ার যে সকল উপকারিত এবং অপকারিতা
আমরা সকলে কলা খায় কিন্তু কলার উপকারিতা সম্পর্কে কিছুই জানিনা। কলা প্রতিনিয়তই
আমরা খেয়ে থাকি কিন্তু এর উপকার সম্পর্কে আমরা জানিনা, তাই কলা খাওয়ার আগে থেকে
আমাদের কলার উপকার সম্পর্কে জানতে হবে। কলা খাওয়ার সুবিধা আপনাদের মাঝে কিছু
ধারণা নিয়ে এসেছি চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
কলা খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী কলাতে থাকা পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন
এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। কলা খেলে দ্রুত শরীরে
শক্তি বাড়ে, এবং হজম ক্ষমতা ভালো হয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এছাড়াও, কলা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
শক্তি যোগায়ঃ কলা কার্বোহাইড্রেট ও প্রাকৃতিক শর্করা ভালো উচ্চতা শরীরকে
দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে।
হজমে সহায়তা করেঃ কলাতে থাকা ফাইবার আঁশ পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে এবং
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে প্রতিরোধ করে। যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তারা যদি নিয়মিত
কলা খেতে পারেন তাহলে তাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
রক্ত নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে আপনি যদি একজন উচ্চ
রক্তচাপে রোগী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার প্রতিদিনই নিয়মিত কলা খেতে হবে যার ফলে
আপনার রক্ত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কারণ কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
পটাশিয়াম যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে করে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতেঃ কলাতে থাকা টিপটো ফ্যান ও ভিটামিন ডি ৬ মানসিক
স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আরো
অন্যান্য পুষ্টি যেগুলো আমাদের শরীরের অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেঃ এটি ত্বকের জন্য যেমনই উপকারী, তেমনি চুলের জন্য
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, চুল মজবুত করে পড়া বন্ধ করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ যদি আমাদের হজমের সমস্যা গুলো দূর হয়ে যায় তাহলে খুব
সহজে আমরা কষ্ট কাটানো সমস্যার থেকে সমাধান হতে পারব।
হৃদরোগয়ের ঝুঁকি কমাতেঃ কলার মাধ্যমে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম এ ছাড়া আরো
অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে যার মাধ্যমে আমাদের শরীরের হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে
দেয়।
কিডনি ভালো রাখেতেঃ আপনার যদি কিডনি জনিত কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনার
প্রতিদিন নিয়মিত কলা খেতে পারেন। কারণ এটি কি নির্ধারিত সমস্যা থেকে সমাধান করে
এবং সুস্থ রাখে।
শরীরের শক্তি জোগাতেঃ আপনার শরীর যদি বেশি দুর্বল হয়ে যায় তাহলে তাড়াতাড়ি
শরীরের শক্তি বাড়াতে আপনি নিয়মিত কলা খেতে পারে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেঃ কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির উপাদান
যার মাধ্যমে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে তবে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে
কার্যকারী ভূমিকা রাখে আপনি যদি নিয়মিত কলা খেয়ে থাকেন।
বিচি কলার খাওয়ার উপকারিতা
বিচি কলা খাওয়ার অনেক রকম উপকার হয়েছে, শীতলার অনেক ওষুধ ও পুষ্টিগুনে ভরপুর
এটি অত্রের আলসার নিরাময়ের সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তিনি জনিত
সমস্যা দূর করে এবং শরীরের স্বাস্থ্যকর টিস্যুর গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও বিড়ি
কলার প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে, যেমন ভিটামিন, সি, এ, বি৬,
ডি,পটাশিয়াম এবং আয়রন যা হজম শক্তি বাড়ায়, রক্তচাপে নিয়ন্ত্রণ রাখে, স্টকের
ঝুঁকি কমায়।
বিক্রি করার প্রধান উপকরণ
হজমে সহায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
কৃমি ও আনসার নিরাময়
হার ও টিস্যু গঠন
হৃদরোগের ঝুকি রাস
আয়রনের উৎস
ক্লান্তি দূর করে
হজমে সহায়ক হিসেবে বিচি কলাতে থাকা শর্করা সহজে পরিপাক হয় যা হজম সংক্রান্ত
বিভিন্ন সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়, পেট ফোলাভাব বদহজম দূর করে। ভিটামিন সি
এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি ইউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে
তোলে, এবং রোগ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রেমেতে থাকা
আলসার নিরাময় করার জন্য পত্রের আলসার নিরাময় ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে কৃমি ও
আলসার এটি কৃমি জনিত সমস্যা দূর করে এবং অত্রের আলসার নিরাময় কার্যকর হিসেবে
ভূমিকা পালন করে।
হাড় ও টিস্যু গঠন কলাতে থাকা ক্যালসিয়াম ফসফরাস এবং নাইট্রোজেন শরীরের
স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠনে সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এতে থাকা পটাশিয়াম
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, আয়রনের উৎস কলার মধ্যে রয়েছি আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন
নামক এক পদার্থ উৎপাদনে সাহায্য করে ফলের উচ্চ রক্তচাপ স্টকের ঝুঁকি কমে। আয়রনের
উৎস কলাতে থাকার কারণে আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন নামক পদার্থ উৎপাদনে সাহায্য
করে।
বিচি কলা ওষুধিগুণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম,
নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস থাকে যা শরীরের স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠনে কাজ করে, তার
শরীরের স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠন কাজ করে। কলা গাছের সব অংশের ওষুধ ব্যবহার রয়েছে।
বিশেষ করে কলা গাছের আইটা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অনেক
পুষ্টির গুণে ভরপুর। ফুল বঙকাইটিস, আমাশায়, এবং আলসার রান্না করা ফুল ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
চাপা কলা খাওয়ার উপকারিতা
চাপা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক,চাপা
কলা পুষ্টি বনের ভরপুর একটি ফল যা দ্রুত শক্তি যোগায়, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে,
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। চাপা
কলা খাওয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে জেনে নিনঃ
কলা হলো একটি পুষ্টিকর ফল কলা খেলে অনেক উপকার হয়। যাদের হার্টের সমস্যা
রয়েছে সাধারণত তারা যদি প্রতিদিন কলা খেতে পারেন তাহলে হার্টের সমস্যা থেকে
মুক্তি পাবেন এটি তাদের হৃদরোগের সমস্যা সমাধানে কার্যকারী ভূমিকা রাখে।
আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত কলা খেতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিসের সমস্যা
নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রতিদিনই নিয়মিত কলা খাওয়া
উচিত।
যাদের এলাজি জনিত সমস্যা রয়েছে সাধারণত তারা যদি নিয়মিত কলা খেতে পারে
তাহলে তাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে এলার্জি সমস্যা দূর করার
জন্য কলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যেগুলো খেলে আমাদের শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরের শক্তি যোগায় শুক্রাণু বৃদ্ধি করে। আমরা
যদি প্রতিদিন কলা খেতে পারি তাহলে আমাদের শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে।
আপনারা অনেক খাবার খান যেগুলো খাবার খেলে হজ্জনক শক্তিতে সমস্যা হয় তার জন্য
চাপা কলা খেলে এগুলো সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন।
সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা
সবচেয়ে পুষ্টিকর কলা হিসেবে ছবি কলাকে বলা হয়। পুষ্টিবিদ্যা বলে আরো অনেক কলা
আছে এর মধ্যে প্রধানত লাল কলা আকারের ছোট ঘন। এতে থাকা ভিটামিন সি ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা বেশি। লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকার ডায়াবেটিস
রোগীদের জন্য এটি ভাল। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে খাবারের মাঝে বা না খোঁজ হিসেবে লাল
কলা খাওয়া উচিত আর হলুদ গলা প্রধান খাবারের পর।
সবরি কলা সম্পর্কে এর আগেও আমরা অনেক কিছুই জেনেছি। তবে এখন বেশ কিছু জানার
বিষয় রয়েছে সবই কলা পরিচিত আমাদের মাঝে একটি কলা এর গুনাগুন অনেক বেশি। ছবি
কলা সাধারণত আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকার হয়ে থাকে। সবরি করলা
খেলে আরো অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সেগুলো আমরা উপরে লাইন থেকে আমরা
জেনেছি।
ছবি তোলা হজমের সমস্যা দূর করতে পারে আমাদের প্রতিদিন যে রোগ গুলা হয়ে থাকে
সেগুলো থেকে রক্ষা করি। সবরি কলাতে ফাঁকা ভিটামিন এর সাহায্যে রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যদি আপনি প্রতিনিয়ত কলা খেতে পারেন তাহলে আপনার
শরীরে এক বিশেষ ধরনের শক্তি উৎপন্ন হবে।
এই কলা খেলে আমাদের কিডনি ভালো থাকে এছাড়া আরো অনেক উপকার হয়ে থাকে সকল উপকার
পেতে এই কলা খেতে পারেন।
দুধ ও কলা একসাথে খেলে কি হয়
এখন পর্যন্ত আমরা অনেকেই জানি না দুধ ও কলা একসাথে খেলে কি হয়। অনেক মানুষই
আছে যারা দুধ ও গলা দিয়ে মুড়ি খায় এবং রুটি খায়। আমরা জানি কলার মধ্যে
প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির উপাদান আছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি।
দুধ ও কলা একসাথে খেলে সাধারণত এটি শরীরের জন্য উপকারী কারণ দুধ ক্যালসিয়াম ও
প্রোটিন এবং কলা ভিটামিন ও প্রোটিন সরবরাহ করে যা হজম শক্তি উন্নত করে ও শক্তি
যোগায়।
তবে কিছু লোকের ক্ষেত্রে এটি বদহজম বা গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে, কারণ দুধের
প্রোটিন কলার ভারী প্রকৃতিক এর সাথে মিশে হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে তোলে। দুধ ও
কলাতে কিছু উপকারিতা রয়েছে তা নিচে দেওয়া হলঃ
পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে
হজমশক্তি উন্নত করে
হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে
মাংসপেশী গঠন করে
তবে দুধ ও কলা খেলে কিছু সমস্যা হতে পারে যাদের ল্যাকটোজ অস্থিরতা রয়েছে বা
যারা দুর্গন্ধ জাট খাবার হজম করতে পারে না, তাদের ক্ষেত্রে দুধ ও কলার মিশ্রণ
খেলে গ্যাস পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়ার মত কিছু সমস্যা হতে পারে। কিছু
বিশেষজ্ঞদের মতে দুধ এবং কলা একসঙ্গে খেলে তার শরীরে টক্সিন বিষাক্ত পদার্থ
তৈরি করতে পারে।
আপনি যদি ব্যায়াম করেন সে ব্যায়াম করার ফলে শক্তি কমে যায় সেই শক্তি আবার
পুনরায় ফিরে পেতে কলা খেলে তা বিধি পায় তাই এটি একটি ভালো খাবার। ওজন
বাড়ানোর জন্য দুধ কলা শেক তৈরি করে খেলে তার শরীরের জন্য খুবই উপকার। যদি দুধ
ও কলা একসঙ্গে খেলে আপনার কোন অসন্তি না হয় তবে আপনি এটি গ্রহণ করতে পারেন।
রাতে ঘুমানোর আগে কলা খেলে কি হয়
বর্তমানে আমরা জানি রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা চাইতে অপকারিতা অনেক বেশি। এই
বিষয়টি কতটুকু সত্যতা আমরা কেউ জানিনা, অনেক সময় সকালে সময় না পাওয়ার কারণে
রাতের বেলা আমরা কলা খেয়ে থাকি। বেশিরভাগই মানুষ রাতে কলা খায় আগেকার বৃদ্ধ
লোকেরা বলে রাতের বেলা কলা খাওয়া উচিত নয় তাহলে চলুন এই কথাটি কতটুকু সত্য তা
জেনে নেওয়া যাক।
রাতে ঘুমানোর আগে কলা খেলে সাধারণত উপকারী হয়, যেমন ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে,
কারণ এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম বেশি শিথিল করে এবং কার্বোহাইড্রেট
প্রাকৃতিক ঘুমের মতো কাজ করে। এছাড়াও কলা পেশির টান কমাতে শক্তি জোগাতে এবং
হজম প্রক্রিয়া কি সাহায্য করতে পারে। তবে যদি আপনার ঠান্ডা লাগে বা শরীরে কব
জমতে থাকে তবে কলা না খাওয়াই উত্তম।
ভালো ঘুমের জন্য কলাতে থাকা পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম বেশি এবং স্নায়ুকে শিথিল
করে যা দ্রুত ঘুমাতে আপনাকে সাহায্য করে। পেশি টান কমে যাওয়ার জন্য আপনার কলার
পটাশিয়াম পেশিতে আরাম এনে দেয় যা পেশি টান কমাতে সাহায্য করে। আপনার
শরীরের শক্তি জোগাতে কলা প্রাকৃতিক শর্করা ও হাইড্রোকার্বোডের ভালো উচ্চ যা
শরীরের শক্তি যোগায়।
কলার উপকার হজম সহায়তা করে কলা ফাইবার সমৃদ্ধ হজম প্রক্রিয়াকে সুস্থ সবল
রাখতে সাহায্য করে। কলায় থাকা প্রাকৃতিক শর্করা রক্তের শতকরা মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সাধারণত অনিন্দার সমস্যা থাকলে বা ক্লান্তিকর সমস্যা
থাকলে দিনের পর রাতে একটি কলা খাওয়া উপকার আপনার জন্য হতে পারে।
পাকা কলা খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে
আমরা হয়তো অনেকেই জানি না শেখ পাকা কলা খেলে কি ডায়াবেটিকস বাড়ে, এ সম্পর্কে
আমরা এখন বিস্তারিত জানবো। পাকা কলা খেলে ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তের শর্করার
পরিমাণ বাড়তে পারে, কারণ কলায় থাকা গ্লুকোজ ও প্রকোটোজের মতো প্রাকৃতিক
শর্করা থাকে যার রক্তে শর্করাকে বাড়িয়ে দেয়। তবে ডায়াবেটিকস রোগীরা পরিমাণ
মতো এবং সঠিক সময় কলা খেলে তা ক্ষতিকর নাও হতে পারে।
ডায়াবেটিসের কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে, পাকা কলায়
থাকা প্রাকৃতিক শ্রেণীর রক্তে শর্করা মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাই
ডায়াবেটিস রোগীদের এটি এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কলার মধ্যে থাকার কারণে রক্তের শর্করার মাত্রা
বাড়াতে পার্ তাই যারা সুগারের আক্রান্ত তাদের এই বিষয়টি মনে রাখা উচিত।
ডায়েটিশিয়ান এর পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত তাদের ডা য়েট
কলা যোগ করার আগে একজন ডায়েটিশিয়ান বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কারণ কলার পরিমাণ এবং খাওয়ার সঠিক সময় নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে।
অন্যান্য ফল হিসেবে আপেল, বেদেনা, আঙ্গুর এবং ব্লুবেরি মতো অন্যান্য ফল
ডায়াবেটিস রোগের জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে, কারণ এগুলোতে ফাইটো কেমিক্যাল
এবং ফাইবার বেশি থাকে যার রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য
করে।
কলা খেলে কি শুক্রাণু বাড়ে
আমরা প্রায় সবাই জানি যে কলা খেলে শুক্রানু বাড়ে, তবে এর আসল রহস্য আমরা এখন
জানবো। কলা খেলে শুক্রানুর সংখ্যা ও গতিশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে, কারণ
এতে ভিটামিন বি১, এবং সি ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা শুক্রানু উৎপাদনের সাহায্য
করে এবং প্রমিলেই নামক এনজাইম শুক্রানুর গতিশীলতা বাড়ায়। কলা কেন উপকারী এ
সম্পর্কে নিজে আলোচনা করা হলোঃ
ভিটামিন ও খনিস পদার্থ কলায় থাকা ভিটামিন বি১, সি এবং ম্যাগনেশিয়াম
শুক্রাণ তৈরি ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রোমেলাইন এনজাইম কলার মধ্যে থাকার কারণে এটি বিরল এনজাইম শুক্রাণু
সংখ্যা এবং গতিশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য শুক্রাণু বাড়াতে কেবল কলা নয় একটি সামগ্রিক
স্বাস্থ্যকর খাদ্য প্রয়োজন যা দস্তা, ভিটামিন বি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি
অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করে।
জীবন যাপনের জন্য মানসিক চাপ কমানো নিয়মিত ব্যায়াম করা পর্যাপ্ত ঘুম এবং
ক্ষতিকারক পদার্থ এড়িয়ে চলা ও শুক্রাণু স্বাস্থ্যের জন্য জরুরী।
কলায় প্রচুর পরিমাণে আছে ভিটামিন এ, বি১ এবং সি যা আপনার শরীরকে সুস্থ
শুক্রাণু কোষ তৈরিতে সাহায্য করে এবং শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায়। কলায় থাকা
ম্যাগনেসিয়াম শুক্রানুর গতি শীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
আমরা অনেকে জানি মহিলাদের গর্ভ অবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। কারণ
কলাতে থাকা ভিটামিন বাচ্চাদের সব পুষ্টির উপকরণ হিসেবে তৈরি করে। গর্ভাবস্থায়
কলা খাওয়া মায়ের স্বাস্থ্য ও শিশু সুস্থ বিকাশের জন্য উপকারী, কারণ এটি
পটাশিয়াম সরবরাহ করে যা স্নায়ু ও মাংসপেশীর কার্যকারিতা বজায় রাখ্ এবং
ফাইবারে ভরপুর হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে যা গর্ভবতী অবস্থায় একটি
সাধারণ সমস্যা।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধঃ কলা পটাশিয়াম চমৎকার উচ্চতা শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায়
রাখে এবং স্নায়ু ও মাংসপেশী সঠিক কার্যকারিতা হিসেবে পরিচিত যা
গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজম
প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং গর্ব অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
শরীরের শক্তি সরবরাহ করতে গলায় কার্বোহাইড্রেট এবং প্রাকৃতিক চিনির একটি
ভালো উৎসব, যা গর্ভবতী মা ও শিশুকে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে তোলে।
ইলেকট্রোলাইসের ভারসাম্য রক্ষা করতে পটাশিয়াম সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স
লাইসেন্স এর ভারসাম্য রক্ষা কলা সাহায্য করে, তা মায়ের শারীরিক স্বাভাবিক
কার্যক্রমে সহায়তা করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজম
প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং গর্ভাবস্থায় হওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
গর্ভাবস্থা কলার পাশাপাশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল সেবন করতে হবে যেমন কমলা,
লেবু স্ট্রবেরি এবং বকলি খাওয়া উচিত, যা শিশুর হাড়, দাঁত এবং চোখের বিকাশে
সাহায্য করে। এছাড়াও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন সবুজ শাকসবজি, মসুর ডাল এবং
মাংস মায়ের শরীরে আরো রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে যা মা ও শিশু উভয়ের জন্য
খুবই প্রয়োজন।
সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিদিন সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু অন্যান্য সময়
কলা খেয়ে যত না উপকার হয় তার থেকে বেশি নিয়মিত সকালে কলা খেলে তার থেকে বেশি
উপকার হয়। শুধু কলা না সকালে যে কোন ফল খেলেই অনেক উপকার পাওয়া যায়, তাই যদি
আমরা সকালে ফল খেতে পারি তাহলে এর থেকে অনেক গুনাগুন আমরা পাব।
আপনি যদি একজন শারীরিক পরিশ্রম মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার অবশ্যই প্রতিদিন
সকালে কলা খেতে হবে। কারণ সকালে কলা খেলে আমাদের কাজ করা শক্তি যোগায়। এর
সঙ্গে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, আবার একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে
হবে খালি পেটে কলা খাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি খালি পেটে কয়েকটি পোলা একসাথেই
খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম আপনার পেট খারাপ করে
দেবে যার ফলে আপনি অসুস্থতায় ভুগবেন।
সকালে কলা খেলে এটি শরীরের জন্য শক্তি যোগায় উন্নতি করে জীব যন্ত্রে সুস্থ
রাখে এবং পটাশিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। এতে থাকা ফাইবার
দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে যা ওজন নিয়ন্ত্রণ সহায়ক হতে পারে।
আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন সকালে উঠে কলা খাওয়ার অভ্যাস
তৈরি করুন। যদি আপনি এই কলা খাওয়ার অভ্যাসটি দীর্ঘদিন চালু রাখতে পারেন তাহলে
আপনার শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমাতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও যাদের
ডায়াবেটিক্স রয়েছে তাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার হল কলা। তবে
অতিরিক্ত কলা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়, এটি শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকারক হয়ে
উঠবে।
রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা
সাধারণত রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতার চাইতে অপকারিতা বেশি অনেকেই বলে থাকে। তবে
এই বিষয়টি কতটুকু সত্য তা আমরা কেউ জানিনা অনেক সময় সকালে সময় না পাওয়ার
কারণে রাতের বেলা আমরা কলা খাওয়া। যেহেতু কথায় আছে রাতে কলা খাওয়া উচিত নয়
কথাটি কতটুকু সত্যতা জেনে নেওয়া যাক।
রাতে কলা খাওয়া ভালো মানুষের ঘুমের জন্য উপকারী, কারণ এতে ঢাকা পটাশিয়াম
পেশির শিথিল করে এবং ম্যাগনেসিয়াম মানসিক চাপও উদ্বেগ কমায়। এটি শরীরকে শান্ত
করে বেশি টান কমাতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগে আক্রান্ত
ব্যক্তিদের জন্য রাতে কলা খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে।
কলায় থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম বেশি শিথিল করে এবং শরীরের শক্তি যোগায়
যা ভাল ঘুমের জন্য সহায়ক। কলাতে থাকা পটাশিয়াম বেশি টান বা স্ক্যাম্পক কমাতে
সাহায্য করে, ফলে রাতে বেশি শিথিল থাকে। মানসিক চাপও উদ্বেগ গো হ্রাস পেতে
ম্যাগনেসিয়াম মানসিক চাপ এবং উদ্যোগ কমাতে সহায়ক যা রাতে ভালো ঘুমাতে সাহায্য
করে।
গলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির উপাদান যা আপনি যদি রাতে খেয়ে থাকেন
তাহলে এটি আপনার ঘুম ভালো হতে সাহায্য করবে। রাতে অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খাওয়া
উচিত না। এছাড়া কলার মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম যেগুলো আমাদের
বেশি টান সমস্যা দূর করে। আপনি যদি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন একটি করে
কলা খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার রক্ত থাকা শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এছাড়াও কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরমাণু কার্বোহাইড্রেট সাধারণত একটি রাতে
ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাওয়া উচিত তবে করাতে প্রাকৃতিক শর্গরা থাকার কারণে রাতে
রক্তে শতকরা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে যার ফলে আপনার শরীর সতেজ ও সুস্থ অনুভব
তৈরি করে।
কলার মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ
কলার মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই ইতিমধ্যে জেনেছি তবে কলার
মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ কোনগুলো আছেই চলুন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। যেহেতু
আমরা জেনেছি কলার মধ্যে সম্পন্ন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর তাই এটি আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটা উপকারী। কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি,
পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার,ফাইবার, প্রোটিন এবং ফ্যাট।
এছাড়াও কলার ভিটামিনের আরো অনেক উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরে অনেক ঘাটতি
পূরণ করে।
কলা খাওয়ার অপকারিতা
এতক্ষন আমরা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি এখন আমরা কলা খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে জানব। কলাও অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধি ও রক্তের
শর্করা মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। মাইগ্রেন রোগের কলা এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়াও
কিডনি রোগের উচ্চ পটাশিয়ামের কারণে কলা না খাওয়াই ভালো। কলা খাওয়ার পর পানি
পান করলে গ্যাস ও পেট ফোলা সহ হজমের অনেক সমস্যা হতে পারে।
যদি আপনি ওজনে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খাওয়া
ছেড়ে দিন। অতিরিক্ত কলা খেলে আপনার ওজন আরো বেড়ে যেতে পারে
আপনি যদি ঠান্ডা জড়িত কোন সমস্যায় ভুবেন তাহলে কলা খাওয়া আপনার পক্ষে
ঠিক হবে না। এই সময় কলা খেলে ঠান্ডা জনিত সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। আর
অতিরিক্ত কলা খেলে ঠান্ডা লাগর পরিমাণ আরো বেড়ে যেতে পারে।
যাদের রাতে ঘুম জড়িত অনেক সমস্যা তাদের সাধারণত রাতের বেলা কলা খাওয়া
উচিত নয় দিনের বেলা অতিরিক্ত কলা খাওয়া যাবেনা অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়াই
ঠিক নয় শরীরের জন্য।
আপনাদের যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তারা কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন, কারণ
কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সুগার এবং কার্বোহাইড্রেট যার যার ফলে
দাঁতের সমস্যা এবং ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।
গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে দুধ ও কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আপনাদের মধ্যে যাদের ওজন বেশি, যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করতেছে তাদের জন্য
কলা খাওয়া উচিত নয়।
মাইগ্রেন আক্রান্ত ব্যক্তিদের কলা খাওয়া উচিত নয়।
কিডনি রোগের আক্রান্ত ব্যক্তিরা, কারণ কলা পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে।
কলা খাওয়ার নিয়ম
কলা খাওয়ার কিছু নিয়ম আমরা আগে থেকেই জানি। এখন আমরা কলা খাওয়ার সম্পর্কে
সঠিক নিয়ম জানবো। আপনি যদি কলা খাওয়ার পরে এর উপকারিতা গুলো সঠিকভাবে জানেন
তাহলে আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে কলা খাওয়ার নিয়ম জানতে হবে। আমাদের স্বাস্থ্যের
জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফল হল কলা। এই কলা খাওয়ার নিয়ম আমাদের মেনে চললে
আরো পুষ্টি বলে ভরপুর হতে পারব।
কলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো এটিকে খাবারের পরে অথবা অন্য কোন খাবারের সাথে
মিশিয়ে খাওয়া যেমন চিরা, মরি ইত্যাদি। খালি পেটে কলা না খাওয়াই ভালো, কারণ
এতে থাকা উপাদানগুলো হজম প্রক্রিয়াকে ভারসাম্য হারাতে পারে। নাস্তা হিসেবে
বিকেলের দিকে বা খেলার আগে পরে কলা খাওয়া যেতে পারে, জাদু তো শক্তি যোগায়।
তবে বেশি থেকে পেকে যাওয়া অতিরিক্ত মিষ্টি কলা খেলে রক্তের শর্করা পরিমাণ
বেড়ে যেতে পারে।
বর্তমানে আমার দের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা সকালবেলার কলা খেতে বেশি পছন্দ
করে। কিন্তু প্রতিদিন সকালবেলায় কলা খাওয়া উচিত নয় এই অভ্যাস আমাদের বদলাতে
হবে। আবার অনেকেই আছে যারা রাতের বেলায় অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খায় এই অভ্যাসও
বাদ দিতে হবে কারণ রাতের বেলা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খায় তাহলে স্বাস্থ্যের
জন্য অনেক ক্ষতিকর হবে।
শেষ কথাঃ কলা খাওয়ার যে সকল উপকারিত এবং অপকারিতা
ইতিমধ্যে আমরা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
পড়েছি। এখন আপনি যদি প্রতিনিয়ত কলা খেয়ে থাকেন এবং অতিরিক্ত পরিমাণে কলা
পছন্দ করেন তাহলে আপনাকে এ নিয়ম মেনে কলা খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।
এতক্ষণ কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি
অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে ভালো
একটি কমেন্ট করুন, আর আপনাদের বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করে দিন। যার
ফলে আপনার বন্ধুরাও এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হতে পারে। এতক্ষণ ধরে এই পোস্টটি
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, পরবর্তী আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে স্বাগতম
এতক্ষণে সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন, আসসালামু আলাইকুম।
নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url