আনারস খাওয়ার ২০টি উপকারিতা -আনারসের পুষ্টিগুণ সর্বশেষ আপডেট

 

আনারস মানবদেহের জন্য খুবই উপারকারী একটি ফল। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ও ফসফরাস। এসব উপাদান আমাদের দেহের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী হিসেবে কাজ করে।

আনারস-খাওয়ার-১০টি-উপকারিতা -আনারস-খাওয়ার-৫টি-অপকারিতা

আপনারা অনেকেই মনে করেন আনারস আর দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে। তবে এই ধারণাটি ভুল। তাহলে আসুন আনারস খাওয়ার ২০টি উপকারিতা - আনারসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

পোস্ট সূচিপত্রঃআনারস খাওয়ার ২০টি উপকারিতা - আনারসের পুষ্টিগুণ 

আনারস খাওয়ার ২০টি উপকারিতা

আনারসের ভিটামিন সি ফাইবার এবং ব্রোমেলিন থাকে। যা হজমে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, বি, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, এবং আয়রন সহ বিভিন্ন খনিজ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। আনারসে খেলে অনেক ভিটামিন পাওয়া যায়। যা শরীরের জন্য অনেক কার্যকারী। আনারস আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আনারসে রয়েছে প্রচুর ফাইবার এবং অনেক কম ফ্যাট রয়েছে।

আনারস খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং ত্বক ভালো থাকে আনারস শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে।

আনারস খাওয়ার ২০টি উপকারিতাঃ

  1. হজমে সহায়তা করে
  2. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  3. ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
  4. ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে
  5. পুষ্টি গুনে ভরপুর
  6. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখে
  7. চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
  8.  স্কিফিকেশন করতে সাহায্য করে
আনারসের থাকা প্রিমিলিন নামক এনজাইম হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং বদহজম ও গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি-এর ভালো উচ্চ হওয়ার আনারস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আনারস ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের নানা রকম সমস্যা থেকে মুক্তি করে। আনারসে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি বাধক বৈশিষ্ট্য থাকার জন্য ওজন কমাতে সাহায্য করে।


আনারসে রয়েছে ভিটামিন এ, সি,পটাশিয়াম, আয়রন ভিটামিন বি, টি ও ফাইবার সহ অনেক প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান যার শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। নিউট্রিশন এন্ড মেটাবলিজম এ প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী আনারস খেলে কোলেস্টোরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আনারসে থাকা বেটা কেরোটিন ম্যাকুলার বিগ্রেশন থেকে রক্ষা করে যা চোখের রেটিনা নষ্ট হওয়ার একটি রোগ সেই রোগ থেকে রক্ষা করে।

আনারস খাওয়ার অপকারিতা

আনারস খাওয়ার কিছু অপকারিতা রয়েছে, বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিকস আছে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি পরিমাণ বেশি থাকে। আনারস এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে যেমন ঠোঁট ফোলা ও গলা চুলকানো। গর্ভ অবস্থায় আনারস খাওয়া ঠিক নয়, কারণ আনারসে গর্ভপাতের যোগী বাড়াতে পারে। এছাড়াও, আনারসে থাকা এসিডের কারণে বুক জ্বালাপোড়া এসিডিটি বা হজমে সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে খালি পেটে আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আনারসে খাওয়ার পর দুধ বা দুধ-জাত খাবার খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে হজমের সমস্যা পেট ফাঁপা, বদহজম হতে পারে।

আনারস খাওয়ার কিছু অপকারিতাঃ
  1. এলার্জি ঝুঁকি
  2. ডায়াবেটিস ও রক্তের চিনি বৃদ্ধি
  3. গর্ভাবস্থায় ঝুঁকি
  4. হজমে সমস্যা
  5. খালি পেটে খাওয়া বিপদজনক
  6. দুধের সঙ্গে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আনারস কিছু মানুষের জন্য এলার্জিক সৃষ্টি করতে পারে যা চুলকানি ফুসকুড়ি ঠোঁট ফোলা এবং গলা সুরসুরি বা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। ডায়াবেটিসের আনারসে থাকা প্রাকৃতিক সিড়ির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ক্ষতিকর এবং রক্তের চীনের মাত্রা বাড়ি তোলে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আনারসে খাওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত কারণ এটি গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

যাদের হজম ক্ষমতা দুর্বল তারা আনারস খেলে অনেক সময় এসিডিটি গলা বুক পেট জ্বালা ইত্যাদি হতে পারে। জিম মায়েরা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের আনারস খাওয়া একেবারে উচিত নয়। কারণ রসালো আনারসে মিষ্টি পরিমাণ এতটাই বেশি থাকে যে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুবই আনারস খুবই বিপদজনক হয়ে ওঠে। তাই আনারস খাওয়ার আগে অবশ্যই এগুলো নিয়ম মেনে চলবেন।

আনারস খাওয়ার নিয়ম

আনারস খাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম আছে সেগুলো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক, আনারস একটি পুষ্টিকর ফল যা সকালবেলা খালি পেটে অথবা নাস্তার পরে খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে খালি পেটে খেলে এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। সেই কারণে আনারস খাওয়ার সময় এটি পাকা তাজা এবং টাটকা দেখে খান। আনারসের সাথে দুধ বা উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারের যেমন মাছ বা মাংস খাওয়ার পর অত্যন্ত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।

আনারস খাওয়ার কিছু নিয়মঃ

১. সকালে খালি পেটে নাস্তার পর

২. হজম ও পুষ্টির ভারসাম্য

৩. সঠিক ফল নির্বাচন

৪. সঠিক পরিমাণের গ্রহণ

৫. গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের ক্ষেত্রে

৬. অন্যান্য উপাদানের সাথে
আনারস-খাওয়ার-১০টি-উপকারিতা -আনারস-খাওয়ার-৫টি-অপকারিতা
সকালে খালি আনারস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তাই চেষ্টা করবেন সকালে খালি পেটে নাস্তা পর আনারস খাওয়ার। নাস্তার পর ফল হিসেবেও আনারস খাওয়া যেতে পারে হজম ও পুষ্টির ভারসাম্য আনারসের সাথে ডিম মাছ বা মাংসের মতো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে হজম সমস্যা হতে পারে। তাই অবশ্যই আনারস খাওয়ার পর অত্যন্ত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।

সব সময় পাকা টাটকা ও ভালো মানের আনারস খাওয়ার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত আনারস খেলে অম্বল বা পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে তাই অতিরিক্ত আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আনারস কি সালাতে ব্যবহার করা বা এর জুস পান করাও স্বাস্থ্যকর। আনারসের জুস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায় আপনারা যদি আনারসের জুস খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকৃত হতে পারবেন।

আনারস খাওয়ার কিছু ভুল ধারণাঃ

আনারস ও দুধ একসাথে বা পর পর খেলে মারাত্মক ক্ষতি হয় এমন ধারণা টি সম্পূর্ণ ভুল। আনারস দুধ একসাথে খেলেও কোনরকম বিষক্রিয়া হবে না। তবে আনারস খাওয়ার পর উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করা থেকে একটু বিরত থাকুন। তাহলে আপনি সুস্থ ও সবল থাকতে পারবেন।

আনারস খাওয়ার পরে কি খাওয়া উচিত নয়

আনারস খাওয়ার পর কি কি খাওয়া উচিত নয় চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই। আনারস খাওয়ার পর দুধ ও দুধ চাট খাবার যেমনঃ দই, ছানা পনির এবং অতিরিক্ত টক জাতীয় খাবার যেমনঃ তেতুল খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকা উচিত। কারণ এগুলো খেলে আপনার পেটে সমস্যা হতে পারে। কারণ আনারসে থাকা এসিডিটি ওমেইলীন নামক এনজাইম দুধের প্রোটিন এর সাথে বিক্রিয়া করতে পারে। এবং ওজনের সমস্যা গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি হতে পারে।

এইগুলো খাবার এড়ানো উচিত দুধ ও দুধজাত খাবার আনারস সে থাকা ব্রোমেলেইনএনজাইম প্রোটিন হজমে সাহায্য করে। এটি দুধের প্রোটিনের সাথে মিশে গেলে হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে যা ডায়রিয়া বা গ্যাস্ট্রিকের কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত টক জাতীয় খাবার খেলে আনারসে নিজেই একটি অশ্লীল ফল। আনারস খাওয়ার ফলে তেতুলের মত অতিরিক্ত টক খাবার পাকস্থলীতে গিয়ে অশ্লীলতা হয়ে যেতে পারে যা এসিডিটি বুক জ্বালাপোড়া বা পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।


হজম ক্ষমতা দুর্বল যাদের তারা অবশ্যই আনারস খাওয়ার পর দুধ খেলে বা হজমে সমস্যা হয় এমন খাবার খেলে পেটে গ্যাস বা এসিডিটির মতো সমস্যা হতে পারে। সাধারণভাবে যদি আপনার হজম শক্তি ভালো থাকে এবং আপনি অ্যালার্জিতে আক্রান্ত না হোন, তবে মাঝেমধ্যে অল্প পরিমাণে আনারস ও দুধ একসাথে খেলে সরাসরি বড় কোন ক্ষতি হবে না। নিয়মিত বা অতিরিক্ত পরিমাণে এই ধরনের খাবার একসাথে খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। 

বেশি আনারস খেলে কি হয়

আনারস বেশি খাওয়ার ফলে আপনাদের অনেক সমস্যা হতে পারে। বেশি আনারস খেলে ওজন বাড়তে পারে কারণ এতে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। যাদের এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের আনারস থেকে বুক জ্বালাপোড়া বাপের থাপার মত সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত আনারস খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি আনারসে উচ্চ পরিমাণে ক্যালরি কার্বোহাইড্রেট থাকে তাই বেশি খেলে ওজন বাড়ে। এসিডিটি ও বুক জ্বালা যাদের অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্টিকের সমস্যা আছে তারা বেশি আনারস খেলে বুক জ্বালাপোড়া এবং পেট ফাঁপা করতে পারেন।

আনারসের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে ডায়াবেটিসের জন্য এটি খুবই বিপদজনক ও ক্ষতিকর হতে পারে। হজমের সমস্যা হলে ড্রোমেলিং নামক এনজাইমের থাকা কারণে যাদের সিরিলিয়া রোগ বা হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের আনারস খেলে পেট খোলা বা পেট ব্যথা অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছু মানুষের আনারস খাওয়ার ফলে অ্যালার্জি হতে পারে যার ফলে ঠোঁট ফুলে যাওয়া গলা চুলকানোর মতো উপসর্গ হতে পারে।

আনারস খাওয়ার সময় আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে যে কোন ফলেই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। বেশি খেলে যে কোন জিনিসই বেশি খান না কেন তাতে ক্ষতি হবেই। যারা কোনো নির্দিষ্ট রোগে ভুগছেন তারা অবশ্যই ডাক্তারে পরামর্শ নেওয়া উচত। কারণ আনারস খাওয়ার ফলে অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে সব সময় পাকা ও টাটকা আনারস খাওয়ার চেষ্টা করবেন ।

আনারস খেলে কি গ্যাস হয়

এখন আমরা আনারস খেলে কি গ্যাস হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। সাধারণত আনারস খেলে কোন গ্যাসের সমস্যা হয় না। বড় আনারসে থাকা ফাইবার ও এনজাইম অসমে সাহায্য করে এবং গ্যাসের কারণ হওয়া অপার্য খাবার কি ভাঙতে সাহায্য করে। তবে যাদের আলসার গ্যাস্ট্রিক বা পাকস্থলীর সংবেদনশীলতা আছে, তাদের জন্য আনারস খেলে এসিডিটি বা অনেক সমস্যা হতে পারে যা গ্যাসের মত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

আনারস খেলে গ্যাস না হওয়ার কারণঃ
  1. উচ্চ ফাইবার উপাদান
  2. প্রাকৃতিক এনজাইম
কখন আনারস খেলে গ্যাস বা অন্যান্য সমস্যা হতে পারেঃ
গ্যাস্ট্রিক বা আলসার যাদের গ্যাস্ট্রিক বা আলসার সমস্যা আছে তারা খালি পেটে আনারস খেলে এসিডিটি বা অনেক সমস্যা হতে পারে। তারা অবশ্যই খালি পেটে আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হজমে ব্যাঘাত ঘটে তাই আনারস অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। সংবেদনশীলতা কিছু মানুষের ক্ষেত্রে আনারস ভালো আবার কিছু মানুষের ক্ষেত্রে আনারস খুবই বিপদজনক।

সতর্কতা, আপনি যদি আনারস খাওয়ার পর গ্যাস এসিডিটি বা অন্য কোন সমস্যা সম্মুখীন হন তাহলে আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেই। তার মাধ্যমে আপনি সঠিক পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন।

গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে মায়েদের কি হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো, 
বিজ্ঞান বলেন চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী আনারস সম্বন্ধে এই ধারণা একই বাড়ি যুক্তি যুক্ত নয়। তাই পরিমিত মাত্রা আনারস খেলে গর্ভ সন্তানদের কোন ক্ষতি হয় না। যার ফলে অনেকেই বলে থাকেন যে হবু মা যদি একটা গোটা আনারস একবার খেয়ে ফেলেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে প্রসব বেদনা শুরু হয়ে ওঠে,এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল।

গর্ভাবস্থায় আনারস পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে, তবে কিছু কাঁচা আনারসে থাকা বমিইলাম নামকিনজাইনের কারণে গর্ভপাত বা অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে মনে করা যায়। তাই গর্ভধারণের প্রথম দিকে আনারস খাওয়া থেকে অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে এবং পুরো গর্ভাবস্থাতেই পরিণত পরিমাণে পাক আনারস খাওয়া উচিত যার ফলে অনেক পুষ্টি গুণে ভরপুর করে।

যদি গর্ভবতী মায়েদের বউ মেয়ে থাকে তার গর্ভপাত বা অকাল প্রসবের কারণ হতে পারে বলে ধারণা করা যায়, তবে ফল শ্বাসে এর পরিমাণ খুব কম থাকে। কত নিরোধ করনে আনারস খেলে গর্ভধারণ রোধ করা যায় না এটি একটি কুসংস্কার। কাঁচা পেঁপে গর্ভাবস্থায় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ তবে আনারস তরমুজ আঙ্গুরের মতো ফল পরিমিত খেলে অতিরিক্ত পুষ্টি পাওয়া যায়। যার ফলে গর্ভবতী মায়েদের পেটে সন্তান পুরো পুষ্টি পায়।

আনারস খেলে কি এলার্জি হয়

আনারস খেলে কি অ্যালার্জি হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো, আনারস খেলে এলার্জি সমস্যা হতে পারে। কারণ এতে থাকা উপাদান কারো কারো শরীরে চুলকানি ফুসকুড়ি বা অন্যান্য এলার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যার ফলে আনারস খেলে এলার্জি হয়।

আনারস খেলে অনেক ভাবে এলার্জি হতে পারে, আনারস খাওয়ার পর শরীরে চুলকানি ত্বকে ফুসকুড়ি বা লালচে ভাব দেখা দিতে পারে। যখনই তোকে পোস্ট করি লাজে ভাব দেখা দিবে তখনই ধারণা করা যাবে আনারস সে সেই এলার্জি শুরু হয়েছে। যাদের অ্যালার্জি আগে থেকেই আছে, তাদের আনারস না খাওয়াই উত্তম। কারণ এলার্জির থাকা অবস্থায় যদি আবার আনারস খায় তাহলে এলার্জি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
আনারস-খাওয়ার-১০টি-উপকারিতা -আনারস-খাওয়ার-৫টি-অপকারিতা
আনারস খেলে কিছু খাবারে এলার্জি বাড়ে, এর মধ্যে দুধ,ডিম, চিনাবাদাম,মাছ, সয়া, গম এবং অন্যান্য গাছের বাদাম খেলে এলার্জি হয়। নির্দিষ্ট খাবারের এলার্জি নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এলার্জির কারণে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে এলার্জির প্রতিক্রিয়ার ফলে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।

সাধারণ যেসব খাবার থেকে এলার্জি হয়ঃ
  1. দুর্গন্ধজাত পণ্য
  2. ডিম
  3. মাছ
  4. শস্য
  5. সেলফিশ
কিভাবে বুঝবেন আপনার এলার্জি আছেঃ

১. খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর ত্বকে ফুসকুড়ি বা চুলকানি রেশ বের হতে পারে।
২. পেট ব্যথা,বমি বমি ভাব, বা ডায়রিয়ার মত পেটের সমস্যা হতে পারে।
৩. গলা ও শ্বাসনালী শক্ত হয়ে আসা, এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে
৪. মাথা ঘোরা বা শরীর হালকা লাগা।
এ সকল সমস্যা হলে বুঝতে পারবেন আপনার এলার্জি আছে। আপনার এলার্জি থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

আনারসে পথিক পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আনারস খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং টক ভালো থাকে আনারসের শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে এবং মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

সুস্থ অবস্থায় আনারস খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগই জ্বর হলে আনারস খাওয়া কেননা জ্বর হলে আনারস খেলে জ্বর থেকে মুক্তি দেয়। কারণ আনারসে ভিটামিন সি থাকে।

শেষ কথাঃ আনারস খাওয়ার ২০টি উপকারিতা - আনারসের পুষ্টিগুণ 

বন্ধুরা, আজ আমরা আনারস খাওয়ার ২০টি উপকারিতা - আনারসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আমাদের এই পোস্টটি আআনারস খাওয়ার ২০টি উপকারিতা, আনারস খাওয়ার অপকারিতা, আনারস খাওয়ার নিয়ম,আনারস খাওয়ার পরে কি খাওয়া উচিত নয়,বেশি আনারস খেলে কি হয়,আনারস খেলে কি গ্যাস হয়,আনারস খেলে কি গ্যাস হয়,আনারস খেলে কি এলার্জি হয় এ সম্পর্কে আলোচনা করেছি।

আরো পড়ুনঃ খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা

আশা করি আমাদের আনারস খাওয়ার ২০টি উপকারিতা - আনারসের পুষ্টিগুণ এই পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আনারস খাওয়ার উপকারিতা পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই একটি ভালো কমেন্ট করে যাবেন, আর আপনাদের বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন। এতক্ষণ কি এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, পরের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে স্বাগতম। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url