টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
সেই পাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক হিসাবে ব্যবহার করে আসা হচ্ছে মডার্ন সাইন্স বা বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে কালোজিরার মধ্যে এমন কিছু এসেছেয়াল কম্পাউন্ড থাকে যেগুলো আমাদের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে একপ্রকার মেডিসিনের মত কাজ করে।
কালোজিরায় রয়েছে- ফসফেট, লৌহ, ফসকরা, কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও জীবাণুনাশক
বিভিন্ন উপাদান। কালোজিরায় আরো রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্যারোটিন ও
শক্তিশালী হরমোন প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রূপ প্রতিরোধকারী উপাদান।
পেজ সূচিপত্রঃ টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
টানা সাত দিন কালোজিরা খেলে শরীরে কিছু পরিবর্তন হতে পারে, তবে এটি স্বাস্থ্য এবং
শারীর অবস্থার উপর নির্ভরশীল। সাধারণত কালোজিরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ায়, হজম সমস্যা উন্নতি করে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরা খেলে কিছু
ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা এবং এলার্জি হতে পারে।
কালোজিরার ইংরেজি বেক্সিড- এবং বৈজ্ঞানিক নামঃ NIGELLA
SATLVA ব্ল্যাক সিড বা কালোজিরা এক নিপলস এনি স্কিন ডিজিজ এর বিরুদ্ধে খুব
সুন্দরভাবে ফাইট করতে সাহায্য করে। যাদের ত্বকের মধ্যে ছোট ছোট রেসেজ আছে ব্রণ
আছে ত্বকের উজ্জ্বলতার ডিগ্রেড হয়ে যাচ্ছে মুখের মধ্যে দাগ পড়ে
যাচ্ছে এইগুলো সমস্যার ক্ষেত্রে কিন্তু কালোজিরা এক প্রকার ওষুধ।
কালোজিরায় রয়েছে- ফসফেট, লৌহ, ফসকরা, কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও জীবাণুনাশক বিভিন্ন উপাদান। কালোজিরায় আরো রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্যারোটিন ও শক্তিশালী হরমোন প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রূপ প্রতিরোধকারী উপাদান।কালোজিরা ও মধু দুটি স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে অতিরিক্ত ব্যবহারে বা ভুলভাল ভাবে ব্যবহার করলে কিছু সমস্যা হতে পারে। তাই কালোজিরা ও মধু ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে উচিত।
অতিরিক্ত কালোজিরা ও মধু ব্যবহার ফলে কিছু বিরূপ প্রক্রিয়া দেখা যেতে পারে। যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তারা অবশ্যই কালোজিরা ও মধু পরিমাণ মতো খেতে হবে। আবার কারো ক্ষেত্রে মধু বা কালোজিরা খেলে অ্যালার্জি হতে পারে
আরো পড়ুনঃ গরম পানিতে লেবু খাওয়ার অপকারিতা
কালোজিরা খেলে কি কি ক্ষতি হয়
কালোজিরা যেমন উপকারী তেমনই কালোজিরার কিছু অপকারিতা ও আছে। তাই বলে
সকলের জন্য না মোট ৫ রকম মানুষের জন্য কালোজইরা অপকারী।
- কালোজিরা খেলে কি আপনার গ্যাস হয়? পেট ফেপে যায়? বমি হয়? পটি হয় না? তাহলে কালোজিরা থেকে দূরে থাকুন কালোজিরা খেলে কিছু মানুষের সমস্যা দেখা যেতে পারে।
- আপনার কি ব্লিডিং ডিজোর আছে? আপনার যদি বিল্ডিং ডিজোডার থাকে তাহলে কালোজিরা থেকে সাবধান হতে হবে। কালোজিরা ব্লিডিং দিজোরের জন্য অপকারী।
- আপনার কি লো ব্লক সুগার কম? তাহলে কালোজিরা আপনার লো ব্লক সুগার কমাবে। ফলে আপনার যদি আগে থেকেই লো ব্লক সুগার কম থাকে তাহলে কালোজিরা খাওয়া থেকে সাবধান হতে হবে।
- আপনার কি লো ব্লাড প্রেসার? কালোজিরা আপনার লো ব্লাড প্রেসার কমাবে। ফলে আপনার যতই আগে থেকেই লো ব্লাড প্রেসার কম থেকে থাকে তাহলে কালোজিরা খাওয়া থেকে সাবধান হতে হবে।
- আপনার কি সার্জারি হবে? সার্জারি হলে কালোজিরা খাওয়ার আগে ডাক্তার বাবুর পরামর্শ নিন সার্জারির আগে কালোজিরা খাওয়া অপকারী হতে পারে
কালোজিরা আর মধু খেলে কি হয়
কালোজিরায় রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট অর্থাৎ শরীলে রোগ জীবাণু
সরাসরি ধ্বংস করতে পারে এই উপাদান।এই উপাদানের জন্য শরীরের সহজে সংক্রমণ রোগ বা
ছোঁয়াচে রোগ হয় না। কালোজিরা হলো এন্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসে পটিক। আর মধুতে
রয়েছে ৪৫ এরো বেশি খাদ্যগুণ। তবে মধুতে চবি ও প্রোটিন নেই। মধুর মাইক্রোবিয়াল
এন্ড টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহকে যেকোনো সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এমনকি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
কালোজিরা এবং মধু আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে খেতে পারেন তাহলে শরীরে সর্বপ্রথম যেটা
ঘটবে সেটা হচ্ছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী এক দেয়াল তৈরি হবে।
নিয়মিত খেলে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ সতেজ থাকে। এটি যেকোনো জীবাণুর বিরুদ্ধে
আপনার শরীরকে সুস্থ সবল করে তুলবে। সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। যদি
কালোজিরা নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তের
গ্লোকজ একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। যার ফলে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
কালোজিরা কি কি রোগের ওষুধ
কালোজিরাতে রয়েছে
আয়রন, কপার, ক্যালসিয়াম, জিং। কালোজিরা বহু রোগের মহা ওষুধ হিসেবে পরিচিত। যেমনঃ
- জ্বর
- সর্দি
- কাশি
- অরুচি
- উদরাময়
- শরীর ব্যথা
- দাঁত ব্যথা
- গলা ব্যথা
- বাতের ব্যথা
- পেটের ব্যথা
- মাথা ব্যথা
- চবি কমায়
কালো জিরা কি কিছু ধর্মীয় এটিকে সব রোগের ওষুধ হিসেবে পরিচিত। যেখানে
মৃত্যু ব্যতীত অন্য যেকোনো রোগের নিরাময়ের জন্য ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
কালোজিরা ও মধু হতে সাবধান
কালোজিরা ও মধু দুটি স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে অতিরিক্ত ব্যবহারে বা ভুলভাল ভাবে
ব্যবহার করলে কিছু সমস্যা হতে পারে। তাই কালোজিরা ও মধু ব্যবহারের ক্ষেত্রে
অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে উচিত। অতিরিক্ত কালোজিরা ও মধু ব্যবহার ফলে কিছু
বিরূপ প্রক্রিয়া দেখা যেতে পারে। যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তারা অবশ্যই
কালোজিরা ও মধু পরিমাণ মতো খেতে হবে। আবার কারো ক্ষেত্রে মধু বা
কালোজিরা খেলে অ্যালার্জি হতে পারে।
তাই কালোজিরা ও মধু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া না খাওয়াই উত্তম। কালোজিরা ও মধু
মহা ওষুধ হিসেবে পরিচিত আবার এটি খারাপ গুণ রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে মধু খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা চিবিয়ে খা 10 টি উপকারিতা রয়েছেঃ যেমন
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- ব্রণ দূর করে
- চুল পড়া রোধে দারুন কার্যকর
- দাঁত শক্ত করে
- হাঁপানি দূর করে
- অ্যাজমা বা হাপানি দ দূর করে
- পাইলস, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- জন্ডিস দুটো সেরে ওঠে
- হৃদযন্ত্র ভালো রাখে
- গেটে বাত ব্যথা দূর করে
কালোজিরার ১৫টি উপকারিতা
- মাথাব্যথাঃ মাথাব্যথায় কপালে উভয় চিবুকেও প্রাণের পার্শ্ববর্তী স্থানে দৈনিক তিন থেকে চারবার কালোজিরার তেল মালিশ করুন ব্যথা সেরে যাবে।
- চুল পড়াঃ লেবু দিয়ে সম্পূর্ণ মাথার খুলি ভালোভাবে ঘোষুণ। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও ভালোভাবে মাথা মুছে ফেলুন। তারপর মাথার চুল ভালোভাবে শুকানোর পর সম্পূর্ণ মাথার খুলিতে কালোজিরা তেল মালিশ করুন এতে এক সপ্তাহে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
- কফ ও হাঁপানিঃ বুকেও পিঠে কালোজিরা তেল মালিশ করুন। এক্ষেত্রে হাঁপানিতে উপকারী অন্যান্য মানুষের সাথে এটি মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
- স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং এজমার রোগ ভালো হয়ঃ এক চামচ মধুতে একটু কালোজিরা দিয়ে খেয়ে ফেলুন। এতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। হালকা উষ্ণ পানিতে কালোজিরা মিশিয়ে ৪৫দিনের মত খেলে অ্যাজমার সমস্যা দূর হএর।
- ডায়াবেটিসঃ কালোজিরার চুন্র এবং কালোজিরার তেল ডায়াবেটিসের উপকারী। কালোজিরা ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থা...
- মেদ ও হৃদরোগঃ চায়ের সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল মিশিয়ে পান করলে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ কমে যায়।
- এসিডেটি ও গ্যাস্ট্রিকঃ এক কাপ দুধ ও এক টেবিল চামচ কালোজিরা তেল দৈনিক তিনবার ৫-৭ দিন সেবন করতে হবে। এতে গ্যাস্ট্রিক কমে যাবে
- চোখে সমস্যাঃ রাতে ঘুমানোর আগে চোখের উভয়পাশে ও ভুরুতে কালোজিরার তেল মালিশ করসে। এক কাপ গাজরের সঙ্গে এক মাস কালোজিরা সেবন করুন।
- উচ্চ রক্তচাপঃ যখনই গরম পানি বা চাপান করবেন, কালোজিরা খাবেন। গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালো জিরার ভর্তা খান রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে।
- জ্বরঃ সকাল সন্ধ্যা লেবুর সাথে এক টেবিল চামচ কালোজিরা তেল পান করুন।
- স্ত্রীরোগঃ প্রসব ও ভন সংরক্ষণে কালোজিরা মৌরি ও মধু দৈনিক চারবার খান,
- সৌন্দর্য বৃদ্ধিঃ অলিভ অয়েল ও কালোজিরা তেল মিশিয়ে মুখে এক ঘন্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- বাতঃ পিঠে ও অন্যান্য বাতের বেদনা কালোজিরা তেল মালিশ করুন। এছাড়া মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
- দাঁত শক্ত করেঃ দই ও কালোজিরার মিশ্রণ প্রতিদিন দুইবার দাঁতে ব্যবহার করুন এতে প্রতিদিন শিরশির অনুভূতি ও রক্তপাত বন্ধ হবে।
- ওজন কমায়ঃ যারা ওজন কমাতে চান, তাদের খাদ্য তালিকা উষ্ণ পানি মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এখনই মিশ্রণে কিছু কালোজিরা পাউডার ছিটিয়ে দিন পান করে দারুণ উপকার পাবেন।
আরো পড়ুনঃমধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
রাতে কালিজিরা খেলে কি হয়
রাতে কালিজিরা খেলে সাধারণত হজমে সহায়ক হতে পারে। এছাড়া কালি ছাড়া শরীরের
বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হতে পারে। কালোজিরা একটি উপকারী ভেষজ, যাবহো যুগ যুগ
ধরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও সমস্যা সমাধানে ব্যবহার হয়ে আসছে। রাতে কালো জিরা
খেলে কি কি উপকার হতে পারে। কালোজিরা মৃত্যু বাদে সব রোগের মহা ঔষধ হিসেবে
পরিচিত।
কালোজিরা এবং মধু আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে খেতে পারেন তাহলে শরীরে সর্বপ্রথম
যেটা ঘটবে সেটা হচ্ছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী এক দেয়াল তৈরি
হবে। নিয়মিত খেলে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ সতেজ থাকে। এটি যেকোনো জীবাণুর
বিরুদ্ধে আপনার শরীরকে সুস্থ সবল করে তুলবে। সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের
উন্নতি করে। যদি কালোজিরা নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে ডায়াবেটিস
আক্রান্ত রোগীদের রক্তের গ্লোকজ একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে
আসবে। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়-শেষ কথা
এই পোস্টে টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় সে হিসাবে আলোচনা করা হয়েছে।
যদি কোন লিখতে কোন ভুল ত্রুটি হয় তাহলে ক্ষমা করবেন। এবং আরো জানতে আমাদের
সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনারা সবাই কালোজিরা খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
কালোজিরা মৃত্যুভাতে মহা রোগের ওষুধ।
এতক্ষণ টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয় এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ।

নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url