সুস্থ থাকার জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত সবু শাক সবজি খাওয়ার কথা বলা হয়। সেই সাথে
তেল এবং মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এ খাবারের পাশাপাশি
আমাদের শুকনো ফলমূড় খেতে হবে। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন ডুমুর ফল
খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
এই আর্টিকেলটি পরে আমরা জানবো কিভাবে ফলমূল খেলে শরীর সতেজ অসুস্থ থাকে এবং
অন্যান্য অনেক সুবিধা। তাহলে চলুন দেরি না করে পুরো আর্টিকেলটি
ভালোভাবে পড়ে নিন।
ডুমুর ফল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে এর মধ্যে ডুমুর ফল হজমে সহায়, ওজন
নিয়ন্ত্রণ রাখে , হারে শক্তি বৃদ্ধি করে, এবং ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণের মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। এটি পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম, ও ফাইভারের মত পুষ্টি উপাদানে ভরপুর, যা শরীরকে সুস্থ ও সতেজ
রাখতে সহায়তা করে।
ডুমুর সরাসরি মাসিক নিয়ন্ত্রণ করে এমন কোন নিশ্চিত প্রমাণ নেই, তবে এতে থাকা
ফাইবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টির উপাদান মাসিকের স্বাস্থ্য ভালো
রাখতে পাড়ে। ডুমুর অথ্রে স্বাস্থ্যেও সামগ্রী সুস্থতা জন্য উপকারী, জাব পড়ুক খুব
ভাবে মাসিকের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ডুমুর ফল কয়েকটি উপকারিতা
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
ওজন কমাতে সহায়ক
হাড়কে মজবুত করে
উচ্চ রক্তচাপে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে
আয়রনের অভাব পূরণ করে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম
ডুমুর ফল সাধারণত দুই ভাবে খাওয়া যায় কাঁচা বা শুকনো ভাবে এবং এটি কোষ্ঠকাঠিরা
দূর করতে ও হজমে সহায়ক করে। শুকনো ডুমুর রাতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খাওয়ার
পুষ্টিবিদ্যদের পরামর্শ, চা ডায়াবেটিস নিয়ম নিয়ন্ত্রণের সহায়ক হতে পারে। ডুমুর
সালাদ মোদী বা ওঠছে সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়, তবে যে কোন ফল বা খাদ্যদ্রব্য
খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো, বিশেষ করে আপনার স্বাস্থ্যকর
জটিলতা থাকে।
ডুমুর ফল খাওয়ার পদ্ধতিঃ
শুকনো ডুমুর ফলঃ
ভেজানো ডুমুরঃ শুকনো ডুমুর সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে
খালি পেটে এই ভেজানো ডোমোর ও পানি পান করুন। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খুবই
উপকা।
অন্যান্য উপায়ঃ ডুমুর টুকরো করে সালাদ,মুদ্দি, কনফেক্ট, বা ওটস এর সাথে
মিশে খেতে পারেন।
কাঁচা ডুমুরঃ
কাঁচা ডুমুর তরকারি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায় বিশেষ করে মাছের ঝোলের
সাথে এটি রান্না করা যায়, আবার ডুমুরের ভাজি খাওয়া যায়।
ডুমুর খেলে কি হয়
সাধারণত ডুমুর খেলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি ফাইবার ভিটামিনও খনিস
পদার্থের ভরপুর, যাহার মজবুত করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য
করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডুমুর খেললে ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস,আয়রন, ও জিংক এর মত পুষ্টির উপাদান পাওয়া যায়।
ডুমুর খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে অনেক সহায়ক করে ডুমুর দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে, যা
ঘনঘন খাওয়াবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়, এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আবার
ডুমুরের রক্তের আয়রনের অভাব পূরণ করে, ডুমুর আয়রন সমৃদ্ধ ফল তাই
শিশুদের,বয়স্কদের এবং গর্ভবতীদের মহিলাদের রক্ত অল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
ডুমুর চুল কোমল ও রেশম রাখে এবং হাত পায়ের নখ মজবুত করে। ডুমুর কোলেস্টেরল মুক্ত
হওয়ায় উচ্চ রক্তচাপে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হতে পারে।
ডুমুরে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং
ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমাতে পারে। ডুমরে থাকা ফাইভার হজম তন্তকে সুস্থ রাখে,
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ডুমরে থাকা
ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং অক্সিওপোরোসিসি ঝুঁকি
কমায়।
তীন ফল কি ডুমুর
তীন ফল হল ডুমুর, বিশেষ করে যে ফলটি আমরা সাধারণত খেয়ে থাকি এবং পুষ্টি
খুলে ভরপুর সেটিতীন ফল বা অঞ্চির। বাংলাদেশে যে ডুমুর ফলএর গাছ দেখা যায় তার ফল সাধারণত আকারে ছোট হয় এবং এটি কাকুডুমুর নামে পরিচিত, যা খাওয়ার উপযোগী নয়। অন্যদিকে তীন ফল সু মিষ্টি ও রসালো এবং এটি প্রাচীনকাল থেকেই খাওয়া হয়।
তীন ফল বা অঞ্চির বাংলাতে ডুমুর বলা হয় যা বলে অত ভক্ত একটি সুস্বাদু ফল। আমাদের দেশে
সহজলভ্য কাকডুমুর এবং তীন ফল ভিন্ন প্রজাতি।
তীন ফল এর ব্যবহার
তীন ফল ছড়াছড়ি খাওয়া যায় এবং এটি জ্যাম তৈরিতেও ব্যবহার হয়। অন্যদিকে জগডুমুর
বা জঙ্গডুমুর সাধারণত তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়, তবে এই ডুমুর ডুমুর পরিবারের
নামে সদস্য। তীন ফল পবিত্র কুরআনে একটি সূরা নামে পরিচিত এবং এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট ও
বিভিন্ন খনিজ পদার্থের ভরপুর একটি ফল।
কাঁচা ডুমুর খেলে ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাসের মত প্রয়োজনীয় খনি
সরবরাহ হয়, যা হাডকে কে মজবুত করে এবং অক্সিওপোরোসিস যোগী কমায়। ডুমুরের ঢাকা
এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ,ই, কে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি কষ্টকাঠিন্য দূর করে এবং ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণ রাখে তবে কেউ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিস হতে পারে এবং কিডনি
বা পিত্তথলিতে পাথরযুক্ত ব্যক্তিদের এটি এড়িয়ে চলা উচিত।
উপকারিতা
ভাই স্বাস্থ্য ভালো রাখে
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
রুগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
হজম শক্তি উন্নতি করে
রক্তচাপে নিয়ন্ত্রণ রাখে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে
সতর্কতা
অ্যালার্জি
কিডনি পিত্তথলির সমস্যা
অতিরিক্ত ফাইবার
রক্তে শর্করা মাত্রা
যাদের এগুলো সমস্যা আছে তাদের ডুমুর ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
ডুমুরের পাতার উপকারিতা
ডুমুরের পাতাতে ভিটামিন,খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, জাতক কে বলি রেখা
কমাতে কোলেস্টরের নিয়ন্ত্রক এবং শরীরে পদ্মা কমাতে সহায়ক। এছাড়াও এটি শরীরের
ক্যালসিয়াম ঘাটতি মেটাতি, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতেও কাজ করে।
ত্বকের যত্নে ডুমুরের পাতার উপকারী
এন্টি-এজিং
ব্রণ ও দাগ দূরীকরণ
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রক
পদ্মাহ কমানো
ত্বকে ব্যবহার
গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহারঃ ডুমুরের পাতা গু খাত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়,যা
পানিদের খুবই পুষ্টিকর।
খাবারের ব্যবহারঃ কিছু ডুমুরের পাতা ভদ্র এবং রান্না করে খাওয়া যায়, যা খাবারের
নারকেলের মত বা ভ্যানিলার মত সাত জাগায়।
ডুমুর ফল এর ভিটামিন
ডুমুরের ফলে সরাসরি নির্দিষ্ট কোন ভিটামিন থাকলেও এতে ভিটামিন এ ,ভিটামিন বি,
ভিটামিন কে এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যেমন ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকে যা
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার। ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ ছাড়াও ডুমুরে রয়েছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শোকে রক্ষা দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ডুমুরের প্রাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ
ভিটামিন এঃ ভিটামিন এ এর একটি ভালো উৎস হলো ডুমুর, যা দৃষ্টিশক্তি এবং
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ভিটামিন কেঃ এই ফল ভিটামিন খেতে ভরপুর, যার রক্ত জমাট বাঁধতে এবং
হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরী।
ক্যালসিয়ামঃ ডুমুর ক্যালসিয়ামে ভালো উচ্চ যা হারড মজবুত করতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পটাশিয়ামঃ পটাশিয়াম রক্তচাপের নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হার্টের
সুস্থতা বজায় রাখে।
এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস যেগুলো হাড়ের ঘনত্ব ও শক্তির
জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ডুমুর নিয়মিত খেলে অক্সপিওপোরোসিস ঝুকি কমে।
উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যের ত্বকের জন্য ডুমুর অত্যন্ত উপকারি।
প্রতিদিন ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা ও গুনাগুন
প্রতিদিন ডুমুর খাইলে হজম শক্তি বাড়ে,কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, এবং ওজন
নিয়ন্ত্রণে থাকে, ত্বক হার্ট সুস্থ থাকে, এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এটি
ফাইবার,ভিটামিন, খনিজ এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ফল, যার অর্থ যার
নিয়ন্ত্রণের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এবং বাদক জনিত সমস্যা মোকাবেলা সাহায্য
করে।
ডুমুর ফল এর অপকারিতা
ডুমুরের ফল কিছু ক্ষেত্রে অপকারিতা হতে পারে, যেমন অতিরিক্ত খেলে ডায়রিয়া বা
গ্যাস হতে পারে। যাদের রাবার বা ব্যাচা পরাগে এলার্জি আছে তারা ডুমুর থেকে
এলার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন এবং এতে থাকা অক্সলেট কিডনিতে পাথর তৈরি
ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এছাড়া লিভারের সমস্যা থাকলে ডু্মুর খাওয়া উচিত নয় এবং
অত্র প্রচারের আগে চলা অনেক ভালো।
শেষ কথাঃ ডুমুর ফল খাওয়ার
উপকারিতা ও অপকারিতা
বন্ধুরা আজ আমরা ডুমুর ফলে খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে একটি আর্টিকেল
লিখেছি। আমরা সকলেই জানি ডুমুর ফল একটি ছবি উপকারী ফল, ডুমুর ফল খাওয়া যেমন
উপকারী তেমনি আবার কিছু অপকারিতা রয়েছে, তবে ডুমুর ফল নিয়ম মেনে খেলে কোনরকম
ক্ষতি হবে না।
আশা করি ডুমুর ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।
আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করুন, এবং
এতক্ষণেই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ার
জন্য আপনাকে স্বাগতম।
নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url