গর্ভাবস্থায় কি খাবার খেলে সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়
গর্ভাবস্থায় কি খাবার খেলে সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয় এই বিষয়টি অনেকেরই জানা নেই। গর্ভাবস্থায় মায়ের যত্ন ও সঠিক পরিমাণের পুষ্টি বহন শিশুর বুদ্ধিমত্তার উন্নতি বিশেষ ধরনের প্রভাব ফেলে। গর্ভাবস্থায় মায়ের সুসম্ম খাদ্য নির্বাসন ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে।
গর্ভাবস্থায় শিশু সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অর্থাৎ শিশু শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য মায়ের সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো গর্ভাবস্থা মায়ের খাওয়ার ফলে শিশু বুদ্ধিমানও মেধাবী হয়। তাহলে চলুন দেরি না করে গর্ভাবস্থায় কি খাবার খেলে সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয় তা জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খাবার খেলে সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খাবার খেলে সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়
- গর্ভাবস্থায় কি বাচ্চার ওজন বাড়ে
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়
- বাচ্চা পেটে থাকলে কি কি খাওয়া নিষেধ
- গর্ভাবস্থায় বেশি পানি পান করলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় কালো স্রাব কেন হয়
- কোন খাবার খেলে বাচ্চা লম্বা হয়
- গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা
- গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকলে কি কি সমস্যা হতে পারে
- সাধারণ প্রশ্নের উত্তর
- শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কি খাবার খেলে সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়
গর্ভাবস্থায় কি খাবার খেলে সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়
গর্ভাবস্থায় কি খাবার খেলে সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয় তা আমরা এখন
জানবো। সাধারণত মায়ের গর্ভ অবস্থায় বাচ্চার ২৫% ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট ঘটে। তাই
গর্ভাবস্থায় মা কি খাবে তার একটা নির্দিষ্ট তালিকা আগে থেকেই তৈরি করতে হবে।
কেননা আমাদের পরিবেশেও খাদ্যাভাসের পরিবর্তনের কারণে অভিভাবকরা প্রায়ই তাদের
বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন কিভাবে বাচ্চা বুদ্ধিমান হবে। প্রথমত
চিন্তা করতে হবে যে গর্ভাবস্থার মায়ের খাদ্য তালিকায় কেমন ছিল কারণ গর্ভ
অবস্থায় সময় ব্রণের মস্তিষ্কের ২০ ভাগ ডেভেলপ হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ ডুমুর ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ, ডিম, দুধ থাকতে হবে। বাদাম বাচ্চাও যে কোন বয়সে
আইকিউ লেভেল বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয়। জন্মের পর শিশু যখন মায়ের দুধ খায় তখন
ও স্মৃতির খাদ্যের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কারণ এ সময় মস্তিষ্কের বাকি ৭৫ ভাগ অংশ
ডেভেলপ হয়ে যায়। সপ্তাহের দুদিন আয়োডিনযুক্ত খাবার খেতে হবে, যেমন সামুদ্রিক
মাছ খাবেন যা বাচ্চার আইকিউ তীক্ষ্ণ করে। গর্ভাবস্থায় মা সঠিক উপাদান গ্রহণ করলে
শিশুর বুদ্ধিমত্তা উন্নতি ঘটে।
গর্ভাবস্থায় শিশুর সঠিক বুদ্ধিমত্তার বিকাশের জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও DHA
অতি প্রয়োজনীয় উপাদান যা মাছ আখরোট চিড়া সিদ ও ফাক্স সিটে পাওয়া যায়।
এছাড়াও ফলিক এসিড বা সবুজ শাকসবজি ও সাইট্রাসফল থেকে পাওয়া যায়। ফলিক এসিড
থেকে পাওয়া পুষ্টির উপাদান শিশুর মস্তিষ্কের বুদ্ধিমান ও মেধাবী গঠনে বিশেষভাবে
সহায়তা করে। এছাড়া শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে প্রোটিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ যা
ডাল মাংস দুধ ও ডিমের পাওয়া যায়।
ভিটামিন বি ১২ এবং আইরন জামাত-মাংস ডিম এবং সবুজ শাকসবজিতে পাওয়া যায়। ভিটামিন
বি১২ এবং আয়রন শিশুর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও স্নায়ু সিস্টেমের গঠন নিশ্চিত
করতে ভূমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম
গ্রহণ করা সুষম খাদ্য গ্রহণ করা মায়ের শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং মায়ের
স্বাস্থ্য ভালো থাকার ফলে গর্ভাবস্থায় শিশুর বুদ্ধিমান ও মেধাবী করতে সহায়তা
করে।
গর্ভাবস্থায় কি বাচ্চার ওজন বাড়ে
গর্ভাবস্থায় কি বাচ্চার ওজন বাড়ে তা আমরা অনেকেই জানিনা, গর্ভঅবস্থায়
বাচ্চার ওজন বাড়ে এবং মায়ের পুষ্টিকর ও সুসম্মুখ খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে
গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় মায়ের সঠিক খাদ্যাভাসির অভাবে অনেক শিশু অপুষ্টিতে
ভোগে এবং এদের ওজন উচ্চতা এবং শারীরিক গঠনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য
সুস্থ গর্ভবতী মায়ের সাধারণত ১০ থেকে ২০ কেজি ওজন বাড়া উচিত, যা বাচ্চার সঠিক
বুদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
সুষম্ম পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে, ফল সবজি ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার
যেমন কলা আপেল পেয়ারা এবং বিভিন্ন তাজা শাকসবজি দিয়ে তৈরি শোক শিশুর গতিতে
সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় মায়ের সঠিক খাদ্যাভাসের নিশ্চিত করা জরুরি কারণ এতে
শিশু সঠিক ওজন গঠন বজ্জায় রাখে।
- গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাসে অনেক মায়ের ওজন তেমন বাড়ে না, কারণ এই সময় বমি ও বমি প্রবণতা দেখা দেয়।
- যদি মায়ের ওজন বাড়লেও শিশুর ওজন না বাড়ে তবে এটি মায়ের অতিরিক্ত খাবারের কারণে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আলদা স্নোগ্রাফিতে শিশুর ওজন কমতে দেখায়।
- প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও সুসম্ম্য খাদ্য না পেলে শিশুর খবকায় বা কম বুদ্ধিমান হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় তো আমরা অনেকেই জানিনা তাহলে চলুন
জেনে নি। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি পরিমাণে ক্ষুধা
পায় সেই সময় ঠিকমতো খাবার দেওয়া করাটা আসলে তাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়। কারণ এই সময় খাবার মায়ের সাথে সাথে শিশুর জন্য অনেক বেশি উপকারি।
আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষই চান যেন তাদের সনাগত সন্তানের গায়ের রং যেন
উজ্জ্বল হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে খাদ্য নির্বাচনের ওপর সন্তানের শরীরের বর্ণ কেমন হবে তা
নির্ধারণ করে না, এটা করে তার বাবা মা এর কাছ থেকে যে জিন পেয়েছে তার উপর।
তবে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী গর্ভাবস্থায় রাতে খাবারগুলো খেলে বাচ্চা পণ্য
ফর্সা হতে পারে এমন কিছু খাবারের তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ
- দুধ
- ডিম
- জাফরান দুধ
- চেরি ও বেরি জাতীয় ফল
- টমেটো
- কমলা
- নারিকেল
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় এটি একটি ভুল ধারণা, কেননা শিশু
ত্বকের রং মূলত মা-বাবা জিন বা বংশগতির ওপর নির্ভর করে। মায়ের খাদ্যাভাস
এর ওপর নয়, শিশুর সুসম ও পুষ্টিকর বিকাশের জন্য গর্ভবতী মায়ের ফলমূল,
শাকসবজি, গোটা শস্য, চবিহীন প্রোটিনও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ একটি
সুসাম্য খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। বেরি কফি চকলেট ঘাস বেলি বা অন্য কোন গাঢ়
রঙের খাবারে শিশুর ত্বকের রং কালো বা ফর্সা করে না।শিশু ত্বকের রং মূলত তার
জিনগত বৈশিষ্ট্য, বিশেষ করে মেন আলিম উপাদানকারী জিন দ্বারা নির্ধারিত
হয়।
বাচ্চা পেটে থাকলে কি কি খাওয়া নিষেধ
বাচ্চা পেটে থাকলে কি কি খাওয়া নিষেধ তা আমরা অনেকেই জানিনা। বাচ্চা পেটে
থাকলে কাঁচা ও আধা সিদ্ধ মাংস, মাছ, ডিম এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও
প্রক্রিয়াজাত খাবার, উচ্চ পারদ যুক্ত মাছ, প্রস্তরাইজ না করা দুধ ও
দুর্গান্তজাতপূন, কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে, এবং অনিরাপদ পানি দিয়ে তৈরি
ফুচকা চটপটি বোরহানি লাচ্ছি খাওয়া যাবে না কারণ এগুলো থেকে গুরুতর অসুস্থ
হতে পারে।
- কাঁচা ও আধা সিদ্ধ খাবার ঃ কাঁচা বা ঠিকমত রান্না না করা মাছ-মাংস ডিম যেমন সসেজ কনট কাঠ চুষি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ এগুলোতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।
- উচ্চ পারদ যুক্ত মাছঃ কিছু মাসে উচ্চমাত্রায় পারদ থাকে, যা গর্ভের শিশু মস্তিষ্কে বিকাশে ক্ষতি করতে পারে। তাই এই ধরনের মাছ খাওয়া উচিত নয়।
- প্রস্তরাইজ না করা দুধ ও দুর্গন্ধ জাত পণ্যঃ প্রস্তরাইজ না করা দুধ এবং তা থেকে তৈরি খাবার যেমন কিছু পনির এড়িয়ে চলতে হবে।
- অনিরাপদ পানি থেকে তৈরি খাবারঃ ফুচকা চটপটি বোরহানি লাচ্ছি ইত্যাদি খাবার যদিও নিরাপদ পানি দিয়ে তৈরি হয়, তবে এগুলো থেকে টাইফয়েড, কলেরা বা হেপাটাইটিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ রোগ হতে পারে, যা গর্ভবতী মায়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
- কাঁচা পেঁপেঃ কাঁচা পেপে তে এমন উপাদান থাকে যা গর্ভধারণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং পেটে ব্যথা বা অন্যান্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় বেশি পানি পান করলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় বেশি পানি পান করলে কি হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা। আসলে গর্ব
অবস্থায় খুব বেশি পানি পান করা বিরল এবং সাধারণত ক্ষতিকর না হলেও এটি কিছু
জ্যোক্তির কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত পানি পানির ফলে নবজাতকের শরীরে
ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। কারণ লক্ষণ গুলির মধ্যে
রয়েছে মাথাব্যথা, বমি এবং বেশি দুর্বলতা। তবে গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পানি
পান করা অত্যন্ত জরুরী, কারণ এটি মা ও শিশু সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিপানের ঝুঁকি
অতিরিক্ত পানি পানির ফলে শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে, যা
মস্তিষ্কের জন্য বিপদজনক হতে পারে। প্রসবের সময় মায়ের অতিরিক্ত পানি পানের
ফলে নবজাতকের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানের গুরুত্ব
- ব্রনের আমনিয়টিক তরল তৈরিঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ভ্রনের চারপাশে এমনিওটিক তরল তৈরিতে সাহায্য করে যা শিশুর বুদ্ধিতে সহায়তা করে।
- পুষ্টি পরিবহনঃ পানি মায়ের শরীর থেকে গর্ভফুলের মাধ্যমে ব্রণে পুষ্টি ও অক্সিজেন পরিবহন করতে সাহায্য করে।
- পানি শূন্যতা প্রতিরোধঃ এটি পানি শূন্যতা প্রতিরোধ করে, যা অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ কাপ, ৬৪ থেকে ৯৫ আউন্স পানি পান করা পরামর্শ
দেওয়া হয়। আপনার প্রস্রাবের রং ফ্যাকাশে স্বচ্ছ হলে বুঝতে হবে যে আপনি
পর্যাপ্ত পানি পান করছেন।
আরো পড়ুনঃ কাঠবাদাম এর অসাধারণ ২২টি উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কালো স্রাব কেন হয়
গর্ভাবস্থায় কালো স্রাব কেন হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা, তাহলে চলুন জেনে
না যাক। গর্ভাবস্থায় কালো স্রাব দেখা যেতে পারে কারণ পুরনো রক্ত যারাই
থেকে বেরিয়ে আসতে সময় নেয়, যার জন্য আয়রনের কারণে কালো দেখায়। তবে কাল
স্রাব কখনো কখনো গর্ভপাত, এক্টেপিক গর্ভাবস্থা, যার যারা ইউ সংক্রমণের মত
গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যদি কালো স্রাবের সাথে ভারী রক্তপাত, তীব্র
ব্যথা বা অন্যান্য অস্বাভাবিক লক্ষণ থাকে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ
নেওয়া উচিত।
কোন খাবার খেলে বাচ্চা লম্বা হয়
আমরা বাচ্চা লম্বা করার জন্য অনেক কিছুই করে থাকি, কোন খাবার খেলে বাচ্চা
লম্বা হয় সেটা আমরা জানিনা। শিশুকে লম্বা করতে চাইলে তার মায়ের খাদ্য
তালিকায় পুষ্টিকর খাবার যেমন দুধ ও দ্রুতজাতপূর্ণ ডিম, মাছ, মাংস, ডাল,
সবজি, ফল এবং শস্য শস্যজাত খাবার রাখতে হবে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম ও
নিয়মিত ব্যায়াম এর মাধ্যমে গর্ব অবস্থায় শিশু লম্বা হতে থাকবে।
- দুধ ও দ্রুতজাত খাবারঃ দুধ দই পনির ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনে ভালো উৎস থাকে, যা শিশুর হাড়ো বেশি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- ডিমঃ ডিম পুষ্টিকর পাওয়ার হাউস এবং শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে এটি একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
- মাছঃ মাছ প্রোটিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে, যা শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- শস্য ও শস্যজাত খাবারঃ ভাত, রুটি ও শাকসবজি জাতীয় খাবার শরীরে পুষ্টির উপাদানের উৎস এবং বাড়ন্ত বয়সে ক্যালরি চাহিদা মেটাতে সহায়ক।
- ফল ও সবজিঃ কলা, পালংশাক, বকরি, গাজর, টমেটো, পেঁপে, পেয়ারা ইত্যাদি ভিটামিন কলিজা ফাইবারের ভালো উৎস, যা শিশুর সার্বিক বুদ্ধিতে সহায়তা করে।
- ডাল শিমঃ বিভিন্ন ধরনের ডাল ও সিম প্রোটিনে ভালো উচ্চতা শিশুর যৌথ এবং টিসু উন্নয়নের সাহায্যকারী।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা
গর্ভাবস্থায় আমরা অনেক ফলমূল খেয়ে থাকি। কিন্তু কোন ফল খেলে কি হয় কোন
ফল খাওয়া ভালো কিনা তা আমরা অনেকেই জানিনা। গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া
যাবেনা তা আমরা এখন জানবো। গর্ভাবস্থায় আনারস, কাঁচা আদা, পাকা পেপে,
তেঁতুল, কোমতীত্ব পরিমাণে আঙ্গুর খাওয়া উচিত নয়, কারণ এগুলো গর্ভাবস্থার
জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, এবং নির্দিষ্ট কিছু জটিলতা ঝুঁকি বাড়তে পারে।
নিয়মিত ও গ্যানজাত হল এড়িয়ে চলা ভালো কারণে এগুলো তো অতিরিক্ত চিনি এবং
প্রক্রিয়া জাদু উপাদান থাকতে।
- আনারসঃ এতে থাকা প্রোটিন লাইটিক এনজাইম যেমন ব্রমেল ইন জরায়ু এবং জরায়ু মুখের সংকোচন ঘটাতে পারি তা অকাল প্রসবের কারণ হতে পারে।
- কাঁচা আদা পাকা পেঁপেঃ মুক্তি পেতে থাকা লেটেক্স জরায়ু সংকোচন সাহায্য করতে পারে।
- তেতুলঃ তেতুলের অতিরিক্ত সেবনে জরায়ু উভয় প্রভাব ফেলতে পারে এবং রক্তচাপ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে যা গর্ভাবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ।
- অতিরিক্ত আঙ্গুরঃ অতিরিক্ত পরিমাণে আঙুল খেলে তা পেটে গ্যাস এবং এসিড কি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকলে কি কি সমস্যা হতে পারে
গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকলে কি কি সমস্যা হতে পারে এটা আমরা অনেকেই জানিনা।
আসলে অনেক মায়েরা রয়েছে গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকে, গর্ভাবস্থায় না খেয়ে
থাকলে বা পুষ্টির অভাবে মা ও শিশু উভয়েরই স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে। এর ফলে
শরীর দুর্বলতা রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে, শিশুর জন্য কম হতে
পারে এবং
জন্মগত ত্রুটি ঝুঁকি বাড়ে। মা ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন,
ক্যালসিয়াম, আয়রন ও প্রোটিনের মত পুষ্টির ঘাট দেখা দেয় যা গর্ত শিশু সুস্থ
বিকাশের বাধা দেয় এবং অকাল প্রসবের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে।
সাধারণ প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়?
উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় ওমেগা তিন, ফেটি অ্যাসিড, ডিম বাদাম এবং এভোকাডো খাওয়া
গর্ভাবস্থায় শিশুর মস্তিষ্কে বিকাশের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। এছাড়াও ফলমূলক
সবুজ শাকসবজি শিশুর মস্তিষ্কের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
প্রশ্নঃ ফলমূলের মধ্যে কোনটি বাচ্চার মস্তিষ্কের জন্য ভালো?
উত্তরঃ কলা আপেল কমলা এবং বেরি ফল শিশু মস্তিষ্কের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এই
ফলগুলোতে থাকা ভিটামিন সি পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষ
গুলোর প্রদান করতে এবং শক্তিশালী করে।
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় ডিম কেন খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ ডিমের মধ্যে রয়েছে কোলির নামক এক ধরনের বিশেষ উপাদান যা শিশুর
মস্তিষ্কের কোষগুলোকে গঠন ও কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কলিন শিশু
ভবিষ্যতের চিন্তাভাবনা ও শেখার দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই
গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূন।
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় শাকসবজি কেন খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের বগলি পালং শাক এবং গাজর খাওয়া গর্ভাবস্থায় শিশু
মস্তিষ্কের জন্য ভীষণ উপকারী। এসব সবজিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং আয়রন
শিশুর মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে তোলে। সবুজ শাকসবজি গর্ভাবস্থায় শিশুর
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কি খাবার খেলে সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়
প্রিয় পাঠক, এই পোস্টে আমরা জানলাম গর্ভাবস্থায় কি খাবার খেলে সন্তান
বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়। আরো আমরা জানলাম গর্ভাবস্থায় কি বাচ্চার ওজন বাড়ে,
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়, গর্ব অবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো
হয়, বাচ্চা পেটে থাকলে কি কি খাওয়া নিষেধ, গর্বঅবস্থায় বেশি বেশি পানি পান
করলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় কালো স্রাব কেন হয়, গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া
যাবে না ইত্যাদি।
আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত
হয়ে থাকেন তাহলে কমেন্ট বক্সে গিয়ে একটা ভাল কমেন্ট করুন। আর এই পোস্টে আপনার
বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন যাতে এই পোষ্টটি করে আপনার বন্ধুর উপকৃত হতে পারে।
এতক্ষণ ধরে এই পোস্টটি পড়ার জন্য পতাকা অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url