জিরা পানি ২০টি উপকারিতা যা জানলে চমকে যাবেন
প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই জিরা পানি ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকে এই আর্টিকেলটি জিরা পানি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
মানবদেহে যদি প্রতিনিয়ত জিরা পানি পান করা হয় তাহলে দেহের অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাহলে চলুন জিরা পানি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।পোস্ট সূচিপত্রঃ জিরা পানি ২০টি উপকারিতা যা জানলে চমকে যাবেন
- জিরা পানি ২০টি উপকারিতা
- জিরা পানি কিভাবে খেলে ওজন কমে
- জিরার অপকার ও ক্ষতিকার দিক
- জিরা পানি তৈরির নিয়ম
- জিরা চিবিয়ে খেলে কি হয়
- গোটা জিরা খাওয়ার উপকারিতা
- জিরার পানি খাওয়ার অপকারিতা
- সকালে খালি পেটে জিরা খাওয়ার নিয়ম
- জিরা পানি পান করার উপযুক্ত সময়
- লেখকের মন্তব্যঃ জিরা পানি ২০টি উপকারিতা যা জানলে চমকে যাবেন
জিরা পানি ২০টি উপকারিতা
জিরা পানি ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। জিরা পানি প্রাকৃতিক একটি মহা ওষুধ হিসেবে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। শরীরের জন্য অসাধারন ক্ষমতা ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জিরার পানিতে থাকে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আমাদের দেহে জিরা পানি গুরুত্বপণ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
আরো পড়ুনঃনিয়মিত সকালে ব্যায়াম করার ২০টি গুণ
জিরার পানি খেলে হজমের সাহায্য করে পেটের গ্যাস এবং নানা ধরনের সমস্যা থেকে
মুক্তি পাওয়া যায়। তাহলে চলুন নিচের পানি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য জেনে
নেওয়া যায়। নিচে জিরা পানি উপকারিতা দেওয়া হলোঃ
- কম ক্যালরিঃ এক চা চামচ জিরা ব্রিজের মাত্র ৭ ক্যালরি থাকে যা অন্যান্য পানির তুলনা খুবই কম। তাই কম ক্যালরি এই পানি পান করলে ওজন বাড়ার কোনো চিন্তা থাকে না।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধঃ রয়েছে উচ্চ মানের এন্টিঅক্সিডেন্ট। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে, এছাড়াও জিয়ার পানি শরীরের অভ্যন্তরের অক্সিডেটিভ স্টেজ প্রতিরোধ করে। জিরা পানি প্রতিনিয়ত পান করলে আপনার শরীরে দেহের সিস্টেম থেকে বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে নির্মূল করে শরীরকে সতেজ করে তুলে।
- হজম শক্তি উন্নতি ঘটায়ঃ নিয়মিত জিরা পানি পান করলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকে। একটি নির্দিষ্ট যৌগ রয়েছে যা গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থির নিঃসরণকে উৎপাদিত করে। এটি প্রোটিন ফ্যাট ও চীনের মত জটিল ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা যেমনঃ বদহজম, ডায়রিয়া এবং বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- মেটাবলিজম ও ফ্যাট বান বাড়ায়ঃ জিরার পানি শরীরের মেটাবলিজম কে তুরস্কৃত করে এবং ফ্যাট ত্রাণ কমাতে সাহায্য করে। তাই পেটের ছবি থেকে মুক্তি পেতে জিরার পানি বেশ উপকারী। তবে শুধু ডিস্ক ওয়াটার পান করলে হবে না সেই সাথে সাথে প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি জিরার পানি পান করলে মেটাবলি যমের হাড় বেড়ে যায় যা দুটো ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ জিরা পানি উপস্থিতির কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফাইবারের একটি ভালো উৎস হলো জিরা পানি। জিরা পানি পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে বাধা দেয় এছাড়াও এটি পাচন্ত্র ও মূলত্যাগের সিস্টেম সংক্রমন বা ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ জিরা পানিতে রয়েছে এন্টি ক্যাসিনোজেনিক প্রপাটিভ চা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে ঝুঁকি কমায়। এটি মেটাস্টাসিস প্রতিরোধ করে যাতে করে শরীরের অন্যান্য অংশের ক্যান্সার ছড়ায় না।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ জিরা পানির রক্তের শর্করা মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে।
- শরীরকে হাইডেক্ট করেঃ জিরা পানি আমাদের শরীরকে হাইটেক করতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
- এসিডিটি কমায়ঃ জিরা পানি উপকারিতা হিসেবে একটি বিষয় উল্লেখ্য করলেই নয় এই পানি এসিডিটি কমাতে ও প্রতিরোধে অনেক কার্যকরী। তাদের এসিডিটির মতো সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন জিরা পানি পান করলে তাদের এসিডিটি থেকে রেহাই পাবে।
- রক্তশূন্যতা কমাতে সহায়কঃ জিরা পানিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনের জন্য আয়রনের প্রয়োজন পানি পান করলে তার রক্তস্বল্পতার উপসর্গ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সেই সাথে সাথে এটি আমাদের শরীরে অক্সিজেন পরিবহনের জন্য আরো প্রয়োজন।
- হার্টের জন্য ভালোঃ জিরা পানি আমাদের শরীরের রক্তচাপ টাই গ্লিসারাইড ও কোলেস্টরের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি আমাদের হৃদপিণ্ডকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে।
- ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ সুন্দর ত্বক পেতে কে না চায়? ত্বকের ধরন যেটাই হোক না কেন জিরা পানি উপকারিতা কিন্তু সব থেকে আলাদা। জিরা পানিতে আন্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রপারটিস রয়েছে। এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরকে ডিস্কি ভাই করতে সাহায্য করে। তাই জন্য নিয়মিত জিরা পানি পান করা ভালো। জিরার পানি ব্রণ প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
- চুল ঘন করতে সাহায্য করেঃ জিরা পানি আমাদের চুলের জন্য ভালো উৎস। এটি আমাদের চুলকে মজবুত করে এবং চুল পড়া থেকে রোধ করে। এর পাশাপাশি এটি খুশকি এবং অকালে চুল পড়া থেকে রক্ষা করে।
- মানসিক চক্র নিয়মিত করতে সাহায্য করেঃ অনিয়মিত মাসিক চক্র নারীদের একটি পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা। এই ধরনের সমস্যার জন্য জিরা পানি পান করাটা বেশ উপকার। কারণে এটি চরায়ুকে সংকোচন করতে উদ্বেগত করে যা পিরিয়ডের সময় নিয়মিত করতে সাহায্য করে। জিরা পানি পান করলে মাসিকের স্কাম্প ও উপশম হয়।
- মায়েদের বুকে দুধ বাড়াতে সাহায্য করেঃ জীরার পানিতে আয়রনের সমৃদ্ধ হওয়া এটি গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্যকর। এটি দুধ উপাদানের সহায়তা করে এবং নিশ্চিত করে যে শিশুদের সমস্ত সঠিক পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করতে।
-
শরীরের শক্তি উৎপন্ন করেঃ শরীরে ক্লান্তি দূর করতে জিরা বেশ উপকারী। একটি মসলা
এবং প্রাকৃতিক উপাদান জিরার মধ্যে থাকা উপাদান গুলো শরীরের মধ্যে এনার্জি
বৃদ্ধি পায়। এতে করে আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা অলসতা এবং ক্লান্তি ভাব খুব
সহজে হয়।
-
জিরা অনিন্দা দূর করেঃ মেলাটনিক নামক হরমোনের কারণে আমাদের মধ্যে ঘুমের অনুভূতি
হয়। যখন আমাদের মস্তিষ্কে মেটাবলীন ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায় বা বন্ধ হয়ে যাওয়ার
প্রবণতা চলে আসে তখন আমাদের প্রতিদিনের ঘুমে বি ঘাট-ঘাতে। আমাদের মধ্যে এমন
অনেকে আছে যাদের রাতের বেলা ঠিকমতো ঘুম হয় না। তাদের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ
পরামর্শ হলো প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর কয়েক ঘন্টার পূর্বে একটি কলার সাথে জিরার
পাউডার মিক্স করে খেয়ে ফেলুন। এতে করে মস্তিষ্কে ফিলাঠনিক ক্ষরণ করতে সাহায্য
করে।
-
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে জিরা বেশ উপকারী একটি মসলা এবং
প্রাকৃতিক ওষুধ। জিরা পানিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার আমাদের দেহে
প্রবেশের পর শরীরে মেটাবলিজম রেড বাড়িয়ে দেয় এতে করে খাদ্য খুব দ্রুত হজম
হতে শুরু করে।
-
শরীরের শক্তি উৎপন্ন করেঃ শরীরের ক্লান্তি দূর করতে জিরা বেশ উপকারী একটি মসলা
এবং প্রাকৃতিক উপাদান। জিরার মধ্যে থাকা উপাদান গুলো শরীরের মধ্যে এনার্জি
বাড়িয়ে দেয়। এতে করে আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা অলসতা এবং ক্লান্তির ভাব খুব
সহজে দূর হয়ে যায়।
- জিরা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করেঃ আমাদের শরীরে যখন ইলুক টোটলাইট এবং পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে না তখন কিন্তু আমাদের ব্লাড প্রেশার ওনিয়ন্ত্রণে থাকে না। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে ভোরবেলায় একগ্লাস করে জিরা পানি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট এবং পটাশিয়ামের মাত্রা বেশ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ফলে এমনিতেই ব্লাড প্রেসার লো হতে শুরু করবে। সুতরাং ব্লাড প্রেসার কমাতে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস শিরোঁড়া পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
জিরা পানি কিভাবে খেলে ওজন কমে
পাঁচ অধিকাংশ মানুষ তার শরীরে এবং মেদ ও ভুরি কমানোর জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে থাকে। জিরা পানি ওজন কমানোর একটি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ উপায়। পেতে থাকা একটি অক্সিডেন্ট ও ডিড স্কিফাই উপাদান শরীরে অতিরিক্ত ছবি গলাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গরম জিরা পানি পান করলে হজম শক্তি বাড়ে এবং শরীরের জমে থাকা ফ্যাট দ্রুত কমে যায়।
জিরা পানিতে থাকা ঠাই মন ও অন্যান্য এইনটাইম খাদ্য হজমে সাহায্য করে, ফলে শরীরে ক্যালরিতে জমতে পারে না। জিরা পানি বিপাক প্রক্রিয়া তুরস্কৃত করে তার চৌকি পড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এটি শরীরের টক্সিন বের করে দেয় ফলে লিভার ও পাশ্চাতন্ত্র সক্রিয় থাকে। নিয়মিত জিরা পানি খাওয়ার ফলে ক্ষুধার নিয়ন্ত্রণে থাকা এবং অতিরিক্ত খাওয়া কমে যাওয়ার ফলে ওজন স্বাভাবিকভাবে হ্রাস পায়।প্রতিদিন সকালে এক চা চামচ জিরা একগ্লাস পানিতে সিদ্ধ করেছে কে খাওয়ার সবচেয়ে উপকার। এতে শরীরের শক্তি বজায় থাকে ক্লান্তি কমে এবং ওজন কমানোর প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। তবে প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম ও শোষণ খাদ্যাভাসের সঙ্গে জিরা পানি পান করলে ফলাফল আরো ভালো পাওয়া যায়।
জিরার অপকার ও ক্ষতিকার দিক
অপকার হিসেবে জিরা খুব কম কিছুই আছে। আমরা জানি সব কিছুরই আলাদা আলাদা অপকারিতা
রয়েছে ঠিক তেমনি কেউ যদি অতিরিক্ত জিরা খেয়ে থাকে তার ক্ষেত্রেও কিছু ক্ষতিকারক
লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে জিরা কিছু অপকারিতা হলোঃ
- অতিরিক্ত জিরা খেলে পাতলা পায়খানা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- বেশি জিরা খাওয়ার ফলে পেট ব্যাথা হতে পারে
- পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেহে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
- উপরোক্ত যত সমস্যা কিছু ক্ষতিকারক দিক ছাড়াও অপকারিতা নেই।
জিরা পানি তৈরির নিয়ম
জিরা পানি পান করার আগে আমাদের জিরা পানি তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের আগে
জানতে হবে। কেননা জিরা পানি সঠিক নিয়মে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আর সঠিক
নিয়মে না খেলে এর ক্ষতিকর হতে পারে। তাহলে চলুন নিচে বিস্তারিত জিরা পানি তৈরি
নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- ২ চা চামচ জিরার গুড়া
- ১০ থেকে ১৫ টি পুদিনা পাতা
- ১ চা চামচ তেতুল চাটনি
- ১ থেকে ২ চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়া
- ১ চা চামচ লেবুর রস
- ১ থেকে ২ চাচা চামচ চিনি
- লবণ স্বাদ মতো
আরো পড়ুনঃ কমলা লেবু খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন
আপনি যদি এই নিয়ম কয়টা অনুসরণ করতে পারেন তাহলে জিরার পানি তৈরি করতে পারবেন খুব সহজেই। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জিরা পানি তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
জিরা চিবিয়ে খেলে কি হয়
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ হীরা রান্না করে কাজে ব্যবহার করে। জিরা শুধু রান্নার
স্বাদ বাড়ায় না বরং এটি চিবিয়ে খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকার। জিরা চিবিয়ে
খেলে প্রথম হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এতে থাকা প্রাকৃতিক এনজাইমগুলো খাবারে দ্রুত
হজমে সাহায্য করে এবং বদহজম গ্যাস পেট ফলা কমায়। জিরা জীবাণু মুখে শীতলতা ও
শ্রদ্ধা আনে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
জিরা চিবিয়ে খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। পেতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট
উপাদান দেহকে ক্ষতিকারক মুক্তি মূল থেকে রক্ষা করে যার রূপ প্রতিরোধ ক্ষমতাতে
সাহায্য করে। মদ থেকে রক্ষা করে যার রূপ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এছাড়াও জিরা
রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যা তা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
জিরা চিবিয়ে খেলি গলা ব্যথা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে। এটি শ্বাসনালী পরিষ্কার করে এবং ঠান্ডা লাগা কমায়। নিয়মিত জিরা আয়রন শোষণ বাড়ায় রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং ক্লান্তি দূর করে। সুতরাং প্রতিদিন কিছুটা জিরা চিবিয়ে খাওয়া শরীরের জন্য এটি সহজ এবং প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য রক্ষা উপকার।
গোটা জিরা খাওয়ার উপকারিতা
এতক্ষণ আমরা জানলাম জিরা পানি ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে।অন্য সব জিরার মত গোটা
জিরাও রয়েছে বেশ অনেকগুলো উপকারিতা। বাংলাদেশের যদিও গোটা জিরা পাওয়া যায় না
তবে অনেকেই এর সাথে পরিচিত। কিন্তু উপকারিতার দিক দিয়ে এটি অনেক এগিয়ে অন্য সব
জিরার চেয়ে। গোটা জিরা খাওয়ার কিছু উপকারিতা নিচে দেওয়া হলোঃ
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
- গর্ভবতী মহিলাদের জন্য গোটা জিরা খুবই উপকার
- চুলকে সুন্দর এবং ঘন করে
- হজমে সহায়তা করে।
জিরার পানি খাওয়ার অপকারিতা
জিরা পানি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি হলেও এটি অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে অপকারিতা
হতে পারে। তাই জিরা পানিতে অনেক শক্তিশালী উপাদান থাকে যা অতিরিক্ত মাত্রায়
গ্রহণ করলে হজম সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন অম্বল গ্যাস বা পেটের অস্থিতি দেখা
দিতে পারে। যারা গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটিক সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য জিরা পানি
বেশ ক্ষতিকর হতে পারে কারণ এটি অতিরিক্ত এসিড উপাদান করতে পারে।
এছাড়া রক্তে শর্করা মাত্রা কমানোর কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত জেলার পানি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গর্ভবতী মহিলা বা স্তন্যদানকারী নারীদের ক্ষেত্রে জিরার পানি অতিরিক্ত ব্যবহার নিরাপদ নাও হতে পারে। কারণ দীর্ঘমেয়াদী অতিরিক্ত ব্যবহার বা কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে তাই বিরা পানি ও নিয়মিত নয় বরং প্রয়োজন অনুযায়ী খাওয়া উচত।
সকালে খালি পেটে জিরা খাওয়ার নিয়ম
ঘুম থেকে উঠার পর দিনে শুরুতে জিরা পানি পান করা সবচেয়ে ভালো। সকালে খালি পেটে জিরা পানি পানের উপকার গুলোর মধ্যে রয়েছে হজমের সহায়তা করে। ফোলা ভাব কমায় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ওজন কমায়। এই জিরা পানি সারাদিন যে কোন সময় পান করা যেতে পারে। তবে দিনের প্রথম দিকে পান করা হলে এটি সমাধিক উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়।
এটুকুই ছিল জিরা পানি উপকারিতা নিয়ে আজকের এই আলোচনা পরিশেষে বলা যায় এটি একটি পুষ্টিকর পানিও যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময় করতে পারে। তবে হ্যাঁ কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয় জিরা পানি খাওয়ার আগেও একদম মনে রাখতে হবে। এই পানীয় পান করার পর যদি আপনি অস্ত্রতি বোধ করেন তাহলে এই পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।জিরা পানি পান করার উপযুক্ত সময়
ঘুম থেকে উঠার পর দিনে শুরুতে জিরা পানি পান করা সবচেয়ে ভালো। সকালে খালি পেটে
জিরা পানি পানের উপকার গুলোর মধ্যে রয়েছে হজমের সহায়তা করে। ফোলা ভাব কমায় এবং
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ওজন কমায়। এই জিরা পানি সারাদিন যে কোন সময় পান করা
যেতে পারে। তবে দিনের প্রথম দিকে পান করা হলে এটি সমাধিক উপকারিতা বেশি পাওয়া
যায়।
আরো পড়ুনঃ হজম শক্তি বৃদ্ধির সেরা ২০টি উপায়
এটুকুই ছিল জিরা পানি উপকারিতা নিয়ে আজকের এই আলোচনা পরিশেষে বলা যায় এটি একটি পুষ্টিকর পানিও যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময় করতে পারে। তবে হ্যাঁ কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয় জিরা পানি খাওয়ার আগেও একদম মনে রাখতে হবে। এই পানীয় পান করার পর যদি আপনি অস্ত্রতি বোধ করেন তাহলে এই পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।



নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url