কচুর লতি খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পকে জানুন
মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য কচুর লতি খুবই উপকারী। কচুর নদীতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ভিটামিন, মিনারেল এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট। কিন্তু আমরা কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা এবং এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানিনা। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আজকের এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে আপনি ককচুর লতি খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।পোস্ট সূচীপত্রঃ কচুর লতি খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পকে জানুন
- কচুর লতি খাওয়ার ২০টি উপকারিতা
- কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা
- কচুর লতির পুষ্টিগুণ
- কচুর লতির উপাদান
- কচুর লতি খেলে কি এলার্জি হয়
- গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা
- কচুর ফুল খাওয়ার উপকারিতা
- কচুর লতি রেসিপি
- কচুর লতিতে কি কি ভিটামিন থাকে
- কচুর লতি খেলে কি হয়
- কচুর লতি চাষ পদ্ধতি
- লেখকের মন্তব্যঃকচুর লতি খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
কচুর লতি খাওয়ার ২০টি উপকারিতা
কচুর লতি খাওয়ার ২০টি উপকারিতা, সম্পর্কে আমরা এখন জানবো। কচুর লতিতে রয়েছে অনেক উপকার, আবার অনেক লোকজন আছে যাদের কচুর লতি খেলে চুলকানি বা এলার্জির মত সমস্যা হয়ে থাকে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা জেনে নিতে পারবেন কচল লতি খেলে কি কি হয়ে থাকে। কত লতি খাওয়ার উপকারিতা গুলো অনেক কারণ মানবদেহে অনেক পুষ্টি প্রয়োজন হয়ে থাকে, পুষ্টিগুণ না থাকলে শরীর ভালো থাকে না। তাহলে চলুন কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃকিসমিস খাওয়ার ৫০টি গুনাগুন ও কিসমিসের যৌন বৃদ্ধি
১. পুষ্টি সমৃদ্ধঃ কচুর লতির পাতায় ভিটামিন এসি এবং বি কমপ্লেক্স মিনারেল জীবন ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং আয়রন প্রচুর পরিমাণে থাকে।
২. হজমে সহায়কঃ কচুর লতিতে ফাইবার থাকার কারণে এটি হজমে অনেক সহায়তা করে এবং
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৩. ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করনঃ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান গুলো
শরীরে ইউনিয়ন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণঃ কচুর লতিতে ক্যালরিযুক্ত এবং বেশি ফাইবারের জন্য ওজন
নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ কচুর লতিতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য
করে।
৬ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ এর গ্লাইসেনিক ইনডেক্স কম, থাকার কারণে এটি ডায়াবেটিসের
রোগীদের জন্য অনেক উপকারী।
৭. মেটাবলিজম উন্নত করেঃ কচুর লতিতে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স মেটাবলিজম অনেক পরিমাণে বাড়াতে সাহায্য করে।
কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা
কচুর লতি খাওয়া যেমনি উপকার রয়েছে, তেমনি আবার কচুর লতি খাবার অপকারিতাও
রয়েছে। আমরা গর্ব অবস্থায় বা এমনিতেই কচুর লতি পুরোপুরি করে মাছ দিয়ে খেয়ে
থাকি। এভাবে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। এই কচুর লতি পুরপুরি খেলে শরীরে অনেক
পরিমাণে পুষ্টিগুণ বা ভিটামিনের ভরপুর হয়ে যায়। তাহলে চলুন কচুর লতি খাওয়ার
অপকারিতা সম্পর্কে যে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
১ এলার্জি ও অঙ্গোস্তিঃ যেসব লোকের কচুর লতি খাওয়ার পর এলার্জিক প্রক্রিয়া বা গ্যাসটুইনটেস্টি অসন্তুষ্টি হতে পারে।
২ সমটিক লেটেক্স এলার্জিঃ কচুর লতির উপাদান লেটেক্স এলার্জি সহ বিভিন্ন এলার্জির লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে।
৩ অ্যান্ড থাকলেটেশনঃ কচুর লতিপাতা ও কিছু খাবার সঠিকভাবে রান্না না করলে সেগুলো বিষাক্ত হতে পারে। বিশেষ করে কাঁচা কচুর লতি খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এতে অল্প এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে যা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে।
৪ গোলটিনঃ কচুর লতি একটি হাইবেসিস উপাদানকারী উচ্চ হতে পারে যা কিছু মানুষের গ্যাস্টইং টেস্ট সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
লিভার বা কিডনির সমস্যাঃ কচুর লতি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে লিভার বা কিডনির মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
কচুর লতির পুষ্টিগুণ
প্রচুর লতির পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। কচুর লতি খেলে আমাদের শারীরিক অনেক সমস্যা থেকে
মুক্তি পাওয়া যায়। কচুর লতিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
মিনারেল জীবন ক্যালোরি পটাশিয়াম, আয়রন প্রচুর পরিমাণে থাকে, যার জন্য আমাদের
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কচুর লতিদের রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি এর মত প্রয়োজনের ভিটামিন এতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। আবার আয়রন ক্যালসিয়াম এবং আয়োডিনো কচুর লতির মধ্যে থাকে। ফাইবার বা আজ যুক্ত খাবার প্রচুর লতির প্রধান উৎস। মিনারেল ভিটামিন অনেক ধরনের পাওয়া যায় কচুর লতিতে।
কচুর লতির উপাদান
প্রচুর লতির উপাদান অনেক রয়েছে। কচুর লতি খেলে আমাদের শারীরিক অনেক সমস্যা থেকে
মুক্তি পাওয়া যায়। কচুর লতিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
মিনারেল জীবন ক্যালোরি পটাশিয়াম, আয়রন প্রচুর পরিমাণে থাকে, যার জন্য আমাদের
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কচুর লতিদের রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি এর মত প্রয়োজনের ভিটামিন এতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। আবার আয়রন ক্যালসিয়াম এবং আয়োডিনো কচুর লতির মধ্যে থাকে। ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার প্রচুর পরীমানে লতির প্রধান উৎস। মিনারেল ভিটামিন অনেক ধরনের পাওয়া যায় কচুর লতিতে।
কচুর লতি খেলে কি এলার্জি হয়
অনেকেই কচু লতি খেয়ে থাকেন, কিন্তু কারো কারো কচুর লতি খেলে অ্যালার্জির মত চর্ম রোগে বা অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। কত লতি খাওয়ার কারণে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা যদিও এটি বেশিরভাগ মানুষের জন্য সাধারণ নয়। তাই সঠিক পরিমাণে যদি এলার্জি হয় তবে এর এটি সাধারণ নিয়ম গুলো উল্লেখ করে দেয়া হলোঃ
ত্বকের প্রক্রিয়াঃ চুলকানি কালো বা হালকা লালচে দাগ।
হজমে সমস্যাঃ পেটের ব্যথা, বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়ার মত হওয়া।
শ্বাসকষ্টঃ শ্বাসকষ্ট হওয়া বা গলা ফুলে যাওয়া।
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা
কচুর লতি এমনি খাওয়ার থেকে গর্ভবতী অবস্থায় প্রচুর লতি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থার প্রচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। সেটা যদি সঠিক পরিমাণে প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে চলুন নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক ওর অবস্থায় কচুর লতিফার উপকারিতা সম্পর্কে।
১. পুষ্টিঃ কচুর লতির পাতা ভিটামিন এ বি সি কমপ্লেক্স ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে যার গর্ভবতী মায়ের জন্য স্বাস্থ্য ও শিশুর বিকাশ ঘটে।
২. ফাইবারঃ কচুর লতিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজম শক্তি উন্নত করতে এবং
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে, যা গর্ভাবস্থায় একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে
থাকে।
৩. আয়রনঃ কচুর্য দিতে আয়রনের পরিমাণ অনেক বেশি, যার রক্তের অভাব এনিমেনিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কচু লতিফা যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি গর্ভবস্থায় কচুর লতিফার
অপকারিতা রয়েছে। মহিলাদের প্রচুর লতি খাওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় তাদের সন্তানদের
অনেক ক্ষতি হয়ে থাকি বা গর্ব অবস্থায় বেশি কচুর লতি খেলে এলাচি প্রক্রিয়া হতে
পারে। যেমন ত্বকের চুলকানি বা অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
১. গ্যাসঃ কচুর লতিউর উচ্চ ফাইবার কন্টেন্ট গ্যাস থাকে, যার ফলে গ্যাস বাড়াতে
পারে যা গর্ব অবস্থায় গ্যাস বাড়ানোর কারণ হতে পারে।
২. খাদ্য বিষয়ক সতর্কতাঃ কচুর লতি কাঁচা আঁশ বা সঠিকভাবে রান্না না করে খেলে
সেটি বিষাক্ত হতে পারে, তাই কচুর লতি রান্না করার আগে ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে
হবে।
৩. ওজন বৃদ্ধিঃ কত লতিউচ্চ কার্বোহাইড্রেট ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে, যদিও
এটি বেশি পরিমাণ খেলে।
বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় কোন কিছু খাওয়ার জন্য, আপনাদের ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কচুর ফুল খাওয়ার উপকারিতা
কচুর ফুল খাওয়ার উপকারিতা, কচুর ফুল যা প্রচুর লতির ফুল হিসেবে পরিচিত। যদিও
প্রচুর ফুল কম ব্যবহৃত হয়ে থাকে তা সত্ত্বেও এটি কিছু বিশেষ সুবিধা প্রকাশ করে
থাকে। তাহলে চরণ নিচে প্রচুর ফুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. পুষ্টিঃ কত ফুলে বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান থাকে, যা শরীরে স্বাস্থ্যের
জন্য অনেক উপকারী হতে পারে।
২. পাচনতন্ত্রের উন্নতিঃ কচুর ফুলে উপস্থিত ফাইবার পাচনতন্ত্রকে উন্নত করতে
সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
৩. ইউনিয়ন সিস্টেমঃ ফুলে থাকা কিছু পুষ্টি উপাদান ইউনিয়ন সিস্টেমকে শক্তিশালী
করে তোলে।
৪. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্যঃ প্রচুর ফুলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য
শরীরকে ফ্রি মেডিকেল থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে এবং কোষের রোশনি থেকে সাহায্য
করে।
৫. মৌসুমীরও প্রতিরোধঃ কিছু লোক মনে করেন যে কচুর ফুল খেলে অনেক সর্দি কাশি হয়ে থাকে, মৌসুমী রোগে বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে তুলতে মৌসুমী প্রতিরোধ করে।
কচুর লতি রেসিপি
কচুর লতি রেসিপি করে খেতে অনেক জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু। এই কচুর লতি ডেসিপি
সম্পর্কে চলেন এখন বিস্তারিত জেনে না যাক।
১. কচুর লতির ভর্তা
- কচুর -লতি দুই কাপ
- পেঁয়াজ -এক কুচি
- রসুন -দুই থেকে তিন কোয়া
- মরিচ -দুই থেকে তিন কুচি
- হলুদ -গুঁড়া এক চামচ
- লবণ -সাদ অনুসারে
- তেল -দুই টেবিল চামচ
প্রণালীঃ
- কচুর লতি ভালো করে ধুয়ে পানি শুকিয়ে দিন
- একটি পাত্রে গরম পানি করে প্রচুর লতি 5 থেকে 7 মিনিট সিদ্ধ করে নিন।
- কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ-রসুন, আদা ভেজে নিন।
- টমেটো, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধোনের গুঁড়া ও লবন দিয়ে মসলা ভেজে নিন।
- সস, লবণ ও মরিচ যোগ করুন।
- ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং ঠান্ডা হলে সেটি ব্লান্ডারে দিয়ে বেস্ট করে নিন।
৩. কচুর লতি দস্তা
কচুর লতি-তিন কাপ
মুরগির মাংস-২০ গ্রাম
পেঁয়াজ -দুইটি কুচি
রসুন-তিন কোয়া
আদা-১ ইঞ্চি কুচি
টমেটো-এক কুচি
হলুদ গুঁড়া-এক চা চামচ
মরিচ গুঁড়া-এক চা চামচ
ধনে গুঁড়া-এক চা চামচ
লবণ-টাক অনুযায়ী
তেল-তিন টেবিল চামচ
আরো পড়ুনঃগর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
প্রণালীঃ
- কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ভেজে নিন।
- টমেটো, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, লবণ দিয়ে মসলা ভেজে নিন।
- মুরগির মাংস যোগ করে রান্না করুন যতক্ষণ না মাংস সেদ্ধ হয়।
- তারপর কচুর লতি যোগ করে কিছুক্ষণ রান্না করতে থাকুন।
- গরম গরম পরিবেশ তৈরি করুন।
৩. কচুর লতির স্যুপ
উপকরণঃ
কচুর লতি-দুই কাপ
গাজর-একটি
পেঁয়াজ-একটি
রসুন-দুই কোয়া
সস-দুই চা চামচ
লবণ ও মরিচ-আপনার স্বাদ অনুযায়ী
পানি-তিন কাপ
প্রণালীঃ
- একটি পাত্রের জল গরম করুন।
- কচুর লতি গাজর, পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে সিদ্ধ করে নিন।
- সস, লবন ও মরিচ যোগ করে দিন।
- ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং ঠান্ডা হলে ব্লেন্ডারে ব্ল্যান্ড করে নিন।
- তারপরে গরম গরম পরিবেশ করুন।
কচুর লতিতে কি কি ভিটামিন থাকে
কচুর লতিতে কি কি ভিটামিন আছে সে সম্পর্কে তরুণ বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। এই
ভিটামিন গুলো কচুর লতির পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে এবং এটি স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য
করে।
১. ভিটামিন A: চোখের স্বাস্থ্য ও ত্বকের সুস্থতা জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রচন্ড
অতি এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং রাতকানা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
২. ভিটামিন C: কমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে, ত্বককে সুরক্ষিত রাখে এবং
আন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি আয়রন শোষণ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
৩. ভিটামিন B: কমপ্লেক্সঃ ভিটামিন বি যেমনঃ B1,B2,B3,B4,B5,B6 শারীরিক শক্তি উপাদান মেটাবলিজম উন্নত এবং স্নায়ু সিস্টেমে সুস্থতা জন্য অনেক প্রয়োজনীয়।
কচুর লতি খেলে কি হয়
আমরা অনেকেই কচুর লতি খেয়ে থাকি, কিন্তু প্রচুর লতি খেলে কি হয় সেগুলোর কথা আমরা অনেককেই জানিনা। তাহলে চলুন আজকে আর্টিকেল এর মাধ্যমে কচুর লতি খেলে কি হয় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
উপকারিতাঃ
১. পুষ্টিঃ কত লতি পাতা ভিটামিন এ সি এবং বি কমপ্লেক্স ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম এবং আয়রন থাকে যা স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে সাহায্য করে।
২হজমঃ কচুর লতিতে ফাইবার রয়েছে যা হজম শক্তি বাড়াতে মুখস্ত কাটিং দূর করতে
সাহায্য করে।
৩. ইমিউন সিস্টেমঃ ভিটামিন সি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিস্থিতিতে শরীরের
সিস্টেমটাকে শক্তিশালী করে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণঃ কম ক্যালোরিও বেশি ফাইবার থাকার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণের
সাহায্য করতে পারে।
অপকারিতাঃ
১. এলার্জি ও অঙ্গোস্তিঃ যেসব লোকের কচুর লতি খাওয়ার পর এলার্জিক প্রক্রিয়া বা গ্যাসটুইনটেস্টি অসন্তুষ্টি হতে পারে।
২ সমটিক লেটেক্স এলার্জিঃ কচুর লতির উপাদান লেটেক্স এলার্জি সহ বিভিন্ন এলার্জির লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে।
৩ অ্যান্ড থাকলেটেশনঃ কচুর লতিপাতা ও কিছু খাবার সঠিকভাবে রান্না না করলে সেগুলো বিষাক্ত হতে পারে। বিশেষ করে কাঁচা কচুর লতি খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এতে অল্প এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে যা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে।
৪ গোলটিনঃ কচুর লতি একটি হাইবেসিস উপাদানকারী উচ্চ হতে পারে যা কিছু মানুষের গ্যাস্টইং টেস্ট সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
লিভার বা কিডনির সমস্যাঃ কচুর লতি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে লিভার বা কিডনির মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
কচুর লতি চাষ পদ্ধতি
কচুর লতি চাষ পদ্ধতি আমাদের দেশে একটি প্রধান ফসল হিসেবেও আখ্যায়িত আছে। কতুর
লতি চাষ করা খুব সহজ। যদি আপনি এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তাহলে চলো নিচে
বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক কচুর লতি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।
ভূমি প্রস্তুতিঃ
সর্বতম আপনাকে ভূমি নির্বাচন করতে হবে কচুর লতিবা ভালো জল নিষ্কাশনের জন্য আদর্শ
তো আসবা সুষম মাটি সবচেয়ে উপযোগী। মাটি তৈরি মাটি ভালোভাবে চাষ করে আগাছা ও পাথর
পরিষ্কার করতে হবে। তারপরে মাটির মধ্যে ভালো পুলিশ পদার্থ নিশ্চিত করতে কম্পোস্ট
বা অর্গানিক সাল যুগ করতে হবে।
চারা প্রস্তুতিঃ
যারা নির্বাচন করে কচুর লতির জন্য স্বাস্থ্যকর চারা নির্বাচন করতে হবে। সাধারণত
কচুর লতি, ক্যাটিং স্ট্যাম্প বা কোন চারা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যারা কাটিং এর
অংশ মাটিতে রোপন করে আগে দুই থেকে তিন দিন ছাড়া যুক্ত স্থানে শুকিয়ে দিতে
হবে।
চারা রুপনঃ কচুর লতি গরম সসুমের সমান করা অনেক ভালো, সাধারণত বর্ষায় শুরুতে।
প্রতি এক মিটার জায়গায় তিন থেকে চার ফুট দূরত্ব রেখে কচুর লতি সারার ওপর করতে
হবে। গন্ধগুলো প্রায় পাঁচ থেকে সাত সেন্টিমিটার গভীরতা রোপন করতে হবে।
পরিচর্যাঃ
নিয়মিত জল দিতে হবে তবে মাটির জল জমে না যায় তা দিকে খেয়াল রাখতে হবে। রোপনের
পর এক মাস পরে নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি দুই থেকে তিন মাস
পরে কম্পোস্ট বা অর্গানিক স্যার ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে
হবে যাতে প্রচুর লতি ভালোভাবে উপরের দিকে বেরিয়ে উঠতে পারে।
রোগ এবং পোকা মাকড়ঃ
কচুর লতি বিভিন্ন রোগের শিকার হতে পারে যেমন পাতায় দাগ, শিকড়ে পচন ইত্যাদির মত
সমস্যা হতে পারে। সে সমস্যার জন্য প্রয়োজনে ফেন্ডিসাইড ওষুধ ব্যবহার করতে
হবে।
কাটিং এবং সংগ্রহঃ
6 থেকে 7 মাস পরে কচুর লতির পাতার আকার বড় হয়ে যাবে এবং গন্ধের আকার যথেষ্ট বড় হয়ে সংগ্রহ করতে হবে। কোন দিনগুলো মাটির নিচ থেকে তুলে ভালোভাবে পরিষ্কার করি বাজারজাত করতে পারে।
লেখকের মন্তব্যঃকচুর লতি খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের কচুর লতি খাওয়ার ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে পরে আপনি সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই নিয়মমেন্টে করে আপনি প্রচুর লতি খেলে আপনার পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যাবে। আবারো অনেকেই কচুর লতি খেয়ে থাকি কিন্তু কচুর লতি খাওয়ার আসল পদ্ধতি গুলো জানিনা। আশা করি আপনি এই আর্টিকেল মাধ্যমে সঠিক তথ্য পেয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কি পরিমাণে ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত
আপনি যদি কচুর লতি খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পকে সম্পর্কে পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে পোস্টটি শেয়ার করুন। যাতে আপনার বন্দরের পোস্টটি পড়ে উপকৃত হতে পারে। এতক্ষন ধরে এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে স্বাগতম, ততক্ষণ সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url