হজম শক্তি বৃদ্ধির সেরা ২০টি উপায় সম্পকে জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি কি হজম শক্তি বৃদ্ধির সেরা ২০টি উপায় সম্পকে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি কিভাবে হজম শক্তি বৃদ্ধি করবেন তার ২০টি সেরা উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চলেছি।
হজম-শক্তি-বৃদ্ধির-সেরা-২০টি-উপায়
মানবদেহের শরীর সুস্থ রাখতে হলে হজম শক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেগুলো খাবার খেয়ে থাকেন সেগুলো যদি আপনার শরীরে হজম না হয়ে থাকে তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

লেখকের মন্তব্যঃ হজম শক্তি বৃদ্ধির সেরা ২০টি উপায় সম্পকে পড়ুন

হজম শক্তি বৃদ্ধির সেরা ২০টি উপায়

হজম শক্তি এবং শরীর সুস্থ রাখার জন্য হজম শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। হজম প্রক্রিয়া ঠিক না থাকলে গ্যাস অবলম্বন পেট ব্যথা এবং পেট ফাঁপা কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক ভাবে ঘরোয়া উপায় হজম শক্তি বৃদ্ধি সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গরম পানি পান করলে শরীর টক্সিন নামক পদার্থ বের হয়ে যায় এবং লিভারস্বয়ংক্রিয় থাকে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার ১০টি উপকারিতা

তাহলে চলুন হজম শক্তি বৃদ্ধির সেরা ২০টি উপায় সম্পকে নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

  1. প্রতিদিন সময় মত খাবার খাওয়া খানঃ প্রতিদিন আপনি যেই সময় খাবার খেয়ে থাকেন আপনাকে প্রতিদিন ওই সময় খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন আপনি ওই সময় খাবার গ্রহণ করলে আপনার শরীরে হজম শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তাই প্রতিদিন চেষ্টা করুন নিয়মিত খাবার গ্রহণ করের।
  2. ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার খানঃ বেশি বেশি শাক-সবজি আলু, পটস, আপেল, বালী, স্ট্রবেরি বাদাম সহ অন্যান্য ফলমূল খেতে পারেন। এসব স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়। এছাড়াও আপনি অস্ত্রের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এই খাবারগুলো খেতে পারেন।
  3. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুনঃ দৈনিক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩.৭ লিটার এবং নারীদের ২.৭ লিটার পর্যন্ত পানি পান করা উচিত। তবে মনে রাখতে হবে আনুমানিক 20% পানি খাদ্যদ্রব্যের পানি খেয়ে ফেলেন। পানি আপনার হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
  4. প্রোবায়োটিকস সমুদ্র খাবার খানঃ প্রবায়োটিকস আমাদের দেহে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। উপকারী ব্যাকটেরিয়া সংখ্যা বৃদ্ধি করে, যেমনঃ টক দই, কেফির, বাটার মিল্ক, ইত্যাদিতে প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ খাবার থাকে। এই খাবারগুলো হজম কারী ব্যাকটেরিয়ার কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
  5. ভালোভাবে চিবিয়ে খাবার খানঃ ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়ার আরেকটি অন্যতম হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায়। কেননা আপনি যদি ভালোভাবে খাবার চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে খাবারের দানা গুলো অনেক ছোট আকারের হিসেবে ভিতরে যায়। যার কারণে ব্যাকটেরিয়া এগুলো হজম করতে সুবিধা হবে। বিশেষ করে শক্ত খাবারের ক্ষেত্রে ওই খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া জরুরি।
  6. অতিরিক্ত ঝাল ও চৌধুরী যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুনঃ অতিরিক্ত ঝাল, ছবি যুক্ত ও তেল ভাজা খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে। তাই পরবর্তীতে পাকস্থলীতে পদ্মা এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আপনিও যদি আমাদের মত মুখর্য খাবার পছন্দ করে থাকেন তাহলে আপনার এটা অপরিহার করতে হবে।
  7. নিয়মিত খাবার খান ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিহার করুনঃ প্রতিদিন একই সময় নিয়মিত মেনে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হতে পারে আরেকটি হজম শক্তির উপায়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে খাবার খেলে আপনার গ্যাস্টিক হতে পারে। যা পরবর্তীতে বদহজমের কারণ হতে পারে। আপনার যদি ধূমপান বা অন্য কোন নেশা থেকে তাকে তাহলে এই অভ্যাসটি আপনাকে পরিহার করতে হবে।
  8. পর্যাপ্ত ঘুম পাড়ুনঃ আমাদের শারীরিক এবং মানসিক বিশ্রামের জন্য ঘুমের কোন বিকল্পই নেই। অভিজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হজমের সমস্যা এবং ক্লান্তি মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাই হজম শক্তি কমে গেলে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
  9. নিয়মিত ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম করুনঃ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনাদের দৈনিক রুটিন অনুযায়ী শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম না থাকে তাহলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং সুস্থ জীবন যাপন করতে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করুন।
  10. চা ও কফি অল্প পরিমাণে সেবন করুনঃ চাও কফি আমাদের দৈনিক রুটিন এ খাবারে থাকে। তাই আমাদের চা ও কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা চা ও কফি খেলে শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্যের মাত্র বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তাই চা ও কফি অল্প পরিমাণে খাওয়াটাই ভালো।
  11. সুস্বাস্থ্যের জন্য আদা এবং গোলমরিচ ব্যবহার করুনঃ আমাদের শারীরিক-মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য, এবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার জন্য আদা এবং গোল মরিচ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য আদা এবং গোল মরিচ আমাদের সেবন করতে হবে।
  12. কলা ও পেঁপে খানঃ আমাদের শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য কলা ও পেঁপে অনেক উপকারী একটি খাদ্য। কেননা পেঁপে খেলে আমাদের হজম শক্তি অনেক বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এর সাথে সাথে কলা খেলেও অনেক হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মাত্রা কমে যায়।
  13. শরীরের জন্য জিরা এবং লবণ ব্যবহার করুনঃ শরীর সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের নানা রকম খাদ্য ব্যবহার করে থাকে। তাই খাবার পরে যদি আপনি জিরা এবং লবণ বা কালোজিরা এবং লবঙ্গ খেতে পারেন আপনার সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে।
  14. খাবার গ্রহণ করার পর বিশ্রাম করুনঃ আমরা মানব দেহে খাবার গ্রহণ করার পর অনেকেই বিশ্রাম করি আবার অনেকে বিশ্রাম করে থাকি না। তাই হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য খাবার গ্রহণ করার পর অবশ্যই আপনাকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশ্রাম করতে হবে।
  15. হারবাল খানঃ আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে হজম শক্তির মত সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে আপনি হারবালের ওষুধ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে সেই ওষুধ ডাক্তারের মধ্যে সেবন করতে পারে।
  16. ভালোভাবে বসে খানঃ আমরা প্রতিনিয়ত যে সময় খেয়ে থাকি সেই সময় আমরা আগে ভালোভাবে দেখতে হবে আমরা কেমন ভাবে বসে আছি কেমন সিস্টেমে সেখানে খাওয়া যাবে সে সম্পর্কে। খাওয়ার আগেই সেখানে সোজা হয়ে বসে থেকে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
  17. তেলাক্ত জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুনঃ আমরা অনেকেই থাকি যারা প্রতিনিয়ত ভাজাপোড়া খেয়ে থাকি। এগুলো খাওয়ার থেকে আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে। তাহলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
  18. খালি পেটে কিসমিস খানঃ আমাদের শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আমরা যদি প্রতিদিন নিয়মিত পাঁচ থেকে সাতটি দানা কিসমিস খেতে পারি তাহলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
  19. কালিজিরা এবং জাউন খানঃ আমাদের মানব দেহে হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য কালিজিরা এবং জাওন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা খাবার পরে যদি আপনি কালিজিরা এবং যাওন খেতে পারেন তাহলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
  20. পাথরকুচির পাতাঃ এই পাথরকুচির পাতা হজম শক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যাদের হজম শক্তি কম হয় তারা এই পাথরকুচির পাতাটা সেবন করতে পারো। আশা করি তাদের হজম শক্তি বৃদ্ধির পাবে।

হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ কি

শক্তি কমে যাওয়ার সাধারণত একটি সমস্যা যা অনেকেই প্রতিনিয়ত অনুভব করে থাকে। হজম শক্তি দুর্বল হলে খাবার সঠিকভাবে পরিপাক হয় না। ফলে পেটে গ্যাস বাপের ফাঁপা পেট ফুলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অরজির মতো সমস্যা  হয় । এর প্রধান কারণ হলো অনিয়মিত জীবন যাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা। অতিরিক্ত তেল মসলা ভাজাপোড়া ফাস্টফুড ও ডক্স ডিস্ক গ্রহণ ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
হজম-শক্তি-কমে-যাওয়ার-কারণ-কি
এছাড়াও যথেষ্ট পরিমাণে পানি খাওয়া অর অনিয়মিত খাবার খাওয়া দেরিতে ঘুমানো হজম শক্তি কমিয়ে দেয়। অনেক সময় মানসিক চাপ ও অতিরিক্ত কাজের চাপ হলে হজম প্রক্রিয়ার উপর নথিবাচক প্রভাব পড়ে। শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে হজম শক্তি কমে যায়। নিয়মিত ব্যায়াম না করার ফলে গতিশীলতা কমে যায় যার ফলে সঠিকভাবে হজম হয় না।

এছাড়া ধুমপান অতিরিক্ত কফি বা অ্যালকোহল বহন করা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। ঘুমের অভাব এবং দীর্ঘসময় ক্ষুধার্ত থাকা হজম শক্তিকে দুর্বল করে তোলে। সুস্থ হজমের জন্য প্রতিদিন খাদ্য অভ্যাস পর্যাপ্ত পানি ব্যায়াম এবং মানসিক প্রশান্তির বজ্জায় রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এসব অভ্যাস অনুসরণ করলে হজম শক্তি ফিরে আসে এবং শরীরে থাকে হালকা এনার্জি।

হজম শক্তি কমে যাওয়ার লক্ষণ

হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ গুলো সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানব। হজম শক্তি কমে গেলে মানবদেহে শরীরের নানা রকমের অসস্তি দেখা দেয়। যা অনেক সময় আমরা সাধারণত সমস্যা ভেবে সেগুলো এড়িয়ে চলি। কিন্তু হজমের সমস্যা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে তার শরীরের সামরিক স্বাস্থ্যের উপর নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।

সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ আপনারা যদি পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা হতে দেখেন তাহলে বুঝবেন আপনার হজম শক্তি সমস্যা হয়েছে। খাবার খাওয়ার পর পেট ভারি লাগাতে অস্বস্তি অনুভব করলে বুঝবেন এটা হজম দুর্বলতার প্রধান কারণ বা লক্ষণ। এছাড়াও অম্বল বুক জ্বালা বমি ভাব ও ওরতি হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারন।

অনেক সময় খাবার সঠিকভাবে হজম না হলে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। আরো গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল খাবার হজম না হলে কোষ্ঠকাঠিন্য বাবা পাতলা পায়খানার মত সমস্যা দেখা দেয়। অস্ত্রের কার্যকারিতা ব্যাহত হলে শরীরের টক্সিন জমা হয়ে যায় ফলে ত্বকে ব্রণ ক্রান্তি সম্যসা এবং মন খারাপের মতো উপসর্গ দেখা যায়। কখনো কখনো দুর্বলতার কারণে শরীরে অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যায়।

অনিয়মতো পেট ভারী লাগা খাবারের খেলে ঘুম ঘুম ভাব মুখ শুকিয়ে যাওয়া পেট ব্যথা হওয়ার হজম দুর্বল হওয়া ইঙ্গিত দেয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে তা অবহেলা না করে এগুলো অভ্যাস জীবন যাপনের পরিবর্তন আপনাকে আনতে হবে। এগুলো সময় মত চিকিৎসা এবং প্রাকৃতিক উপায় বহন করলে স্বাভাবিকভাবে আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।

হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম

আপনার তখন অধম শক্তি কমে যায় তখন খাদ্য হজমে সমস্যা হয়। ফলে অধীনতা গ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের অম্বল অস্থির দেখা দেয়। আপনি যদি প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে আপনার হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও কার্যকর করে তুলবে। পেটের বেশি সংস্কৃতিও রাখে এবং খাদ্য চলাচল কে আরো উন্নত করে তোলে।

সহজ দামের মধ্যে হাটা অন্যতম প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট হালকা হাঁটলে পেটের হজম সমস্যাকে মুক্তি দেয়। এছাড়া যোগ্য ব্যায়াম হজম শক্তি বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর। বিশেষ করে পর্বনমুক্ত ভাষণ ও কৃপ্নাশন পেটের মেদ কমা এবং হজম প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি করে। পেটে হালকা গ্যাস এবং গৌরব বেশির ব্যায়াম ও হজম শক্তি বাড়ায়। আরও একটি কার্যকর ব্যায়াম হলো সাঁতার কাটা। আপনি যদি প্রতিদিন সাঁতার কাটতে পারেন তাহলে আপনারা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। 

আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কি পরিমাণে ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত

আবার আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে 200 মিটার হাটার চেষ্টা করুন। আপনি যদি প্রতিদিন এই নিয়মটি মেনে চলেন তাহলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি হজম শক্তি বৃদ্ধির প্রেম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

হজম শক্তি বৃদ্ধির খাবার

হজম শক্তি মানুষের সুস্থতা ও স্বাভাবিক খাদক পরিপাকের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। হজম শক্তি কমে গেলে পেটে নানা রকম সমস্যা এবং বমি বমি ভাব ইত্যাদির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনাকে হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য সঠিক খাবার গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে কার্যকরী হজম শক্তি বৃদ্ধি করা খাবারের মধ্যে রয়েছে সমৃদ্ধ খাবার যেমনঃ

  • দই 
  • ছানা 
  • কেফির
  • কলা
  • পেঁপে
  • সবুজ শাকসবজি
  • কমলালেবু
  • আপেল
  • তরমুজ
  • পর্যাপ্ত পানি
  • স্ট্রবেরি

এগুলো খাবার পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আজ যুক্ত খাবার শসা গাজর পালং শাক ও প্রাইজ হজমকে সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ফলমূল বিশেষ করে আপেল পেয়ারা পেঁপে ও কলা হজম শক্তিতে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিত এর খাবারগুলো খেতে পারেন তাহলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। 

লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে

লিভার মানব দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এটি খাবার হজম টক্সিন দূরীকরণ ও শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। প্রথমে দেখা যায় খাবারের অরুচি এবং বদহজমের সমস্যা সমাধান করে। আপনি যেগুলো খাবার খান সেই খাবার ঠিকমতো হজম না হলে পেটে ভারী লাগা বমি বমি ভাব কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। লিভার পর্যাপ্ত পরিমাণে পিত্তরস উৎপাদন না করলে চর্বি ভাঙতে অসুবিধা হয় ফলে যুক্ত খাবার হজম হতে দেরি হয়।

আপনার লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে শরীরের টক্সিন পদার্থ জমে যায় যার ফলে আপনার টকের রেশন সার্বিক ক্লান্তি অনুভব করতে হয়। এছাড়াও ওজন স্বাভাবিকভাবে বারে বা কমে মূত্রতন্ত্রের রং পরিবর্তন হয়। এছাড়াও ডান দিকের পাঁজরের নিচের হালকা ব্যথা লক্ষণ হতে পারে, দীর্ঘ সময় আপনার লিভারের হজম শক্তি দুর্বলে থাকলে লিভারের ফ্যাটি বা জন্ডিসের ঝুঁকি দেখা দেয়। 

তাই সুসম্ম খাদ্য অভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান, অনিয়মিতব্যায়াম এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। লিভারকে সুস্থ রাখতে হলে শরীরে হজম শক্তি রূপ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুটো বৃদ্ধি করতে হবে। আশা করি এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে সেটা জানতে পেরেছেন। 

লিভারে হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায়

লিভার আমাদের শরীরে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা হজম পিত্তথলির উপাদান ও শরীর টক্সিন দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলে লিভারে হজম শক্তি স্বাভাবিক ও সংক্রিয় রাখা যায়। প্রথমে খাবার নিয়মিত ও পরিমিতভাবে খেতে হবে। অতিভোজন বা দীর্ঘক্ষণ না খাওয়া লিভারের ওপরে চাপ ফেলা উত্তম।

সকালে খালি পেটে এক গ্লাস লেবু মিশে গরম পানি পান করলে লিভার পরিষ্কার থাকে এবং হজম রসের নিঃসরণ বাড়ে। আদা রসুন কালোজিরা ও মধু লিভারের জন্য অনেক উপকারী। প্রাকৃতিক উপাদান বাদ বিদ্বেষ সত্য উপাদানের হজমের সাহায্য করে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে লিভার টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।

তেল ছবি ও ভাজা পড়া জাতীয় খাবার কম খাওয়া সবু শাকসবজি ফলমূলও আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা লিভারকে সংক্রিয় রাখে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত ব্যায়াম পর্যাপ্ত ঘুম এবং অ্যালকোহল ধূমপান জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এসব প্রাকৃতিক উপায় অনুসরণ করলে লিভারের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং সুস্থ থাকতে পারবেন। 

হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ

আপনারা যদি হজম শক্তি কমে যায় তাহলে পেট ভারী ভাব অস্বস্তি, গ্যাস এবং পেট ফোলা কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দেখা দেয়। এমন হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য বিশেষ সিরাপ ব্যবহার করা যেতে পারে যা খাদ্য হজম সংস্কৃত সহজ এবং কার্যকর করে তোলে। এই ধরনের সিরাপ সাধারণত প্রাকৃতিক উপাদান ও প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ। প্রবায়োটিক স সেরা পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া আবৃত্তি করে এবং পেটের এসিডিটিকে কমায়।

এছাড়া বিভিন্ন উক্তিভিত্তিক সিরাপ যেমনঃ

  • Aristozyme
  • Caripa
  • priparmet

এইগুলো সিরাপ গ্যাস হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হজম শক্তি বৃদ্ধির সেরা ব্যবহারের সময় শারীরিক প্রতি যত্ন নেয়া জরুরী। সাধারণত খাবারের পর নির্দিষ্ট পরিমাণে এই সিরাপ খাওয়া যায়। শিশু বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী এই সিরাপ ব্যবহার করতে হবে। হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ একটি হজম ও কার্যকর সমাধান।

পেটের স্বাস্থ্য রক্ষা করে নিয়মিত খাদ্য ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের সঙ্গে এটি ব্যবহার করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে এবং শরীর সুস্থ থাকে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি হজম শক্তি বৃদ্ধি করার সিরাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

হজম শক্তি গুরুত্বপূর্ণ কেন

সুস্বাস্থ্যের জন্য হজম শক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি বাধ্যবস্ত হলে বা কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে পুরো দেহ অস্বস্তি হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ্ধ স্রোত শারমিন আক্তার বলেছেন শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন না হলে তা পুরো দেহকে প্রভাবিত করে। তার মানে একটা খাবারের সাথে আরেকটা খাবার মিলে শোষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

হজম-শক্তি-গুরুত্বপূর্ণ-কেন
এটি বাধাগ্রস্ত হলে ওজন বেড়ে যায়, লিপিড প্রোফাইল বেড়ে যাওয়া, ইউরিক এসিড বেড়ে যায়, রক্তের গ্লুকোজ পরিমান বেড়ে যায়, মত শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবৃদ্ধ ডক্টর তাস্নিম হাসিম পাপিয়া বলেছেন হজম প্রক্রিয়া তিনটি ধাপে বিভক্ত থাকে। এগুলো হচ্ছে কি খাবার খাওয়া হচ্ছে সেটা, সেই খাবার পরিপূর্ণভাবে হজম এবং হজমের উপর সেটা শোষণ হওয়া।

হজম সম্পর্কিত সমস্যা বলতে শুধু গ্যাসের সমস্যায় ডায়রিয়া বা শুধু কষ্ট কারখানা কে বোঝায় না। এগুলো খুবই ইমিডিয়েট ইফেক্ট বা প্রভাব। হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো দেখা দেয়। এ ছাড়া কিছু ইন্ডিকেটস ইফেক্ট থাকে যেগুলো হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে হজম বৃদ্ধি স্থলতা বৃদ্ধির মত সমস্যা হতে পারে।
এছাড়া অনেক সময় খাবার খেলেও শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ার মত সমস্যা দেখা যায়। এর কারণ হলো পুষ্টিবৃন্দ এসোসিয়েশন অফ নিউটিশন এর অসাধারণ সম্পাদক শুনে হারের অনুমোদিত সংস্কৃতি গর্ভবতী মা ও শিশুদের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক না থাকলে পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া নিশ্চিত হয় না। ফলের গর্ভজাত শিশুদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে হজম সবজি গুরুত্বপূর্ণ কেন তা জানতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্যঃ  হজম শক্তি বৃদ্ধির সেরা ২০টি উপায়

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ হজম শক্তি বৃদ্ধির সেরা ২০টি উপায়, হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারন কি, হজম শক্তি কমে যাওয়ার লক্ষণ, হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম, হজম শক্তি বৃদ্ধির খাবার, লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে, লিভারের হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায়, হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ, হজম শক্তি গুরুত্বপূর্ণ কেন সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আশা করি হজম শক্তি বৃদ্ধির সেরা ২০টি উপায় সম্পর্কে পরে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ ধরে এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তী পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে স্বাগতম, ততক্ষণে সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url