কমলা লেবু খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত
আমরা সকলেই কমলালেবু খেতে পছন্দ করি। টক জাতীয় প্রাসাদো এই ছয়টি খেতে অনেক সুস্বাদু। আমরা অনেকেই জানিনা যে কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি কমলা লেবু খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।পোস্ট সূচিপত্রঃ কমলা লেবু খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ
- কমলা লেবু খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
- কমলা লেবু খাওয়ার অপকারিতা
- কমলা লেবু খাওয়ার পুষ্টিগুণ
- রাতে কমলা লেবু খেলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা
- কমলার রসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- কমলার রস এর উপকারিতা
- কমলা লেবু খাওয়ার নিয়ম
- কমলাতে থাকা পুষ্টি উপাদান
- কমলালেবু খেলে কি ঠান্ডা লাগে
- কমলা খেলে কি গ্যাস্ট্রিক হয়
- লেখক এর মন্তব্যঃ কমলা লেবু খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ
কমলা লেবু খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
শীতকালীন এই ফলটির চাহিদা অনেক বেশি। তবে সকল মৌসুমে এই ফলটি পাওয়া যায়। বিশেষ
গুণাগুণের কারণে শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এই ফলটি। তাহলে চলুন
নিচের কমলা লেবু খাওয়ার ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ কলা খাওয়ার ২০টি উপকারিতা- কলার অপকারিতা
- এলার্জি দাঁড়ায়ঃ কমলা শরীরের এনার্জি বাড়িয়ে তোলে। এটি সকালের নাস্তার জন্য দারুন উপকারি। ক্লান্তি দূর করতে কমলালেবুর রস অনেক উপকারি।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ চিকিৎসকের মধ্যে কমলা লেবু খাওয়া অনেক উপকার। কমলাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ইনসুলিন উৎপাদনে সহায়তা করে তুলে।
- কমলা লেবুর দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়ঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি যাদের দৃষ্টি শক্তি দুর্বল তাদের জন্য কমলালেবু খাওয়া অনেক উপকার। কমলা দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে কমলাতে ভিটামিন সি এর পাশাপাশি রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও বৃদ্ধ বয়সে চোখের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করতে কমলা অনেক কার্যকরী।
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে কমলার কার্যকারিতাঃ ফাইবারযুক্ত ফলের মধ্যে কমলা একটি বদহজম দূর করার পাশাপাশি পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে। ফাইবার মলকে স্বাভাবিক করে মদ ত্যাগের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলে, কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর হয়ে যায়।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করেঃ কমলা তে রয়েছে ডি লিমনিন এক প্রকার যৌগ। এর ফলে ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।, এটি ফুসফুসের ক্যান্সার স্তন্য ক্যান্সার এবং স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই বলা যায় ক্যান্সার রোগ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য কমলা লেবু খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
- হজম শক্তি বাড়ায়ঃ কমলায় ফাইবার হজমের সাহায্য করে। এটি কমলার ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে যা দৈনিক চাহিদার ১২% পূরণ করে। ফাইবারে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। একটি গবেষণাগারে দেখা গিয়েছে যারা প্রতিদিন ১৪ গ্রাম ফাইবার খায় তাদের হজম সমস্যা ১০% কমে যায়। ডাক্তার রশিদ হক বলেছেন কমলা পেটের জন্য একটি প্রাকৃতিক সমাধান তাই পেটের সমস্যা থাকলে কমলালেবু খাওয়া উচিত।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ কমলায় মাত্র ৬০ থেকে ৭০ ক্যালোরি থাকে। এটি পেট ভরায় কিন্তু ওজন বাড়ায় না। গবেষণা দেখা গিয়েছে কমলা খেলে ১০% কম ক্ষুদা লাগে। ফির থাকতে সাহায্য করে।
- চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ কমলায় ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে। একটি কমলা 2% ভিটামিন এ থাকে। কমলা চোখের জন্য অনেক উপকারি। ভালো দৃষ্টি শক্তি জন্য কমলালেবু খাওয়া অনেক উপকার।
- হৃদয়কে সুস্থ রাখেঃ কমলা লেবুতে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ফাইবার যা হৃদ রোগের জন্য অনেক উপকার। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে তোলে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা প্রতিদিন ৪ হাজার মিলিগ্রাম পটাশিয়াম খায় তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি 49% কমে। একটি কমলায় প্রায় ২৩৭ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। তাই কমলা খাওয়া মানে হৃদয়কে সুস্থ রাখে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ কমলালেবুতে থাকা ভিটামিন যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কমলাতে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই নিয়মিত কমলা খেলে শরীর সুস্থ সবল থাকে।
কমলা লেবু খাওয়ার অপকারিতা
কমলা একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু ফল যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে
কমলালেবু খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা মাথায রাখতে হবে। সঠিক নিয়মে ছেলে কমলা
শরীরের জন্য অসাধারণ উপকার করে কিন্তু ভুলভালভাবে খেলে অনেক সমস্যা হতে পারে।
সমস্যাগুলোর নিচে দেওয়া হলোঃ
- খালি পেটে বেশি কমলা লেবু খাওয়া যাবেনাঃ কমলায় ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড থাকে যা খালি পেটে বেশি খেলে এসিডিটি হতে পারে।
- ডায়াবেটিকস রোগীরা পরিমিত খানঃ কমলায় প্রাকৃতিক চিনি থাকে, একটি মাঝারি কমলায় প্রায় ১২ গ্রাম চিনি তাকে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি সমস্যা করতে পারে।
- রাতে বেশি কমলা খাবেন নাঃ রাতে বেশি কমলা খেলে এসিডিটি রিফ্যাক্স হতে পারে।
- বেশি কমলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুনঃ কমলা বেশি খেলে পেটে এসিডিটি বা গ্যাস এবং পেট ফাঁপা মত সমস্যা হতে পারে।
- কমলার জুসে চিনি যোগ করবেন নাঃ কমলার জুস স্বাস্থ্যকর কিন্তু তিনি মেশালে এটি ক্ষতিকর হতে পারে। এক গ্লাস কমলার জুস এ ১০০ মিলি প্রায় ৮ গ্রাম চিনি থাকে।
- দাঁতের সমস্যা থাকলে সমাধানঃ কমলায় সাহিত্যিক এসিড দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কমলা খাওয়ার পর মুখ কুলি করতে হবে।
- ওষুধের সঙ্গে কমলা এড়িয়েঃ কিছু কিছু ওষুধ রয়েছে যেমন এন্টাসিড বা ব্লাড প্রেসারের ওষুধ কমলা সঙ্গে মিশালে সমস্যা হতে পারে। ওষুধ খাওয়ার দুই ঘন্টা আগে বা পরে কমলা খাওয়া যাবে।
- বাচ্চাদের জন্য পরিণত খাওয়াঃ বাচ্চারা কমলা পছন্দ করে কিন্তু বেশি কম না খেলে তাদের পেট খারাপ হতে পারে। বাচ্চাদের দিনে অর্ধেক কমলা যথেষ্ট।
কমলা লেবু খাওয়ার পুষ্টিগুণ
কমলাতে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টির সরবরাহ করতে সাহায্য করে থাকে। এজন্য কমলা লেবু যাবতীয় পুষ্টিগুণগুলো আমাদের জেনে নেওয়া উচিত। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি কমলা লেবু খাবার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে নিচে বিস্তারিত জেনে না যাক।
প্রতি 100 গ্রাম কমলাতে রয়েছেভিটামিন সি রয়েছে ৮৮%, আয়রন রয়েছে ০%, ভিটামিন বি রয়েছে ৫%, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ২%, ক্যালসিয়াম রয়েছে ৪%, সোডিয়াম রয়েছে ০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম রয়েছে ১৮১ মিলিগ্রাম, সুগার রয়েছে ৯ গ্রাম, প্রোটিন রয়েছে ০.৯ গ্রাম।
রাতে কমলা লেবু খেলে কি হয়
রাতে কমলা লেবু খেলে কি হয় এই কথা ঠিক আপনারা অনেক জায়গায় অনুসন্ধান করে থাকেন। আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি রাতে কমলা লেবু খেলে কি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। রাতে কমলা লেবু খেলে বুক জ্বালা গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ থানকুনি পাতার ১০টি উপকারিতা - থানকুনি পাতার অপকারিতা
তাই এটি খাওয়া থেকে বেরিয়ে চলতে হবে খালি পেটে খেলে এই সমস্যাগুলো আরো অনেক বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে এসিডিটির সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের রাতে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
গর্ভাবস্থায় কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার ফলে ভ্রনের মস্তিষ্কের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়ার গর্ভ অবস্থায় এটি অনেক উপকারী। এ ছাড়াও এতে আরো রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টির উপাদান। যেমন ধরুন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি।
এই উপাদান গুলো গর্ব অবস্থায় একজন মায়ের দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির সরবরাহ করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার ফলে রক্তচাপ কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা দূর হয়ে যায়। এছাড়াও এটি খাওয়ার ফলে নবগত শিশু বিকাশ সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায়। তাই করব অবস্থায় কমলা লেবু নির্ধারিত খেতে পারেন।
কমলার রসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কমলা একটি সুস্বাদু স্বাস্থ্যকর খাবার। কিন্তু যে কোন কিছুর মতো শেখানো অনেক ভালো
জিনিস থাকতে পারে। অত্যধিক সেবন এছাড়াও হতে পারে কমলার রসের
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। প্রচুর পরিমাণে কমলা খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। কমলালেবুর
উচ্চ এসিড উৎপাদন অম্বল এবং বদ জমির কারণ হতে পারে। বেশি কমলালেবু খেলে ডায়রিয়া
হতে পারে কমলা ভিটামিন সি এর একটি ভালো উচ্চতা ভিটামিন এর পরিমাণ বেশি খেলে পেট
খারাপ হতে পারে।
প্রচুর কমলা খেলেও আপনার দাঁত ঠান্ডা প্রতি আরো সংবেদনশীল হতে পারে। কমলালেবু তে থাকা সাইটিং এসিড আপনার দাঁতের এনামেল দূর করতে সাহায্য করে। যা আপনার দাঁত কে তাপমাত্রা পরিবর্তনের জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে। সামগ্রিকভাবে কমলা একটি স্বাস্থ্যকর খাবার কিন্তু যে কোন কিছুর মতো সংগ্রাম হলো বিষয় কোনো অবান্তিক পার্শ্ব প্রতিক্রিতে এগুলো পরিনিতভাবে খেতে হবে।
কমলার রস এর উপকারিতা
কমলা তে থাকা রস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এই রস খাওয়ার পরে
আমাদের দেহ সতেজ এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আমরা নিয়মিত যে সব ফলের রস খেয়ে
থাকি সেগুলোর মধ্যে কমলার রস অন্যতম। এটি সতেজ এবং পুষ্টি গুনে ভরপুর। যেটি
আমাদের দেহকে দ্রুত শক্তি যোগায় দেহে এই রস টক মিষ্টি ছাদে তাই এটি খেতে সবাই
পছন্দ করে থাকে।
কমলা রসে রয়েছে ভিটামিন সি। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি ঠান্ডা ফ্রুট এবং অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই এই ফলের রস নিয়মিত খাওয়ার ফলে হাড়ের গঠন ভালো রাখতে সাহায্য করে। কেননা এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়ম। যেটি আমাদের হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে।
কমলা লেবু খাওয়ার নিয়ম
অনেকেই জানতে চায় কমলালেবু খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। সাধারণত কমলা লেবু খাওয়ার কারণ হচ্ছে এর পুষ্টিগুণের জন্য। কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফ্ল্যাভনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ডায়েটারি ফাইবার।
এশার ও ঠান্ডা লাগার কানের সমস্যা দূর করতে ভীষণ উপকারী। তাই আমাদের উচিত অপ্রয়োজনে খাদ্য যেগুলো কিনা শরীরের জন্য ক্ষতিকর ওই সমস্ত খাবার না খাওয়া। নিজের স্বাস্থ্য অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব নিয়মিত কমলা খাওয়া উচত।
কমলাতে থাকা পুষ্টি উপাদান
কমলা বিশেষ নূন্যতম একটি জনপ্রিয় ফল। এগুলি ভিটামিন সি ফাইবার এবং ফলেদের সমৃদ্ধ উৎস। কমলায় থিয়ামিন, নিয়াসিন এবং ভিটামিন বি৬ এর ভালো উৎস। এখানে কমলা সম্পর্কে পুষ্টিগত তথ্য রয়েছে ক্যালোরি, ফাইবার, গ্রাম চিনি, গ্রাম প্রোটিন, গ্রাম ভিটামিন এ,মাইক্রগ্রাম, ভিটামিন সি, নিগ্রা কালারারি, সিয়াম এ, দৈনিক প্রস্তাবক এর পটাশিয়াম, মেগা, কার্বোহাইডেট।
আপনি কি জানেন কমলা ভিটামিন সি এর একটি বড় উৎসব। শুধুমাত্র একটি কমলা লেবুর মধ্যে রয়েছে 70 পার্সেন্ট এর বেশি ভিটামিন সি। কমলার ফাইবার পটাশিয়াম এবং ফলেদের ভালো উৎস। কমলা উপকারিতা শুধু রস থেকে পাওয়া যায় তাই আপনি যদি ভিটামিন এবং খনিজ গুলো দৈনিক দোষ পেতে দ্রুত এবং স্বাস্থ্যকর উপায় খুঁজেছেন তাহলে এক গ্লাস তাজা কমলার রস পান করুন।
কমলালেবু খেলে কি ঠান্ডা লাগে
কমলা খিলে কি ঠান্ডা লাগে এ ধরনের প্রশ্ন আপনারা করে থাকেন। আজকে এই পোস্টটিতে আমরা জানতে পারবো কমলা খাওয়ার ফলে আসলে কি ঠান্ডা লাগে সে সম্পর্কে। কমলা খেলে ঠান্ডা লাগে না বরং ঠান্ডা হলে কমলা বেশি খাওয়া ঠিক নয়। আমরা অনেকেই ঠান্ডা লাগলে কোমার জুস অনেক বেশি খেয়ে থাকি, যা মোটেও ভালো কথা নয়।
কমলা নানা গুণে সমৃদ্ধ যার কারণে আমরা মনে করি এটি খাওয়ার ফলে হয়তো ঠান্ডা ভালো হয়ে যায়। কিন্তু দুঃখের কথা হচ্ছে এই সময়ে এটি বেশি খেলে ভালো না হয় বরং খারাপের দিকে চলে যায়। ঠান্ডা লাগলে সাইটিস এসিড আছে এমন কোন ধরনের ফল খাওয়া উচিত নয়। তাই ঠান্ডা লাগলে কমলা খাওয়ার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।কমলা খেলে কি গ্যাস্ট্রিক হয়
কমলা খেলে কি গ্যাস্টিক সম্পর্কে অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করে থাকেন।
আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি কমলা খেলে কি গ্যাস্ট্রিক হয় সে সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পারবে। কমলা একটি উপকারী ফল এই ফলটি আমাদের স্বাস্থ্যের নানা
উপকারে কাজ করে থাকে। তবে প্রয়োজনে অতিরিক্ত এই পথটি খাওয়া উচিত নয়। কেননা একই
প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে পেটে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
এর মধ্যে রয়েছে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, বদহজম, গ্যাস, এসিডিটি ইত্যাদি সমস্যা। তাই প্রয়োজন মত কমলা লেবু খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে এ ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। এ থেকে বোঝা গেল যে কমলা খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে না তখনই আপনি যখন এটি প্রয়োজনে তুলনায় অতিরিক্ত খাবে।



নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url