AI দিয়ে ফ্রিতে ফটো তৈরি করুন-সেরা ১২টি অ্যাপ

আপনি কি AI দিয়ে ফ্রিতে ফটো তৈরি করুন সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি AI দিয়ে ফটো তৈরি করার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
AI-দিয়ে-ফ্রিতে-ফটো-তৈরি-করুন
এখন বর্তমানে এআই যুগে অনেক মানুষ অনেক রকমের AI দিয়ে ফ্রিতে ফটো তৈরি করে সেগুলো ফেসবুকে ছাড়ছে। তাহলে চলুন নিচে বিস্তারিত AI দিয়ে কিভাবে ফটো তৈরি করতে হয় সেরা ১০টি অ্যাপস জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ AI দিয়ে ফ্রিতে ফটো তৈরি করুন-সেরা ১২টি অ্যাপ  

AI দিয়ে ফ্রিতে ফটো তৈরি করুন-সেরা ১২টি অ্যাপ    

AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখনো প্রায় অনেকেই বিভিন্ন রকমের ফটো তৈরি করে। বিশেষ করে আমরা যারা ব্যবসায়ী এবং ইউটিউবার তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। AI দিয়ে ফটো মোবাইলের সাহায্যে মনের মত করে তৈরি করার জন্য সেরা ১০টি অ্যাপ রয়েছে। নিচে AI দিয়ে ফ্রিতে ফটো তৈরি করুন-সেরা ১২টি অ্যাপ গুলো বিস্তারিত দেওয়া হলোঃ 

  1. Dalle.e ( open AI)
  2. Adobe firefly
  3. Canva
  4. Fotor
  5. DeepArt
  6. Runway ML
  7. Lensa AI
  8. Prisma
  9. google gemini
  10. google AI studio
  11. ChatGPT
  12. Flow
  1. Dalle.e ( open AI): এই AI ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই টিপস থেকে ফটো তৈরি করতে পারবেন। এতে কাস্টমাইজেশন অপশন রয়েছে পাশাপাশি এটি ভয়েস এবং অ্যাপ দুটোই প্লাটফর্মে পাওয়া যায় বলে এর বিশেষ সুবিধা রয়েছে।
  2. Adobe firefly: এটি এডোবির একটি ফটোশপের এআই চালিত টুলস। এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফটো এডিটিং এবং ডিজাইন করতে পারবেন। এই এডোবিউ ব্যবহার করে খুব সহজেই photo edit করা যায়।
  3. Canva: এটি আমাদের সকলের খুব পরিচিত একটি অ্যাপ। canva অ্যাপ গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং এই আই ফটো জেনারেশনের জন্য অধিক কার্যকারী একটি অ্যাপস। এটি আবার লোগোর ব্যানার ডিজাইন ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই অ্যাপ ব্যবহার করে আপনারা খুব সহজে বিভিন্ন রকম ফটো এবং লোগো জেনারেট করতে পারবেন।
  4. Fotor: এটি একটি AI চালিত ফটো এডিটিং টুল যেটি ব্যবহার করলে খুব সহজে আপনারা ছবি ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন এবং ফটো রিচার্জ করা তে পারবেন। সাথে সাথে এই অ্যাপের মাধ্যমে এআই ফটো জেনারেশন ফিচার এর মাধ্যমে বিভিন্ন মনের মত ফটো জেনারেট করতে পারবেন।
  5.  DeepArt: এই টুলস ব্যবহার করে আপনি ফটোকে আর্টে রূপান্তরিত করা সম্ভব। যার জন্য এটি আর্টিস্টিক ফিল্টার এবং এআই পেন্টিং এর জন্য বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়। 
  6. Runway ML: বিশেষ করে আমরা যারা কনটেন্ট কি তাদের জন্য এটি একটি বিশাল গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ। কেননা এতে বিভিন্ন মানের এডিটিং ফিউচার পাওয়া যায়। যার কারণে খুব সহজে এবং সুন্দরভাবে ফটো ভিডিও এডিটিং করা যায়।
  7. Lensa AI:এই AI টি মূলত আমাদের প্রোফাইল পিকচারের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ই আই পাসওয়ার্ড ফোটো রিটাচ এবং এডিটিং ফিউচার রয়েছে যার দ্বারা আমাদের প্রোফাইল পিকচার খুব সহজভাবে এডিট করা সম্ভব।
  8. Prisma: প্লিজ মা এ আই টুলস ব্যবহার করে আপনাদের ফটোকে ছিদ্র করার মতো তৈরি করা যায়। এতে বিভিন্ন রকমের ফিউচার এবং এ আই অপশন রয়েছে যার মাধ্যমে মূলত ফটোচিত্র হওয়ার মতো দেখা যায়।
  9. google gemini: এই অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি সেখানেই আপনার ছবি দিয়ে আপনার মনের মতো করে ছবি তৈরি করতে পারবেন।
  10. google AI studio: এই অ্যাপস দিয়ে আপনি এআইয়ের সাথে কথা বলতে পারবেন। এখানে আপনি ড্রোন শুট আবার বিভিন্ন রকমের ভিডিও তৈরি করতে পারবেন প্রফেশনাল ভাবে।
  11. ChatGPT: এই অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি আপনার ছবি কিভাবে তৈরি করতে চাচ্ছেন। সেই কথাটি এই অ্যাপে বললে আপনার মনের মতো করে এই অ্যাপটি ফোন তৈরি করে দিবে।
  12. Flow: এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এখান থেকে আপনার মনের মত ফোন তৈরি করে যে ফোনটি দেবেন সেই ফোনটি এআই আপনাকে ভিডিও তৈরি করে দিবে।

AI ফটো জেনারেশন জনপ্রিয়তা

আমরা জানি এই ফটো জেনারেশন সাম্প্রতিক বছরগুলো থেকে এখন বর্তমানে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আর দিন দিন AI এর ব্যবহার বাড়তেই আছে বাড়তেই আছে। বর্তমানে সময়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে প্রফেশনাল ছবি তৈরি করার জন্য আমাদের সকলেরই দ্বারা সম্ভব হচ্ছে। প্ল্যাটফর্ম গুলো এমন সকল সরঞ্জাম প্রদান করে চলছে যা অল্প সময় আমাদের ছবি আকর্ষণীয় এবং উচ্চ মানের করা সম্ভব।

তাহলে এবার বুঝতে পেরেছেন AI ফটো জেনারেশন জনপ্রিয়তা কত বেশি। জনপ্রিয়তা প্রধান কারণ হলো এর সৃজনশীল স্বাধীনতা এবং বহুমুখী তা। কেননা বর্তমান সময়ে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের কল্পনাকে বাস্তবে রূপে দেওয়া হয়েছে। সাধারণভাবে মুখে স্পিড করে AI এর মাধ্যমে মনের মত ছবি তৈরি করে নেওয়া যায়। কারণ এটি আমাদের মত অসংখ্য মানুষ খুব সহজে ব্যবহার করতে পারছে।

মোবাইল দিয়ে AI ফটো এডিটিং করা সেরা অ্যাপস

বর্তমান সময় আমাদের ফটো এডিটিং এর জন্য মোবাইল অ্যাপ অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কেননা দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক ভিডিও করে থাকি আমাদের প্রতিটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য মোবাইল ফটো এডিটিং অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। এখন আমরা এমন কিছু অ্যাপ নিয়ে জানবো যেগুলো মোবাইল ফ্রিতে ব্যবহার করে খুব সহজে সুন্দর সুন্দর ফটো এডিটিং করা যায়।

Capcut: এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এবং এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি ফটো প্রফেশনাল ভাবে এডিটিং করতে পারবেন। এই অ্যাপে অনেক সুবিধা রয়েছে এই অ্যাপটি ফ্রি।

Snapseed: গুগলে এই এমন এক ধরনের ফটো এডিটিং অ্যাপ যা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের ফটোকে চমৎকার এবং সুন্দর এডিটিং করে দেয়। কেননা এতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের টুলস যেটা আপনারা ফটোগ্রাফে আরও বেশি উন্নত করে দেয়। এছাড়াও এই অ্যাপের দুটো এডিটিং করা সম্ভব এটি মোবাইলে একটি প্রফেশনাল অ্যাপ বলে আমরা জানি।

Adobe photohop elastetor: এডোবি এই অ্যাপের একটি বিশেষ গুচ্ছ হচ্ছে এটি দ্রুত আমাদের ফটো এডিটিং এর জন্য present photo ফিউচার দিয়ে থাকে। এছাড়া এতে ২০০ প্লাস প্রিমিয়াম পিসেট রয়েছে যেগুলো প্রফেশনাল ফটো স্যারদের দ্বারা তৈরি। সব মিলিয়ে এই ফটো এডিটিং আমাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে থাকে।

Pixlr: পিক্সুলার এই অ্যাপ দিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজে এবং সুন্দরভাবে ফটো এডিটিং করা যায়। বিশেষ করে এতে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে বিভিন্ন রকমের ব্যাকগ্রাউন্ড দেওয়া যায়। এছাড়াও এতে বিভিন্ন রকমের সুন্দর সুন্দর ফিউচার ব্যবহার করা যায় যা আমাদের ফটোগ্রাফি অনেক আকর্ষণীয় করে তুলবে।

Gimini: এই অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই সুন্দর সুন্দর ফটো এডিটিং করা যায়। বিশেষ করে এতে মুখের ব্যাকগ্রাউন্ড আলো অনেক বেশি করা যায় এবং অনেক ফর্সা লাগে। এছাড়াও এতে বিভিন্ন রকমের সুন্দর ফিউচার অ্যাড করা সম্ভব।

সেরা অ্যাপ গুলোর বৈশিষ্ট্য এবং তালিকা

এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম কিভাবে AI দিয়ে ফ্রিতে ফটো তৈরি করুন-সেরা ১২টি অ্যাপ সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো বারটি বৈশিষ্ট্য এবং কোন অ্যাপ কিভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। তাহলে চলুন নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

1. Dalle.e ( open AI)

বৈশিষ্ট্যঃ এই আইটির ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি টেক্সট থেকে ফটো তৈরি করতে পারবেন।
Adobe firefly
Canva
Fotor
DeepArt
Runway ML
Lensa AI


AI এই ফটো এডিট করা ইউনিট অ্যাপ

Remini:

বৈশিষ্ট্যঃ এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি উচ্চমানের ছবি পুনরুদ্ধার ও অন্যান্য করতে পারবেন। এছাড়াও রি মিনি অ্যাপ এর বিশিষ্ট হল এটি আমাদের পুনরার ছবি ঝাপসা থেকে ছবি এবং সেখান থেকে ছবি আরো ভালো হয়। নিম্নমানের ছবিকে এইচডিতে রূপান্তর করে দেয় রিমিনি।

মূল্য তালিকাঃ এখানে ফটো উন্নত করার সীমিত ফ্রি ফিউচার রয়েছে। এ প্রিমিয়াম ভার্সন মাসে $ ৪.৯৯ এবং প্রতিবছর $ ২৯.৯৯।
AI-দিয়ে-ফ্রিতে-ফটো-তৈরি-করুন
FaceApp:

বৈশিষ্ট্যঃ সেস অ্যাপ এ আই টুল ব্যবহার করে আমাদের মুখের ফিউচার পরিবর্তন করা যায়। এটি মাধ্যমে আমাদের বয়স কমানো এবং বাড়ানো যায়। বিশেষ করে এটি সেলফি বা পোস্টের ছবি এডিট করতে অনেক সুবিধা হয়ে থাকে।

মূল্য তালিকাঃ ভার্সন প্রতি মাসে $ 4.99 এবং প্রতি বছরে $29.99 এবং আজীবন এর জন্য এটি $69.99।

PicsArt:

বৈশিষ্ট্যঃ এতে সহজে ফটো এডিটিং টুল ব্যবহার করে ফটো এডিটিং করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের ফিউচার এবং ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ রয়েছে যার মাধ্যমে খুব সহজেই একটি ফটোকে আকর্ষণীয় করা সম্ভব। এছাড়াও এতে স্টিকার এবং টেক্স এড করার ফিউচার রয়েছে।

মূল্য তালিকাঃ ফটো এডিটিং এর জন্য অনেক ফিউচার ফ্রিতে পাওয়া যায় তবে এর প্রিমিয়াম ভার্সন মাসে $11.99 এবং প্রতি বছরে $৫৫.৯৯।

Photoroom:

বৈশিষ্ট্যঃ ব্যবহার করে ফটোর ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করতে এটি অধিক কার্যকারী একটি অ্যাপস। এছাড়াও এটি ফটো পণ্য এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ফটো প্রস্তুত করতে ব্যবহার হয়ে থাকে।

মূল্য তালিকাঃ ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ এবং কিছু সিসি রয়েছে এর প্রিমিয়াম ভার্সন প্রতি মাসে$ 4.99 এবং প্রতি বছরে $29.99 এবং আজীবন এর জন্য এটি $69.99।

google AI studio:
বৈশিষ্ট্যঃ এই অ্যাপ দিয়ে এ আই টুল ব্যবহার করে google স্টুডিওতে অনেক ছবি এবং এদের সাথে অনেক রকম কথাবার্তা বলা যায়।

মূল্য তালিকাঃ এটি ফ্রি একটি google স্টুডিও ভার্সন।

ChatGPT:

বৈশিষ্ট্যঃ এই অ্যাপ দিয়ে এ আই টুল ব্যবহার করে জিবি থেকে অনেক ফর তৈরি করে নেওয়া যায়।

মূল্য তালিকাঃ এটি ফ্রি ভার্সন।

Flow:

বৈশিষ্ট্যঃ এই অ্যাপ দিয়ে এ আই টুল ব্যবহার করে জিবি থেকে অনেক ফর তৈরি করে নেওয়া যায়।

মূল্য তালিকাঃ এটি ফ্রি ভার্সন।


AI টুল ব্যবহার সমস্যা এবং সমাধান

AI প্রতিনিয়ত ব্যবহারে যেমন অনেক সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি এর অসুবিধা রয়েছে। সেই জন্য সমস্যা চিহ্নিত করে সঠিক নিয়ম ব্যবহার করে নৈতিকতার সাথে কাজ করে এই আই এর মাধ্যমে অনেক ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এই ব্যবহারে সমস্যাগুলো গোপনীয়তা সমস্যা AI  টুলস অথবা সংগ্রহ করে থেকে। থাকে যার কারণে এটি আমাদের তথ্যের অব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে এছাড়া এটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রক্রিয়াকে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বৈচিত্রের অভাব টুলগুলোতে ব্যবহারে ভাষা অনেক সময় বিভিন্ন ভাষা বা সাংস্কৃতিক এর সাথে এআই মিলাতে পারে না।

যার ফলে বিভিন্ন কন্টাক্টের ব্যবহারে সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে বলা যায় AI  টুলের স্থায়ী ভাষা এডিটিং এবং উচ্চ ফিউচারে অভাব রয়েছে। AI এর অপরিহার্যের চুলগুলো বিভিন্ন ধরনের তৈরি করতে পারে। যার মাধ্যমে আমরা অনেকেই এর অপব্যবহার করে থাকি। বিশেষ করে ফটো বা ভিডিও এডিটিং টুলস গুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তিক কনটেন্ট তৈরি করা যায়।

জটিল এবং উন্নত ফিউচারের কিছু কিছু এআইটুস ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক দক্ষতা প্রয়োজন হয়ে থাকে। যার জন্য আমারা অনেকেই খুব সহজে এটি ব্যবহার করতে পারি না। এছাড়াও  AI টুলের প্রিমিয়ার ভাষণ ব্যবহার করার জন্য উৎসব মাত্র subscription free  লাগে। AI  ব্যবহারের সমাধান টুল ব্যবহারের আগে অবশ্যই পলিসি সম্পর্কে জানতে হবে।

কেননা প্রাইভেসি পলিসি না জানা থাকলে ব্যক্তিগত যেটা আপলোড করা পূর্বে সতর্ক থাকতে পারবেন না। এর বিকল্প পদ্ধতিতে কৃত্রিম ডেটা ব্যবহার করতে পারেন। এই আইডির ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর ন্যূনতম নিয়ামা গুলি মেনে চলতে হবে। কোনরকম খারাপ কাজে এটি ব্যবহার করা যাবে না। বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তিক কনটেন্ট এ ছাড়াও এর সোর্স যাচাই করতে হবে।
ডিজাইন করে ব্যবহারের জন্য ইন্টারফেস সহজ এবং ব্যবহার উপযুক্ত হওয়া উচিত। এছাড়াও এতে বিভিন্ন রকমের শিখন টিউটোরিয়াল সংযুক্ত করা উচিত। উচ্চ খরচের বিকল্প পদ্ধতিতে AI  টুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কি ওপেন সোর্স ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও বিশেষ এডিটিং এর জন্য AI  সাবস্টিটিউশন ব্যবহার করতে পারেন।

ফটো এডিটিং AI এর ভবিষ্যৎ কেমন

ফটো এডিটিং প্রযুক্তি AI এটি আরো উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নত এবং ভবিষ্যতে এটির আরো ব্যবহার দেখা দিতে পারে। তবে বর্তমানে AI ফটো এডিটিং এর টুলস গুলো ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ ফিউচার প্রয়োগ এছাড়াও আরো কয়েক রকমের কাজ করা সম্ভব। সেইসব দিক বিবেচনা করে বলা যায় এর ভবিষ্যৎ এমন সক্ষমতা অর্জন করবে যেখানে আমাদের মত ব্যবহারকারীরা প্রথমদিকে দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সম্পন্ন একটি ডিজাইন বা এডিটিং খুব সহজে তৈরি করতে পারবে।

পাশাপাশি আমাদের মত AI ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দমত ছবি এডিটিং করতে পারবে। শীঘ্রই এফিলিয়েশন ইনস্টিলিজেন্ট ফটো এডিটিং এর ক্ষেত্রে জেনারেল AI এর মত এমন কিছু প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করবে যা আমাদের একটি সাধারণ ছবিকে উন্নত মানের এইচডি মডেলের রূপান্তরিত করতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও AI এর জেনারেটিভ মডেল এমন ডিএলএফ এর উদাহরণ অনুযায়ী ভবিষ্যতে ফটো এডিটিং এর টুলসগুলো কল্পনার মত ডিজাইন তৈরি করতে সক্ষম হবে। তাহলে এবার নিশ্চিত বুঝতে পেরেছেন যে AI ফটো এডিটিং এর দিক দিয়ে ভবিষ্যতে কোন মাত্রা পৌঁছাতে পারে।

বিশেষ করে পেশাদার ফটোগ্রাফার ডিজাইনার, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং মার্কেটিং বিশেষজ্ঞদের কাছকে নতুন মাত্রা এনে দেবে AI । ব্যক্তিগতভাবে ফটো এডিটিং এর জন্য কাস্টম মডেল তৈরির প্রবণতা বাড়াবে। ভবিষ্যতে AI ফটো এডিটিং এর এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে যেখানে সৃজনশীলতার কোন সীমা রেখা থাকবে না।  

AI অ্যাপ দিয়ে কার্টুন ফটো তৈরি

বর্তমান AI  প্রযুক্তি ফটো এডিং এর পাশাপাশি ক্রিয়েশনকে অনেক সহজ করার জন্য আকর্ষণীয় খুলে তুলেছে সেজন্য কল্পনা করতো কার্টুন ফটো তৈরি অ্যাপের চেয়ে এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। এই ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপগুলো আজকাল স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে আপনার সাধারণত কোন ছবিকে চমৎকারভাবে একটি কার্টুন ছবিতে রূপান্তরিত করে দিতে পারবে। তাহলে চলুন দেখে নেই কোন অ্যাপ গুলো ব্যবহার করলে AI  ভিডিও কার্টুন তৈরি করতে পারবে।

Capcut: এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এবং এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি ফটো প্রফেশনাল ভাবে এডিটিং করতে পারবেন। এই অ্যাপে অনেক সুবিধা রয়েছে এই অ্যাপটি ফ্রি।

Snapseed: গুগলে এই এমন এক ধরনের ফটো এডিটিং অ্যাপ যা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের ফটোকে চমৎকার এবং সুন্দর এডিটিং করে দেয়। কেননা এতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের টুলস যেটা আপনারা ফটোগ্রাফে আরও বেশি উন্নত করে দেয়। এছাড়াও এই অ্যাপের দুটো এডিটিং করা সম্ভব এটি মোবাইলে একটি প্রফেশনাল অ্যাপ বলে আমরা জানি।

Adobe photohop elastetor: এডোবি এই অ্যাপের একটি বিশেষ গুচ্ছ হচ্ছে এটি দ্রুত আমাদের ফটো এডিটিং এর জন্য present photo ফিউচার দিয়ে থাকে। এছাড়া এতে ২০০ প্লাস প্রিমিয়াম পিসেট রয়েছে যেগুলো প্রফেশনাল ফটো স্যারদের দ্বারা তৈরি। সব মিলিয়ে এই ফটো এডিটিং আমাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে থাকে।

Pixlr: পিক্সুলার এই অ্যাপ দিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজে এবং সুন্দরভাবে ফটো এডিটিং করা যায়। বিশেষ করে এতে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে বিভিন্ন রকমের ব্যাকগ্রাউন্ড দেওয়া যায়। এছাড়াও এতে বিভিন্ন রকমের সুন্দর সুন্দর ফিউচার ব্যবহার করা যায় যা আমাদের ফটোগ্রাফি অনেক আকর্ষণীয় করে তুলবে।

Gimini: এই অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই সুন্দর সুন্দর ফটো এডিটিং করা যায়। বিশেষ করে এতে মুখের ব্যাকগ্রাউন্ড আলো অনেক বেশি করা যায় এবং অনেক ফর্সা লাগে। এছাড়াও এতে বিভিন্ন রকমের সুন্দর ফিউচার অ্যাড করা সম্ভব।

AI এর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় জিনিস রিমুভ

বিভিন্ন রকম এই আইডির ব্যবহার এর মাধ্যমে একটি ফটো থেকে অপ্রয়োজনে বস্তু রিমুভ করা সম্ভব হয়। মূলত একটি ফটো থেকে প্রয়োজনীয় বস্তু রিমুভ করার পরে ছবি দেখতে অনেক স্মার্ট এবং আকর্ষণীয় হয়। তাহলে চলুন নীচে বিস্তারিত জেনে নিয়ে কিভাবে কোন এ আই ট্যুর ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ফটো থেকে খুব সহজেভাবে প্রয়োজনীয় বস্তু রিমুভ করা যায়।

Adobe Photohop:

বৈশিষ্ট্যঃ এডোবি ফটোশপের কন্ট্রোল আওয়ার ফিল টুল ফটো থেকে প্রয়োজনীয় বস্তু খুব সহজে রিমুভ করা যায়। কেননা এটি ফটকে সুনির্দিষ্ট ভাবে প্রয়োজনীয় বস্তুকে দিয়ে প্রাকৃতিক ভাবে পূরণ করে থাকে।

যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ প্রথমে এডোবি ফটোশপ এর প্রবেশ করুন এবং সে ফটো থেকে প্রয়োজনে বস্তু রিমুভ করতে চান সেই অপশনটি ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করা হয়ে গেলে লাশ টুল দিয়ে অবান্তিত বস্তুকে সিলেট করতে হবে। সিলেট করার পর এডিট মেনুতে গিয়ে অপশন নির্বাচন করতে হবে। এবার ফটোটি সেভ করে নিন।

SnapEditor:

বৈশিষ্ট্যঃ স্ন্যাপ এডিট একটি স্মার্টফোন অ্যাপ হওয়ার কারণে মোবাইলে ব্যাকগ্রাউন্ড এর অপ্রয়োজনে বস্তু রিমুভ করার জন্য এটি বিশেষ জনপ্রিয় একটি অ্যাপস। এতে আপনি এআই ফটো এডিট এবং ব্যাকগ্রাউন্ড প্রয়োজনীয় বস্তুকে রিমুভ করতে পারবেন।

যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ শুরুতে আপনাকে প্যান্ট এডিট অপশনটি ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করার পর সেই ফটোটি সেখানে আপলোড করতে হবে আপলোড করার পর ফটো থেকে আপনি অবান্তরিত জিনিসকে সরাতে চান সেখানে সিলেট করতে হবে। সিলেট করা হয়ে গেলে রিমুভ অবজেট অপশনে ক্লিক করতে হবে। রিমুভ করা হয়ে গেলে সেই ফাইলটি আপনার ব্রাউজারে সেভ করেনিন।

AI দিয়ে ড্রোন শুট করা

বর্তমানে AI যুগে এসে মানুষ অনেক এআই দিয়ে ভিডিও এবং ইমোশন ফটো ডোনছুট তৈরি করছে। এই ইমোশন ছবি তৈরি করার জন্য আপনাকে যেসব নিয়মগুলো জানতে হবে সেগুলো নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো।
AI-দিয়ে-ফ্রিতে-ফটো-তৈরি-করুন
AI দিয়ে ড্রোন শট করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম গুগল স্টুডিও ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করার পরে আপনি সেখানে আপনার তোলা কোন জিনিসের ছবি সেখানে আপলোড করতে হবে। সিলেট করার পর আপনাকে সেখানে বলতে হবে "আমি এই ইমেজ দিয়ে ডোন্ট সুট নিতে চাচ্ছি তার একটা prompt  তৈরি করে দাও ড্রোনটা যেন উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে" এই কথাটি বলার পর আপনাকে সাবমিট করতে হবে।

তারপর কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করার পর আপনি দেখতে পাবেন সেখানে আপনার বাজারে এআই দিয়ে ডোন্ট করা ভিডিও চলে আসছে। এই ড্রোন স্যুট করার আগে আপনাকে সেখানে আট মিনিটের ভিডিও সেট করতে হবে। আশা করি আপনি এই আইডি দিয়ে টিউন শুট করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

লেখক এর মন্তব্যঃ AI দিয়ে ফ্রিতে ফটো তৈরি করুন-সেরা ১২টি অ্যাপ  

প্রিয় পাঠক, আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারলেন AI দিয়ে ফ্রিতে ফটো তৈরি করুন-সেরা ১২টি অ্যাপ, AI ফটো জেনারেশন জনপ্রিয়তা, মোবাইল দিয়ে AI ফটো এডিটিং করা, সেরা অ্যাপ AI ফটো এডিট করার ইউনিটের, AI টুল ব্যবহারের সমস্যা এবং সমাধান, ফটো এডিটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন, AIদিয়ে ড্রোন শোধ করা সম্পর্কে আপনার এতক্ষণ জানতে পারলেন।

এতক্ষণ ধরে এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের উপকৃত হয়েছেন। পরবর্তী পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে স্বাগতম ততক্ষণে সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url