গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জান
গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কি আপনি জানতে চাচ্ছেন? তবে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই আর্টিকেটির মাধ্যমে আজকে আপনাদের জানাবো গর্ভাবস্থায় পালং শাকের উপকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
গর্ভাবস্থায় খাবারের যত্ন নেওয়ার একটি নারীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা আপনি গর্ভবতী অবস্থায় যায় খান না কেন, সেগুলো আপনার অনাগত সন্তানের উপরে প্রভাব ফেলবে। এজন্য নারীরা অনেক সময় খাদ্যদ্রব্য নিয়ে বিভ্রান্তিতে থাকেন গর্ব অবস্থায় গর্ভবতী নারীদের জন্য পালং শাখা কতটা উপকারী সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে পড়ুন
- গর্ভাবস্থায় পালং শাক
- গর্ভাবস্থার পালং শাক খাওয়া কতটা নিরাপদ
- গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়া উপযুক্ত সময়
- গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবারের তালিকা
- পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কচুর শাকের উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় সকালের নাস্তা তে যেসব খাবার খাবেন
- গর্ভ অবস্থায় লাল শাক খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় খালি পেটে বমি ভাব থাকলে যেসব খাবার খাবেন
- পালং শাকের পুষ্টি উপাদান
- গর্ভাবস্থায় ডাইবেটিস রোগীদের সকালে খাবারের তালিকা
- গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার অপকারিতা
- পালং শাক খাওয়ার আগে সর্তকতা
- গর্ভাবস্থা যেসব খাবার খাওয়া ক্ষতিকর
- গর্ভাবস্থায় কি কি শাক খাওয়া যাবেনা
- গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের মাছ খাওয়া ভালো
- লেখক এর মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় পালং শাক
গর্ভাবস্থার সবুজ শাক সবজির মধ্যে পালং শাক অন্তর্ভুক্ত করা যাবে কিনা, এই বিষয়ে নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার গর্ভবতী নারীর জন্য কতটা নিরাপদ সেই সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। গর্ভাবস্থা কিভাবে পালং শাক খেলে উপকার আসতে পারে এবং কি ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং চাহিদা
গর্ভাবস্থায় সুষম খাদ্য যে কোন গর্ভবতী নারী এবং গ্রহণ উভয়ের জন্য অপরিহার্য খাদ্য। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের পালং শাক খাওয়া প্রচুর উপকারী রয়েছে। কেননা পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির উপাদান। পালং শাকে রয়েছে ক্যালসিয়াম প্রোটিন আয়রন এবং ফুলের। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। পালং শাকে থাকা প্লেটের আপনার গর্ব অবস্থায় ঘটে যাওয়া অনাগত শিশুর জন্মগত ত্রুটিগুলো থেকে রক্ষা করতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে।
বিশেষ করে এই কারণে গর্ব অবস্থায় পালং নিরাপদ এবং পুষ্টিকর বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। আপনি যদি অত্যাধিক গ্রহণ করে থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে। আমরা আর্টিকেলের শেষের অংশে বিস্তারিত সবকিছু জানতে পারবো পালংশাক সম্পর্কে সেজন্য সাথেই থাকুন।
গর্ভাবস্থার পালং শাক খাওয়া কতটা নিরাপদ
গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এজন্য সব সময় আপনি পরিমিতভাবে পালং শাক খাওয়ার চেষ্টা করবেন। গর্ভাবস্থায় আপনি এক থেকে দেড় কাপ পালং শাক খাওয়ার চেষ্টা করবেন। গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী নারীর যদি স্বাস্থ্যগত কোন সমস্যা হয়ে থাকে বা গর্ভধারণের সংক্রান্ত জটিলতা থাকে, তাহলে পালং শাক খাওয়া কতটা পরিমাণ নিরাপদ সেগুলো চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে খাওয়া জরুরী।
গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়া উপযুক্ত সময়
গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার যদিও সঠিক সময় নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে পালন শাকে প্রচুর পরিমাণে ফুলের থাকার পুষ্টির গবেষণা করা পালন শাখাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রীর মাসিকে পালন শাক খেলে আপনার কি নিতে পাথর হওয়া চৌকি সম্ভাবনা থেকে থাকে। এই কারণে গর্ভাবস্থায় পালন শাক সঠিক পরিমাণে খেতে হবে। পালং শাক খাওয়ার পরে প্রচুর পরিমাণে আপনাকে পানি পান করতে হবে। আশা করি পালন শাখার উপযুক্ত সময় কখন বুঝতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবারের তালিকা
- গর্ব অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের শাক খেতে পারবেন
- গর্ভাবস্থায় বাঁধাকপি খেতে পারবেন
- গর্ব অবস্থায় ফুলকপি খেতে পারবেন
- গর্ব অবস্থায় করলা খেতে পারবেন
- গর্ভাবস্থায় আমরা খেতে পারবেন
- গর্ব অবস্থায় কমলা খেতে পারবেন
- গর্ভাবস্থায় স্ট্রবেরি খেতে পারবেন
- গর্ভাবস্থার চেরি ফল খেতে পারবেন
- গর্ভাবস্থার টমেটো খেতে পারবেন
- গর্ভাবস্থার পাখা পেঁপে খেতে পারবেন
- গর্ভাবস্থায় দুধ খেতে পারবেন
- গরুর মাংস তবে অল্প পরিমাণে
- গর্ভাবস্থার গড়ে খেতে পারবেন তবে সীমিত
- গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খেতে পারবেন তবে সীমিত
পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করেঃ পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। পালং শাকের যে আয়রন রয়েছে তা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এবং এর সাহায্যে গর্ভবতী মহিলাদের রক্তস্বল্পতা যোগী এড়িয়ে থাকে। তাই গর্ভ অবস্থায় আপনার খাদ্য তালিকাতে নিয়মিত পালন শাক ভালো।
হাড় মজবুত করার জন্যঃ পালং শাক ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় হারকে মজবুত করতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস যা হার্টের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। আপনি হাড়ের মজবুতরের জন্য পালন শাকের জুস খেতে পারেন।
প্রিমাচিউর ডেলিভারিঃ অনেক মহিলাদের গর্ভাবস্থায় অকালপস্রদের ঝুঁকি থাকে। এই ঝুঁকি থেকে আয়রন সমৃদ্ধ শাকসবজি পালন শাক বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত পরিমিতভাবে পালন চা খাওয়া উচিত। তাহলে এ জাতীয় সমস্যা গুলো থেকে আশা করি পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
দুধের গুণগত মান উন্নত করেঃ পালন শাকে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনে পুষ্টির উপাদানগুলো রয়েছে। যার গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী নারীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় কোন মহিলার যদি নিয়মিতভাবে পালন চা খায় তবে মায়ের দুধের গুণগত মান উন্নত করে থাকে। দুধে গুণগত মান উন্নতির জন্য প্রয়োজন ক্যালসিয়াম ভিটামিন আইরন সাপোর্ট এর পরিমাণে পালন শাখা রয়েছে।
নিউরাল টিউ ব ডিফেক্টঃ পালন থাকে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড রয়েছে যা গ্রহণকে নিউরন টিউব ইফেক্ট ত্রুটি থেকে রক্ষা করে থাকে। নিউরন টিউব ডিফেক্টরের কারণে শিশুদের মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ডের ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় নিয়মিতভাবে খাবারের তালিকাতে পালং শাক রাখুন।
গর্ভাবস্থায় কচুর শাকের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে। গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের প্রয়োজন থাকে যা প্রচুর সাক্ষী রয়েছে। গর্ভবতী মায়ের অনেক সময় দেখা যায় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অভাবে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। কচু সাগর গর্ভবতী মায়ের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের ঘাটতি গুলো পূরণ করে থাকে। উপকারিতা গুলো দেওয়া হলোঃ
- কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যার চোখে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- কোন গর্ভবতী মহিলা যদি নিয়মিত কচু শাক খায়, তাহলে ভিটামিন এ ঘাটতি পূরণ করবে এবং নবজাতক শিশুর চোখে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- কচুর শাক খাওয়ার ফলে আপনার রক্ত পরিষ্কার করবে, এবং রক্ত উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
- গর্ভাবস্থায় মহিলাদের নানা ধরনের বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়, তাই নিয়মিত কচু শাক খাওয়ার ফলে এই সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়।
- শিশুদের জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত মৃতদণ্ড পান করতে হয়। তাই কোন গর্ভবতী মহিলা যদি নিয়মিতভাবে প্রচুর শাখায় শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পাবে।
- গর্ভবতী মায়ের শরীরে প্রোটিন এবং ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে কচু শাকের বিকল্প নেই।
গর্ভাবস্থায় সকালের নাস্তাতে যেসব খাবার খাবেন
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন সকালে নাস্তা তে আপনার পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে সেগুলো
নিচে দেওয়া হলঃ
আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক উজ্জ্বল করার ১০টি উপায়
- কাঠবাদাম
- মিষ্টি কুমড়া বীজ
- চিনা বাদাম
- ওয়ালনাট
- পাকা কলা
- কাজুবাদাম
- খেজুর
- কিসমিস
- কুসুম গরম পানি ইত্যাদি
গর্ভাবস্থায় লাল শাক খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় লাল শাক খাওয়ার প্রচুর পরিমাণ উপকারিতা রয়েছে। কেননা লাল সাক্ষী
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির উপাদান। এই পুষ্টি উপাদান একজন গর্ভবতী মায়ের
জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। নিচে গর্ভাবস্থায় লাল শাক হওয়ার উপকারিতা গুলো আলোচনা
করা হলোঃ
- লাল শাখে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকার কারণে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।
- গর্ভবতী মায়ের যে কোন অবস্থা রক্ত কমে যেতে পারে তাই লাল শাক খাওয়ার ফলে রক্ত উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে।
- লাল শাক খাওয়ার ফলে একজন গর্ভবতী মায়ের অনাগত শিশু মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ড সঠিকভাবে বিকাশ করতে সাহায্য করে থাকে।
- প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা আয়রন শোষণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
- প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে পেটকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে, এবং গর্ভবতী মায়ের শরীরে ছাদ থেকে রক্ষা করতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে।
- প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা গর্ভবতী মায়ের, শিশুর ভালোভাবে স্বাস্থ্য গঠনে এবং হার মজবুর গঠনে উপকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকে।
গর্ভাবস্থায় খালি পেটে বমি ভাব থাকলে যেসব খাবার খাবেন
- কুসুম গরম পানি
- শুকনা বিস্কুট
- শুকনা মুড়ি
- পাকা কলা
- তরমুজ
- আপেল
- কমলা
- মিষ্টি দই
- রুটি ও সবজি
- চিড়া
- কাজুবাদাম
- কিসমিস
- খেজুর ইত্যাদি
পালং শাকের পুষ্টি উপাদান
পুষ্টির উপাদান | ১০০ গ্রাম পরিমাণ |
---|---|
পানি | ৯১.৪০গ্রাম |
শক্তি | ২৩ ক্যালোরি |
প্রোটিন | ২.৮৬ গ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | ৩.৬৩গ্রাম |
ফাইবার | ২২ গ্রাম |
চিনি | ০.৪২গ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ৯৯ মিলিগ্রাম |
আয়রন | ২.৭১ মিলিগ্রাম |
ম্যাগনেসিয়াম | ৭৯ মিলিগ্রাম |
ফসফরাস | ৪৯ মিলিগ্রাম |
পটাশিয়াম | ৫.৫৮ মিলিগ্রাম। |
সোডিয়াম | ৭৯ মিলিগ্রাম। |
দস্তা | ০.৫৩ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন সি | ২.৮১ মিলিগ্রাম |
ফলেট ডিএই | ১.৯৪ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন এ | ৪৬৯ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন ই | ২.০৩ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন কে | ৪. ৮১ মিলিগ্রাম |
গর্ভাবস্থায় ডাইবেটিস রোগীদের সকালে খাবারের তালিকা
- পালং শাক
- লাল শাক
- ডাটা শাক
- সবুজ শাক
- আলু সিদ্ধ
- বাঁধাকপি
- ফুলকপি
- গাজর
- কুমড়া
- পটল
- পুইশাক
- পাটশাক
- কচু শাক
- কচুর লতি
- করলা ভাজি
- আনাজি কলা
- কাঁচা পেঁপে ইত্যাদি
গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়া যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা বা পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সব সময় মনে রাখতে হবে কোন খাবার প্রয়োজনে তুলনায়
অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে যেসব অপকারিতা বা
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমাদের সুবিধার্থে নিজেকে কিছু
বর্ণনা দেওয়া হলোঃ
কিডনিতে পাথরঃ পালন শাকে প্রচুর পরিমাণে পিউরি রস থাকার কারণে কি নিতে পাথর হবে এটা স্বাভাবিক। তাছাড়াও অকস্টালের জাতীয় খাবারের মধ্যে পালন শাক একটি। আর এর জন্য গর্ভাবস্থায় মহিলাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় পালন শাকের ক্যালসিয়াম ফসফেট থাকার কারণে অন্যদের তুলনায় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়। গর্ভাবস্থায় নারীদের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রিমাত্রিকের সময় এই ঝুঁকিটা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় পালন শাক খেতে হবে।
- ঘন ঘন প্রস্রাবঃ একটি মূত্র বোধক খাবার হল পালং শাক। পালং শাক খাওয়ার ফলে আপনার ঘনঘন প্রস্রাব হতে পারে। তাই গর্ব অবস্থায় পরিমিতভাবে পালন সাক্ষাতে হবে যতটুকু না খেলেই নয়। কেননা অতিরিক্ত ঘন ঘন প্রস্রাব গর্ভবতী মায়ের জন্য ভালো নয়।
- সন্তান জন্মদানের সমস্যাঃ পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সালিসিটেড উপাদান যা গর্ভাবস্থায় শেষ মাস গুলোতে যদি এই উপাদানের পরিমাণ বেশি হয় তবে গ্রহণের অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় খেতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- ডায়রিয়াঃ আপনি যদি পালন ৬০ বছর পরিমাণে খেয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া রোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার যার কারণে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য ঘনঘন প্রস্রাব এমনকি পেট ব্যথা সমস্যা আক্রান্ত হতে পারে। সেজন্য গর্ভাবস্থায় পালন শাকের মতো ফাইবার জাতীয় খাবার কম বা না খাওয়াই উত্তম।
- গ্যাস এবং অম্বলঃ গর্ভাবস্থা কিছু কিছু মহিলাদের পালং শাক খেলে গ্যাস এবং অম্বলের সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এজন্য পালন শাক খাওয়ার পরিমাণ কমানো ভালো হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
পালং শাক খাওয়ার আগে সর্তকতা
আমরা অনেকেই পালন শাক খেয়ে থাকি। কিন্তু পালং শাক যেমন উপকারী তেমনই আবার অপকারীয় রয়েছে। তেমনি পালং শাক খাওয়ার আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তাহলে চলুন পালন শাক খাওয়ার কিছু শতকতা নিচে জেনে নেয়া যাক।
- পালং শাক কেনার সময় খেয়াল রাখবেন পালন শাকের রং স্বাভাবিকভাবে সবুজ আছে কিনা।
- পালং শাক যদি খারাপ গন্ধ হয় তবে এটি কখনো কিনবেন না।
- পালং শাক রান্না করার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে কেননা এতে ব্যাকটেরিয়া পরিমাণ বেশি। থাকতে পারে
গর্ভাবস্থা যেসব খাবার খাওয়া ক্ষতিকর
গর্ভবতী অবস্থায় আমরা অনেক কিছু খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু কোনগুলো খাবার খেলে সমস্যা এবং ক্ষতি কর হতে পারে সেগুলো আমরা অনেকেই জানিনা। তাহলে চলুন নিচে গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাওয়া ক্ষতিকর সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
- গর্ব অবস্থায় অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না
- তেল জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া যাবে না
- বেশি পেঁয়াজ খাওয়া যাবে না
- গর্ভাবস্থায় মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে
- কাঁচা পেঁপে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
- প্রথম তিন মাস গর্ভ অবস্থায় আনারস খাওয়া যাবে না
- আঙ্গুর খাওয়া যাবে না
- তরমুজ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
- গর্ভাবস্থা গাজর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
- গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত
- থাকলে গর্ভাবস্থা কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
গর্ভাবস্থায় কি কি শাক খাওয়া যাবেনা
গর্ভাবস্থায় সাধারণত কোন নির্দিষ্ট চা খাওয়া নিষেধ নয়। বরং বিভিন্ন পুষ্টিকর শাক খাওয়া উপকারী। তবে কিছু দৃশ্য মনে রাখতে হবে যেমন সাতগুলো যেন ভালভাবে পরিষ্কার করা হয় এবং রান্না করে থাকে এবং কাঁচা বা আদাসিদ্ধ শাক এড়িয়ে চলা ভালো। কারণ এতে সংক্রমনের ঝুঁকি থাকে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসে অসংখ্য হিসেবে বিভিন্ন দলে যেমন পালন, পুই, কলমি ইত্যাদি পরিমিত করে মানে খাওয়া যায়।
গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের মাছ খাওয়া ভালো
গর্ভাবস্থায় সামান্য, মা কে রেল এবং স্বাধীনের মতো তৈলাক্ত মাছ খাওয়া ভালো।
কারণ এগুলো প্রোটিন ওমেগা তিন ফাটি এসিড এর চমৎকার উৎস। এই মাছগুলো মস্তিষ্কের
বিকাশে সাহায্য করে, তবে পারদ এর পরিমাণ বেশি থাকে এমন মাছ যেমন আঙ্গুর শর্ট ফিস
এবং কিং ম্যাককে রেল এড়িয়ে চলতে হবে। রান্না করা মাছ খান এবং মুকুট বা কাঁচা
মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আরো পড়ুনঃগর্ভাবস্থায় কি খাবার খেলে সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়
নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url