নিমপাতার ১০টি মহাওষুধ ও ক্ষতিকারক দিক

নিমপাতার ১০টি মহাওষুধ ও ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। নিমপাতা আমাদের দেশে অতি পরিচিত একটি ওষুধ দ্বিগুণ সমৃদ্ধ গাছ এর পাতা অনেক গুনাগুন আছে। যা দীর্ঘকাল ধরে নানা চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে ব্যবহার হতো হয়ে আসছে।

নিমপাতার-১০টি-উপকারিতা-ও-নিম-পাতার-অপকারিতা

নিম পাতা খাওয়া যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। তাহলে চলুন দেরি না করে নিমপাতার ১০টি মহা ওষুধ ও ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

পেজ সূচিপত্রঃনিমপাতার ১০টি মহাওষুধ ও ক্ষতিকারক দিক  

নিমপাতার ১০টি মহাওষুধ ও ক্ষতিকারক দিক  

নিমপাতার ১০টি মহাওষুধ গুণাগুণ রয়েছে। নিম পাতা যেমন উপকার হয়েছে, তেমনি আবার অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে খেলে অপকারিতা রয়েছে। তাহলে চলুন নিচে নিমপাতার ১০টি উপকারিতা ও নিম পাতার অপকারিতা  জেনে নেওয়া যাক।

নিম পাতার উপকারিতা 

  1. ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করেঃমিমের পোদ্দার বিরোধী গুণ রয়েছে যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের দাগ এবং একজিমার মত সমস্যাও নিরাময় করে।
  2. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃএটি শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকা এবং নিমপাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
  3. হজম শক্তি বাড়ায়ঃনিমপাতা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস্ট্রিক অবলম্বন ও ডায়েরিয়ার মত সমস্যাগুলো কমায়।
  4. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃনিম পাতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরকে বিভিন্ন এলার্জি বিরুদ্ধে প্রতিরোধে করে তুলবে সক্ষম করে।
  5. ক্ষত নিরাময় করেঃনিপাতা পেটে পেস্ট করে ক্ষতস্থানে লাগালে দ্রুত সুস্থতা পাওয়া যায়।
  6. লিভাররের স্বাস্থ্য উন্নত করেঃএটি রক্ত পরিশোধনের মাধ্যমে লিভার কে সুস্থ রাখে এবং লিভারের সুরক্ষা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  7. কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করেঃনিমপাতা ক্রিমিনাল আসুক হিসেবে কাজ করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
  8. এন্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া গুনঃ নিমের বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। এর অ্যান্টিসেপটিক গুণও রয়েছে।
  9. এলার্জি কমায়ঃ নিম পাতা ও এর নির্যাস এলার্জি সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এবং শ্বাসকষ্ট জনিত দোলাবালি জড়িত এলার্জির প্রকল্প কমাতে সক্ষম।
  10. মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ নিম দাঁত ত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে, যা সামগ্রিকভাবে মুখের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

নিম পাতার অপকারিতা
  1. পাকস্থলী সমস্যাঃ অতিরিক্ত নিমপাতা সেবনের ফলে বমি বমি ভাব মাথা ব্যথা এবং পেটে অন্তস্তি বা সমস্যা হতে পারে।
  2. কিডনি ও লিভারের সমস্যাঃ নিমের দীর্ঘমেয়াদি বা অতিরিক্ত ব্যবহারে কি নি পাথরে এবং লিভারের কার্যকারিতা সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  3. বদ্যান্তঃ নিমের নির্যাস পুরুষের শুক্রাণু পরিমাণ গতিশীলতা এবং আকার হ্রাস করতে পারে, যা বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি ডিম্ব ফটোকে বাধা দিতে পারে।
  4. ত্বকের সমস্যাঃ দীর্ঘ সময় ধরে নিবেন নির্যাস ব্যবহার ফলে ত্বকের অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
  5. রক্তের শর্করার মাত্রা পরিবর্তনঃ নিম পাতার অপে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করলে অতিরিক্ত সে অন্যের ফলে এর মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে।

খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে কি হয়

খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে কি হয় সেটা আমরা এখন জানবো। সকালে খালি পেটে যদি আপনি নিম পাতার রস খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। খালি পেটে নিমপাতা রস খেলে শরীরে ডিস্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং হজম শক্তি উন্নত হয়। এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমনঃ ব্রণ ও একজিমা দূর হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। তবে সঠিক মাত্রা মেনে চলা উচিত এবং কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ দেওয়া উচিত।

মিম হল এক ধরনের ওষুধি গুনাগুন। তবে এর অনেক উপকার রয়েছে সাধারণত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার পরামর্শের জন্য নিমপাতা অনেক গুনাগুন উল্লেখ্য হয়েছে। এগুলো প্রাচীনকাল থেকেই নিম পাতার ব্যবহার করা হয়। তবে এখন ব্যবহারে অনেক কমে গিয়েছে বললেই চলে তবে গ্রাম অঞ্চলে মানুষের নিম পাতার ব্যবহার এখনও কিছুটা আছে। আপনি যদি নিমপাতা খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। নিম পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভার কিডনি ও অত্র থেকে শরীরকে পরিষ্কার করে এবং বর্জ্য থেকে দূর করে।

রোগ প্রতিরোধে খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যা সারাদিন শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস জন্য নিমপাতা রক্তের সুগার লেভের নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রক্ত সংবহন উন্নত করে। হজম শক্তি উন্নত করে নিম পাতার রস শরীর থেকে অতিরিক্ত সবজি কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্য অনেক উপকারী নিমপাতা অ্যান্টিব্যক্তিরা বৈশিষ্ট্য ত্বকের ব্রণ ফোড়া ও একজিমা নিরাময় সাহায্য করে।নিম পাতার রস সেবন করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে পারে।

নিমপাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা

নিমপাতা আমরা অনেকে ব্যবহার করে থাকি কিন্তু নিমপাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা আমরা হয়তো কেউ জানিনা। নিমপাতা দিয়ে গোসল করলে ত্বক সুস্থ থাকে এবং নানা ধরনের ত্বকের সমস্যার যেমনঃ রেস, চুলকানি দাগ, ব্যাগ হেডস এবং ব্রনের দাগ দূর হয়। এছাড়াও এটি খুশকি ও ত্বকের ফাংগাল ইনফেকশন কমাতে এবং শরীরকে এলাচি থেকে সুরক্ষা রাখতে সাহায্য করে।

আমরা যদি নিমপাতা দিয়ে গোসল করি তাহলে নিমের এন্টিব্যাকটিরা এবং এন্টিফাঙ্গাল গুনাগুন দাদ চুলকানি এবং অন্যান্য ফাংগাল ইনফেকশন প্রতিরোধ সাহায্য করে। নিম পাতা টপে সাধারণ দাগ শোপ মেস্তা ব্যাগ হেডস এবং ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। খুশকি ও চুলকানি কমায় নিম পাতা চুল ও ত্বকের পুস্কি দূর করতে সাহায্য করে এবং এলার্জি হওয়ার কারণে চুলকানি থেকে আরাম দেয়।

গরমের দিনে বা ত্বকে অতিরিক্ত তেল জমে গেলে নিমপাতা দিয়ে গোসল করলে ত্বক সতেজ থাকে এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা দূর হয়ে যায়। নিমপাতা গোসলের কিছু পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলোঃ
  • তাজা ও পরিষ্কার নিম পাতা নিন
  • পানিতে নিমপাতা ফুটিয়ে নিন
  • পানি কিছুটা ঠান্ডা হলে এই পানি দিয়ে গোসল করুন

নিমপাতার বড়ি খেলে কি হয়

এখন আমরা জানবো নিমপাতার বড়ি খেলে কি হয়। নিম পাতার বড়ি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হজম শক্তির মত হয় এবং লিভারকে বিষাক্ত পদার্থ মুক্ত করতে সাহায্য করে। এটি কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধ করে। তবে, নিম পাতার বরি খাওয়ার আগে গর্ভবতী নারী ও যাদের এলার্জি আছে তারা চিকিৎসাকের পরামর্শ নেবেন,  কারণ অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে ডায়রিয়া বা পেট ব্যাথা হতে পারে।
  1. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ নিম পাতা শরীরের সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে শরীরের সহজেই বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
  2. হজম শক্তি উন্নতিঃ এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে তুলে এবং খাবার জনিত এলার্জির প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  3. লিভার ডিটস্ক্রিপেশনঃ নিমপাতা লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করে এবং এর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
  4. কৃমিনাশকঃ এটি কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে এবং পেটের কৃমি দূর করতে সহায়তা করে।
  5. ত্বকের স্বাস্থ্যঃ নিমপাতা ত্বকের সংক্রমণ ফুসকুড়ি এবং চর্ম রোগে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  6. শ্বাসকষ্ট ও এলার্জিঃ ধুলাবালিজড়িত বা শ্বাসকষ্ট জনিত এলার্জি থেকে মুক্তি করে।
  7. মুখের স্বাস্থ্যঃ নিয়মিত নিম পাতা খেলে দাঁতের ব্যথা বাড়ির ফোলানো ভাব রক্ত পড়া ও দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।
সতর্কতা

বিশেষ সতর্কতাঃ গর্ভবতী নারী বা যারা শিশুকে দুধ খাওয়ান, তাদের নিমপাতা সেবন থেকে অবশ্যই বিরত থাকা উচিত।
চিকিৎসকের পরামর্শঃ যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে বা কোন ওষুধ সেবন করলে নিমপাতা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অত্র প্রচারের আগেঃ তাদের অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বা যারা অভদ্র প্রচারের পরিকল্পনা করেছেন, তাদের নিম পাতা সেবন করা উচিত নয়, কারণ এটি রক্তে শর্করা মাত্রায় নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করে তোলে।

নিমপাতা কি কি রোগের কাজ করে

চলুন জেনে নেওয়া যাক নিমপাতা কি কি রোগের কাজ করে।
  1. নিমপাতা এন্টি ব্যাকটেরিয়া ও আন্টিইনফর্মেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত হওয়ার ব্রণ, ফোঁড়া, একজিমা, খোসপাঁচড়া এবং চুলকানির মতো ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
  2. নিমপাতা অ্যান্টিসেপটিক ও এন্টিভাইরাস গুণাবলী বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে।
  3. হজমের জন্য এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং অত্রের ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, যা বদহজম ও পেটের অল্পতা কমাতে সাহায্য করে।
  4. নিমের এন্টিসেপটিক ও অ্যান্টিভাইরাস গুণাবলী বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটিয়ারের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে।
  5. নিমপাতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, যা শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
  6. নিম পাতা রক্ত পরিষ্কার করে, এটি রক্ত থেকে স্টক্সিন দূর করতে এবং রক্তকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
  7. নিয়মিত নিম পাতা খেলে রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  8. ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে নিমপাতা মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
  9. নিমপাতা অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যের কারণে দুটো ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে।
  10. নিমপাতা কৃমি সমস্যা দূর করতেও বেশ কিছু কার্যকর।

চর্ম রোগে নিম পাতা ব্যবহার

চর্ম রোগে নিম পাতা ব্যবহার করতে আপনাকে সাধারণত যাদের এলার্জিজনিত সমস্যা আছে তাদের এই অবলম্বন টি মাধ্যমিক তাদের চর্মরোগ প্রতিরোধ করবে। এটি ত্বকের পর্দা কমাতে এবং ত্বকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। নিম পাতার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ার গুণ ত্বকের ব্রণ এবং পুসকুড়ি প্রতিরোধ কার্যকর। এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করে এবং ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার রাখে।

ব্যবহার জন্য আপনাকে নিমপাতা পেস্ট করে ত্বকে লাগান এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট দেখে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি চর্ম রোগের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে নিম পাতার এই ব্যবহার করলে আপনি চর্ম রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

নিম পাতার রস খেলে কি হয়

নিম পাতার রস খেলে কি হয় তা আমরা এখন জানবো। নিম পাতার রস খেলে হজম শক্তি বাড়ে, পেটের গ্যাস অবলম্বন করে, লিভার পরিষ্কার হয় এবং অত্রের পরজীবী দূর হয়। এটি এন্টিব্যাক এবং এন্টি ইনফর্মেটরি গুণাবলীর জন্য পরিচিত জাতক ও দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা যেমনঃ ব্রণের, উপাদব্য নারীর ফোলানো এবং দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিম পাতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং লিভার ও কিনি থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।

নিমপাতার-১০টি-উপকারিতা-ও-নিম-পাতার-অপকারিতা
নিম পাতা খেলে মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অনেক সময় এই সমস্যাটি জটিল হয়ে দাঁড়ায় তাই প্রথম অবস্থায় আমাদেরকে নিমপাতা রস খেলে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যাবে।
আপনি যদি নিমপাতা খেতে পারেন এবং পরিমাণ মতো খান তাহলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে ভূমিকা পালন করবে। কারণ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানে নিমপাতা ভূমিকা রাখে।
যাদের দীর্ঘ সময় ধরে কাশির সমস্যায় ভুগছেন বা কাশি দূর হচ্ছে না ঠান্ডা জনিত সমস্যা লেগেই থাকে তাদের জন্য নিম পাতার রস এবং মধু মিশে খেলে এই রোগ থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া যায়।
ত্বকের যত্ন নিতে হলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে নিমপাতা রস ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি নিম পাতার রস ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
যাদের চর্মরোগ রয়েছে তারা নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ নিমপাতা ব্যবহার করলে চর্ম রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

কাঁচা হলুদ এবং নিমপাতার গুনাগুন

কাঁচা হলুদ এবং নিমপাতার গুনাগুন অনেক। কারন আমাদের বিভিন্ন কাজে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করে থাকি, এমনকি রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি। কাঁচা হলুদ নিম পাতার উভয় স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষার দারুন উপকারি। নিমপাতা হজম শক্তি বাড়ায় কৃমি ও গ্যাস কমা, রিভার কে সুস্থ রাখে এবং ত্বকের সংক্রমণ ব্রণ ও চুলকানি দূর করে। কাঁচা হলুদ হজমে সাহায্য করে, শরীর থেকে টক্সিন বের করে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।


এই দুটি উপাদান একসঙ্গে বেটি মুখে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ও তার কমে। এর চাইতে গুরুত্বপূর্ণ আরো একটি বিষয় আমরা সবাই জানতে চাই। সেটি হল আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে নিমপাতার উপকারিতা। আমরা যদি প্রতিনিয়ত কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতা ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের ত্বকের সমস্যা দূর হবে। এবং এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া তোকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতাইয় মধ্যে থাকা সৃষ্টির গুনাগুন।

ত্বকের জন্য নিমপাতার উপকারিতা

ত্বকের জন্য নিমপাতার উপকারিতা অনেক বেশি সেটা আমরা কমবেশি সবাই জানি। আমাদের মাঝে অনেকের ই ত্বকের সমস্যা হয়ে থাকে নিম পাতা শুধু আমার সাথে শরীরের জন্য উপকারী না, নিম পাতা ত্বকের জন্য মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে। টকও চুলের জন্য সামান্যভাবে নিমপাতা উপকারিতা রয়েছে। কারণ এতে নিমপাতা বিভিন্ন রকমের পুষ্টির উপাদান পাওয়া যায়।

আমরা যদি ত্বকে নিয়মিতভাবে নিমপাতা ব্যবহার করে থাকি, তাহলে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে এবং ত্বকের কালো মেছতা দূর হবে, চোখে নিচে দাগ সার্কেলসহ বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতে ভূমিকা পালন করবে। ত্বকের জন্য নিম পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে যেমন এটি ব্রণ পোস্ট করি এবং অন্যান্য ত্বকের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।

নিমপাতা এন্টি ব্যাকটেরিয়া এবং আন্টি ইনফার্মেটরি গুণ থাকে, যা ত্বকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, পদ্মা কমাতে সাহায্য করে, এবং ত্বকের দাগ দূর করতে, কার্যকর ভূমিকা পালন করে। নিমপাতা ত্বকে উজ্জ্বল করে এবং বিভিন্ন চর্মরোগ থেকে মুক্তি করে, যেমনঃ একজিমা ও চুলকানি সরাতেও সাহায্য করে। 

নিমপাতার মধ্যে থাকা গুনাগুন সমূহ

নিমপাতার মধ্যে থাকা গুনাগুন সমূহ হয়তো আমরা অনেকেরি জানা নেই। তাহলে দেরি না করে চলুন নিম পাতার গুনাগুন জেনে নেওয়া যাক।
  1. খুশকি ও চুলকানি দূর করে
  2. ব্রণ ও দাগ কমাতে
  3. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
  4. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
  5. হজম শক্তি উন্নতি করে
  6. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  7. চোখের সমস্যা দূর করে
  8. দ্রুত ক্ষত সারাতে
খুশকি ও চুলকানি দূর করতেঃ নিম পাতার রস মাথায় লাগালে চুলকানি কমে, চুল শক্ত হয় এবং চুলের শুষ্কতা দূর হয়।

ব্রণ ও দাগ কমাতেঃ নিমের এন্টি ব্যাক্টেরিয়া এবং এন্টি ইনফরমেটরি বিশিষ্ট ব্রণের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, পদ্মা কমায় এবং লোক কূপ পরিষ্কার রাখে। 

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেঃ নীর্ম হলুদ নিচে পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং স্ক্রিনটন ঠিক হয়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেঃ নিম শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ির রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বিশেষ করে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপকারী।

হজম শক্তি উন্নতি করতেঃ নিমপাতা হজম শক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিক অবলম্বন ও ডায়রিয়ার মত পেটের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেঃ যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের শরীরের সুস্থ থাকবে। নিজেকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখা জরুরি। তেমনি নিম পাতা শরীরে সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

চোখের সমস্যা দূর করতেঃ চোখ হলো গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। যা না থাকলে আমরা দুনিয়ার আলো কিছুই দেখতে পারবো না। যদি আপনাদের চোখের কোন সমস্যা থাকে তাহলে নিম পাতা খেলে চোখের সমস্যা দূর হবে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

দ্রুত ক্ষত সারাতেঃ যদি আপনার শরীরে কোন ক্ষত থাকে তাহলে নিমপাতা পেজ তৈরি করে সেই স্থানে লাগিয়ে দিন, তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ক্ষত সারিয়ে যাবে।

নিমপাতার সাবান 

নিমপাতার সাবান আমরা সবাই গাঁয়ে মাখি, এই সাবানটি অনেক উপকারী। নিম পাতার সাবান হল এমন এক ধরনের প্রাকৃতিক সাবান যা নিমপাতার নির্যাস থেকে তৈরি হয় এবং ত্বকের জন্য বিভিন্ন উপকারিতা প্রদান করে। এটি ত্বকের ব্রণ, ফুসকুড়ি দাগ ও খোস-পাচরা নিরাময় করে, ত্বককে পরিষ্কার সতেজ এবং জীবাণু মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া, এন্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলি ত্বকের সমস্যা দূর করে এবং উজ্জ্বলতা রাখে। 

এই সাবানটি ব্যবহার এর ফলে ব্রণ ফুসকুড়ি দূর করে, ত্বক পরিষ্কার রাখে, ত্বকের দাগ কমায়, চর্মরোগ নিরাময় করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, চর্ম রোগ নিরাময় করে, তোকে মহেশ্রারাইস করে। নিম পাতা সাবানটি ব্যবহার বিধি নিচে দেওয়া হলোঃ
  • গোসলের সময় সাধারণ সাবানের পরিবর্তে নিন সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • এটি পুরো শরীরে এবং মুখ পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা যায়।

হিমালয়া নিম সাবান

হিমালয়া নিম সাবান আমরা প্রায় অনেকেই ব্যবহার করে থাকি। তাহলে চলুন হিমালয়া নিম সাবানের বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলোঃ
  • নিমঃ নিমের এন্টি ব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তোকে পরিষ্কার করে, ব্রণ ও অন্যান্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
  • হলুদঃ হলুদের অ্যান্টিসেপটিক ও পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা ত্বকের ভ্রমণের উন্নতি ঘটা এবং ত্বকে রক্ষা করে।
  • লেবুঃ লেবু ত্বকে সতেজতা আনে এবং এর অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য ত্বককে সুরক্ষিত রাখে।
  • প্রাকৃতিক উপাদানঃ সাবানটিতে প্রাকৃতিক উপাদানে ব্যবহার করা হয়, যা ত্বককে নরম ও মহেশ্বারাইস রাখে।
সাবানের ব্যবহারের সুবিধা
  • ত্বক পরিষ্কার করেঃ সাবানটি ত্বক থেকে ধুলো, ময়লা ও তেল সরিয়ে তোকে সতেজ ও পরিষ্কার রাখে।
  • ব্রণ ত্বকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করেঃ নিমের এন্টি সেফটিক গ্রন্থনের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দূর করে।
  • ত্বকে আরামদায়ক করেঃ এটি ত্বকে নরম ও মহেশ্বারাইস রাখে, যা শুকনো ওষুধকানি উপশম করে।
  • সকলের জন্য উপযোগীঃ এই সাবানটি পরিবারের সকলের জন্য উপযুক্ত, বিশেষ করে গরম ও বৃষ্টির দিনে যখন ত্বকের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে তখন।

নিমপাতার তেল ব্যবহারের উপকারিতা

নিমপাতার তেল ব্যবহারের উপকারিতা আমরা অনেকেই জানি। নিমপাতা তেল চুল ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা দারুন উপকারী ,কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া, অ্যান্টিফাংগাল ও আন্টি ইনপেমেন্টরি গুণাবলী। এটি ব্রণের সমস্যা, শুষ্কতা, একদিমা, খুশকি ও চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মিমের তেল পোকামাকড় তাড়াতে, মশা দূর করতে এবং গাছের সুরক্ষাতেও সাহায্য করা হয়।

নিমপাতার-১০টি-উপকারিতা-ও-নিম-পাতার-অপকারিতা
ব্রণ ও ফুসকুড়িঃ নিম তেল ব্রণের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, লোম গ্রুপ পরিষ্কার রাখে এবং প্রদাহ কমায়।

শুষ্কতা ও একজিমাঃ এটি শুষ্ক ত্বক ও একজিমা, শরীরের মতো ত্বকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

চুল পড়া নিয়ন্ত্রণঃ ছত্রাক সংক্রমণের কারণে হওয়া চুল পড়ার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত তেল ব্যবহার করে।

মশা ও পোকামাকড় তাড়ায়ঃ শরীরের নিম তেল মেখে ঘুমালে মশা বা অন্যান্য পোকামাকড় থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

জৈব কীটনাশকঃ এটি একটি কার্যকরী জৈব কীটনাশক, যা গাছের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন করতে সাহায্য করে।
ব্যবহারের আগে সতর্কতা
  1. নিমের তেল ব্যবহারের আগে অপু পরিমাণে লাগিয়ে পরীক্ষা করা উচিত, কারণ বিশেষ করে সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে।
  2. শক্তিশালী হওয়ার কারণে এটি ত্বকের জন্য ক্যারিয়ার তেল যেমনঃ নারকেল বা অলিভ অয়েল এর সাথে মিশে ব্যবহার করা ভালো।
  3.  গর্ভবতী ও স্তন্যদান কারী মায়েদের নিমের তেল ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

নিমপাতার অপকারিতা

নিমপাতার অপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। এতক্ষণ আমরা নিমের উপকারিতা ও অপকারিতা, নিমের পাতার মধ্যে থাকা গুনাগুন, নিম পাতার রস খেলে কি হয়, চর্ম রোগের নিমপাতার ব্যবহার, নিম পাতা সাবান, হিমালয় নিম সাবান ইত্যাদি সম্পর্কে জানলাম।

পাকস্থলী সমস্যাঃ অতিরিক্ত নিমপাতা সেবনের ফলে বমি বমি ভাব মাথা ব্যথা এবং পেটে অন্তস্তি বা সমস্যা হতে পারে।
কিডনি ও লিভারের সমস্যাঃ নিমের দীর্ঘমেয়াদি বা অতিরিক্ত ব্যবহারে কি নি পাথরে এবং লিভারের কার্যকারিতা সমস্যা তৈরি করতে পারে।
বদ্যান্তঃ নিমের নির্যাস পুরুষের শুক্রাণু পরিমাণ গতিশীলতা এবং আকার হ্রাস করতে পারে, যা বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি ডিম্ব ফটোকে বাধা দিতে পারে।
ত্বকের সমস্যাঃ দীর্ঘ সময় ধরে নিবেন নির্যাস ব্যবহার ফলে ত্বকের অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
রক্তের শর্করার মাত্রা পরিবর্তনঃ নিম পাতার অপে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করলে অতিরিক্ত সে অন্যের ফলে এর মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে।
সতর্কতাঃ

যেকোনো ভীষণ উপাদান ব্যবহারের আগে বিশেষ করে, যদি আপনার কোন শারীরিক অসুস্থতা থাকে, তাহলে একজন যৌগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নিমের দোষ এবং ব্যবহারে সময়কাল সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা প্রয়োজন, কারণ যে কোন উপাদানে অতিরিক্ত ব্যবহারের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

শেষ কথাঃ নিমপাতার ১০টি মহাওষুধ ও ক্ষতিকারক দিক

প্রিয় ভিজিট আশা করি নিমপাতার ১০টি মহাওষুধ ও ক্ষতিকারক দিক  পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আজকের পোস্টে যা আমরা জানলাম নিম পাতা ১০ টি উপকারিতা, খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়, নিমপাতা দিয়ে গোসল করা উপকারিতা, নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয়, নিমপাতা কি কি রোগের উপকারী, চর্মরোগে নিমপাতার ব্যবহার, নিম পাতার রস খেলে কি হয়, কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতার গুনাগুন, ত্বকের জন্য নিমপাতার উপকারিতা, নিম পাতার মধ্যে থাকা গুনাগুন, নিম পাতার সাবান, হিমালয়া নিম সাবান, নিমপাতা তেল ব্যবহারের, উপকারী পাতার উপকারী ইত্যাদি।
 

আপনি যদি  নিমপাতার ১০টি উপকারিতা ও নিম পাতার অপকারিতা  পরে উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে কমেন্ট বক্সে গিয়ে একটি ভাল কমেন্ট করুন। আর আপনার বন্ধুদের সঙ্গে নিমপাতার ১০টি উপকারিতা ও নিম পাতার অপকারিতা শেয়ার করে দিন। যাতে নিমপাতার ১০টি উপকারিতা ও নিম পাতার অপকারিতা  পরে উপকৃত হতে পারে। এতক্ষণ ধরে নিমপাতার ১০টি মহাওষুধ ও ক্ষতিকারক দিকপড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম।   

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url