ফেসবুকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সহজ উপায়

দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার ২০টি সেরা apps  

ফেসবুকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় এবং ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় এটাই আমাদের আজকের মূল আলোচনার বিষয়। ফেসবুক শুধু যোগাযোগের মাধ্যমেই নয় এটা ব্যবসা প্রসারের সবচেয়ে শক্তিশালী একটি প্লাটফর্ম। ছোট ব্যবসায়ী থেকে বড় ব্যবসায়ী সবাইকে বুক মারকেটিং করে।

এই পোস্টে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন কিভাবে ফেসবুক ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা যায়, কিভাবে মার্কেটিং ব্যবহার করতে হয় এবং কিভাবে একটি ব্যাংকে সফলভাবে গড়ে তুলতে হয়। যা নতুনদের জন্য ও অভিজ্ঞ মার্কেটেদের জন্য কিছু কার্যকর ও গাইডলাইন। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে না যাক।

• ফেসবুকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় 
• মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং
• কেন ফেসবুক ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ
• ফেসবুকে বিজনেস পেজ তৈরি করার নিয়ম
• ফেসবুক প্রোফাইল ও পেজের পার্থক্য
• ফেসবুক কনটেন্ট মার্কেটিং স্ট্যাটিজ
• ফেসবুকে পোস্ট করার সঠিক সময় ও কনটেন্ট ধরন
• ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহার করে মার্কেটিং
• ফেসবুকে অ্যাডস সেটাপ করার নিয়ম
• ফেসবুক মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং
• শেষ কথাঃ ফেসবুকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় 

ফেসবুকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় বর্তমানে সময়ে ব্যবসার প্রসার আর গ্রাহকের অর্জনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ বা তার চেয়েও বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে, তাই এখানে আপনার ব্যবসার জন্য বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। ফেসবুকে সফলভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে।

বিজনেস পেজ তৈরি করতে হবে। ব্যক্তিগত প্রোফাইলে বা আলাদা বিজনেস পেজ তৈরি করতে হবে। এখানে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কোন বয়স, এলাকা বা আগ্রহের মানুষের জন্য সেটি নির্ধারণ করতে হবে। নিয়মিত ছবি, ভিডিও, স্টোরি ও লাইভ ব্যবহার করতে হবে। এবং সীমিত হয় তাই বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহক টার্গেট করতে হবে।

কোন পোস্ট কেমন পারফর্ম করছে তা ফেসবুক ইনসাইটস থেকে দেখে বুঝে পড়ে স্টার্টিজির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফেসবুক মার্কেটিং শুধু বিজ্ঞাপন দেওয়া মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না এটি একটি কৌশলগত প্রক্রিয়া। সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে এর ফলাফল অনেক ভালো সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আপনি গ্রাহক পাবেন ব্যাংক তৈরি হবে এবং আপনার দ্বিতীয় বেড়ে যাবে।

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং অনেক মানুষ করছে। আমরা একটা বিষয় অনুগত আছি যেমন এখন অধিকাংশ মানুষ ই স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। এখন প্রশ্ন সবারই থাকতে পারে যে মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করা কি সম্ভব? হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব কিন্তু পুরোপুরি ফেসবুক মার্কেটিং মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব নয়। পুরোপুরি ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে ল্যাপটপে বা ডেক্সটপ প্রয়োজন হবে। তাহলে মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং এর কি কি কাজ করতে হয় পারবেন সে বিষয়ে আলোচনা করব।

আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে আপনি ফেসবুক প্রফেশনালি একটি বিজনেস পেজ তৈরি করতে পারে। আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করে আপনার সেই পেজে আপলোড করার কাজটি অবশ্যই আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি মোবাইলে ফেসবুক মার্কেটিং পেইড মার্কেটিং করতে পারবেন ফেসবুকে অ্যাড রান করাতে পারবেন। আবার আপনি আপনার অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবে।

আপনার সেই বিজনেস পেজ পাবলিশ করার সোশ্যাল মিডিয়াতে অন্যান্য আপনার বিজনেস পেজে শেয়ার করতে পারবেন। মার্কেটিং করা যাবে কিনা বিষয়টি আপনি সঠিকভাবে ক্লিয়ার হতে পেরেছেন।

কেন ফেসবুক ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা এখন জানবো, আসলে অনলাইনের ব্যবসার বাজারে সবচেয়ে শক্তিশালী প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে একটি হল ফেসবুক। পৃথিবীতে প্রায় প্রতিটি দেশের কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন ফেইসবুক ব্যবহার করছে। তাই ব্যবসা প্রসারের জন্য গ্রাহক খোঁজার এবং ব্যান্ড তৈরি করার জন্য ফেসবুক গুরুত্বপূর্ণ কি ভূমিকা পালন করে। ফেসবুকে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ একটিভ থাকে।

এত বড় প্ল্যাটফর্মে সহজে আপনার ব্যবসার সম্ভাবনা গ্রাহক খুঁজে পাওয়া সম্ভব। ফেসবুকের অ্যাডস ম্যানেজার ব্যবহার করলে আপনি নির্দিষ্ট বয়স লিঙ্গ এলাকা ও আচরণের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারবে। টেলিভিশন বা বিলবোর্ড বিজ্ঞাপনের তুলনায় ফেসবুক অ্যাড অনেক সাশ্রয়ী। তাই ছোট বাজেটেও ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ফেসবুক পেজের ইনবক্স কমেন্ট বা লাইক সেকশনের মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকের সাথে কল বা যোগাযোগ করা আস্থা বাড়ে।

প্রতিনিয়ত মানবসম্মত কনটেন্ট পোস্ট করলে গ্রাহকের মনে আপনার সেই ব্যান্ডের একটি ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে কোন পোস্ট ভালো কোড কাজ করছে, কোন বয়সের মানুষ বেশি রেসপন্স করছে সবকিছু সহজে জানা যায়। আপনি চাইলে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে ছোট পরিসরে শুরু করতে পারবেন আবার বড় কোম্পানি ফেসবুকের মাধ্যমে গ্লোবাল মার্কেট টার্গেট করতে পারবেন।

অনেকে ফেসবুকে বিজনেস পেজ তৈরি করার নিয়ম জানেনা, অনলাইনে আপনার ব্যবসা প্রচারের জন্য একটি ফেসবুক বাউন্স পেজ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত প্রোফাইল দিয়ে ব্যবসা চালালে সীমিত সুবিধা পাওয়া যায় কিন্তু বিজনেস পেজ থেকে প্রত্যেক প্রফেশনাল টুলবা ব্যবসা কে গতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করার জন্য আপনার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি দিয়ে লগইন করুন। বিজনেস পেজ তৈরি করার জন্য ফেইসবুক মেনুতে গিয়ে Pages অপশনটি সিলেক্ট করুন। এরপর Create New বাটনে ক্লিক করুন।

ফ্রেন্ডের নামে পির তৈরি করুন এবং নামসহ আপনার আকর্ষণীয় এবং মনে রাখার মত হয় এমন নাম দিন। আপনার ব্যবসা কোন ধরনের Clothing, Food, Digital marketing, E commerce, Art ইত্যাদি তা ক্যাটাগরি থেকে বেছে নিন। bio তে আপনার ব্যবসার সংক্ষিপ্ত পরিচয় লিখুন প্রোফাইল ও কাভার ফটো দিন।

একটি মানসম্মত Profile Piccture ও আকর্ষণীয় একটি কাভার ফটো দিন যেখানে আপনার ব্যান্ড বা ব্যবসা ধারণা ফুটে উঠবে। এরপর আপনার ফোন নম্বর, ইমেইল, ওয়েবসাইট ও ঠিকানা দিন গ্রাহক যেন খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারে। কল টু একশন বাটন সেট করুন যেমন shop New, Mesage, Contact Us, Otder New ইত্যাদি বাটন ব্যবহার করতে পারেন।

সেখানে প্রথম পোস্ট হিসেবে ব্যবসার পরিচিতি মূলক একটি পোস্ট দিন যেখানে আপনার পূর্ণ বা সেবা বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। বন্ধুদের পেজ লাইক করতে বলুন। পরে বিজ্ঞাপন দিয়ে টার্গেট গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করুন আপনার ব্যবসা প্রসারিত একটি ব্যাংক পরিনত করার জন্য। 

ফেসবুকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় ফেসবুক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনেকে ফেসবুক প্রোফাইল ও পেজের পার্থক্য বুঝতে পারেনা। আসলে এদের দৃশ্য থাকে আলাদা। প্রোফাইলে মূলত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য যেখানে আপনার বন্ধু ও পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ছবি বা ভিডিও শেয়ার করা মাধ্যম। অন্যদিকে বিজনেস দেশ তৈরি করা হয় ব্যবসা, ব্যান্ড এবং কোম্পানি বা কোনো সংগঠনকে প্রমোট করার জন্য।

প্রোফাইলের সীমাহীন ফলোয়ার হলেও এতে বিজ্ঞাপন চালানো সুযোগ নেই। কিন্তু বিজনেস পেজে অসীম সংখ্যক মানুষ ফলো করতে পারে এবং নির্দিষ্ট বয়স লোকেশন সংগ্রহ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন চালানো যায়। এছাড়া বিজনেসের পেজ অনেক প্রফেশনাল ফিচার যেমন বিজ্ঞাপন চালানো, পোস্ট বুস্ট করা, কল টু আকর্ষণ বাটন যুক্ত করা ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে ডাটা এনালাইজ করা যায়।

অন্যদিকে প্রোফাইলে শুধু সাধারণ পোস্ট করা যায় কিন্তু কোন পোস্ট কতজন দেখছি কতজন বিয়ে করছে কেমন রেসপন্স দিল তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় না। সেজন্যই বিজনেস পেজের গ্রাহকের আচরণ, ব্রিজ এবং এনগেজমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব। প্রোফাইল ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য আর বিজনেস স্যার প্রচারের জন্য সবচেয়ে উপযোগী।

ফেসবুক কনটেন্ট মার্কেটিং স্ট্যাটিজ সফল হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কনটেন্ট মার্কেটিং। এটি ভালো স্ট্যাটেজি শুধুমাত্র পূর্ণ বা সেবা প্রচারের জন্য নয় গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলাও সাহায্য করে। কনটেন্ট মানসম্মত আকর্ষণীয় করা এবং প্রয়োজনীয় হলে গ্রাহক আপনার প্যান্টের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা পাবে। কনটেন্টের ধরন এবং উপরের লক্ষ্য রাখতে হবে ফেসবুক ছবি, ভিডিও লাইভ সেকশন, ইনস্টাগ্রাম ও স্টোরি সবকিছু ব্যবহার করা যায়।

পূর্ণ পরিচিত কাস্টমারের ভিডিও, টিপস বা শিক্ষামূলক ভিডিও, পোস্ট করলে মানুষ আগ্রহই বেশি হয়। এ ছাড়াও কনটেন্টের সময় নির্বাচন খুব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই দুইটা সময় পোস্ট দিলে বেশি মানুষ তা দেখে এবং কনটেন্ট এংগেজমেন্ট বৃদ্ধি পায়। কনসেপ্টারি বা নিয়মিত পোস্ট করা জরুরী একটি বিষয়। নিয়মিত পোস্ট করলে গ্রাহকের নজর আপনার পেজে বেশি পড়ে। আর অনিয়মিত পোস্ট করলে কাউকে নজর কম পড়ে। তাই একটি কনটেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করে সপ্তাহে বা মাসে কত পোস্ট দেয়া হচ্ছে তা নির্বাচন করুন।

কাস্টমার এনগেজমেন্ট পাড়াতে পোস্টে প্রশ্ন করুন, লাইভে ফলোয়ারদের সাথে কথা বলুন, কমেন্টে দ্রুত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে গ্রাহক আপনার ফ্রেন্ডের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং পরবর্তী সময় ক্রয় বিক্রয় করার সম্ভাবনা বাড়ে। ডাটা বিশ্লেষণ করতে হবে। এতে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে দেখুন কোন পোস্ট বেশি লাইক শেয়ার বা কমেন্ট পাচ্ছে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী কমেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করুন।

ফেসবুকে পোস্ট করার সঠিক সময় ও কনটেন্ট ধরন আমরা অনেকেই জানিনা আসলে ফেসবুকে মার্কেটিং এর শুধু ভালো কন্টাক্ট তৈরি করলেই হবে না সঠিক সময় পোস্ট করতে হবে। কারণ ফেসবুকের এলগরিদম অনুযায়ী যখন বেশি মানুষ অনলাইনে থাকে তখন পোস্ট দেখার সম্ভাবনা বেশি হয়। তাই আপনার পোস্ট যেন সর্বাধিক গ্রাহকের চোখে পড়ে সেই সময় বেছে নিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সকাল ৯টা থেকে ১১টা, বিকেল ৩টা থেকে ৫টা সবগুলো সবচেয়ে কার্যকর। তবে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স রা কোথায় অবস্থান করছে এবং তারা অনলাইনে কখন একটিভ থাকে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম পেতে তার লক্ষ্য করে পোস্ট দিন। যাতে কনটেন্টের ধরনের বৈচিত্র রাখা জরুরি। ফেসবুকে শুধু ছবি নয় ভিডিও লাইভ শেষ হোক ইনস্টাগ্রামও স্টরি ওরিজ ব্যবহার করলে এংগেজমেন্ট অনেক বৃদ্ধি পায়।

পত্রের ডেমো, ভিডিও, কাস্টমার রিভিউ, টিউটোরিয়া বা টিপস শেয়ার করলে মানুষ বেশি আকৃষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও কন্টেন্ট ভার্চুয়াল এবং টেক্সট ভার্সন দুইটা ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের অডিয়েন্সকে আকর্ষণ করা সম্ভব হয়। তাই কনটেন্টের সাথে কল টু বাটন ব্যবহার করলে গ্রাহক সহজেই পদক্ষেপ নিতে পারবে।

ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহার করে মার্কেটিং কেবল পেজ বা বিজ্ঞাপন ব্যবহার করলেই হবে না ফেসবুক গ্রুপ ও একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। গ্রুপের মাধ্যমে আপনি সরাসরি আগ্রহী মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের সঙ্গে বিশ্বযজ্ঞ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন। আপনি স্যারের নিজের ব্যবসার জন্য একটি নির্জন গ্রুপ তৈরি করতে পারবেন যেখানে গ্রাহকরা প্রশ্ন করতে পারবে ভিডিও শেয়ার করতে পারবে বা নতুন পূর্ণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে।

আবার আপনি সেখানে আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের সক্রিয় আপনি সেই গ্রুপগুলোতেও অংশ নিতে পারেন। গ্রুপে নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট শেয়ার করা জরুরি একটি বিষয়। এতে গ্রাহক আপনার ব্যাংকে প্রফেশনাল ও বিশ্বস্ত মনে কবে। এনগেজমেন্ট বাড়াতে গ্রাহকদের কমেন্টের উত্তর দিন, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন এবং পল বা সার্ভিস ব্যবহার করুন। এতে গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক আরো গাঢ় হয় এবং তারা ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে।

রূপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অফার বা প্রমোশন চালানোর সম্ভব হয়। যেমন শুধুমাত্র গ্রুপ সদস্যদের জন্য ডিসকাউন্ট বা বি অর্ডার অফার। এটি গ্রাহক আকর্ষণ এবং বিপি বাড়ানোর একটি কৌশল উপায়।

ফেসবুকে অ্যাডস সেটাপ করার নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা, তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। ফেসবুকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় প্রথমে ফেসবুক অ্যাপস ম্যানেজার এ যান। এখানে আপনি সব ধরনের বিজ্ঞাপন তৈরি, ট্যাগ এবং ম্যানেজ করতে পারবেন।

Create বাটনে ক্লিক করুন এবং ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য নির্বাচন করুন।

ক্যাম্পেন সেটিংস কন ফিগার করতে ক্যাম্পেইনের নাম দিন। A/B Test বা Campaing Budget Optimizition ব্যবহার করতে পারেন।

টার্গেট ও স্থান নির্বাচন করুন।

নতুন ক্যাম্পেইন শুরু করার সময় ছোট বাজেট নিয়ে পরীক্ষা শুরু করা ভালো আপনার জন্য। এটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে কোন বিজ্ঞাপন বা কোন কনটেন্ট সবচেয়ে ভালো কাজ করছে পার কমেন্টস করছে। ফেসবুকে বাজেট নির্ধারণের দুটি ধরন আছে Daliy Budegt এবং Lifetime Budegt। দৈনিক বাজেট প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে খরচ করতে হবে আর লাইফ স্টাইল এর জন্য মোট বাজেট নির্ধারণ করতে পারবেন।

সবকিছু ছোট হয়ে গেলে পাবলিশ বাটনে প্রেস করুন ফেসবুক সাধারণত বিশ ঘন্টার মধ্যে এড রিভিউ করে। অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহার করে সিটিআর, সিপিসি, সিপিম, ইন গাসমেন্ট ও কনভিশন দেখতে পারেন। ফলাফলের ভিডিওতে এড অপটিম আয়োজন করুন বা নতুন কনটেন্ট ব্যবহার করুন। 

ফেসবুক মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং হলো ফেসবুক ব্যবহার করে ব্যবসা বা ব্যান্ডের প্রচার করা এবং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা। এই কাজের জন্য ফেসবুকের বিভিন্ন ফিউচার, যেমন ফেসবুক অ্যাডস,

পেজ তৈরি ও পরিচালনা, টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানো ইত্যাদি বিষয় দক্ষতা অর্জন করতে হয়। এই দক্ষতা ব্যবহার করে ক্লাইন্টের জন্য কাজ করা যায় এবং বিশ্বব্যাপী ফিনান্সিং ও পাথরের নিজের সেবা প্রদান করা যায়।

শেষ কথাঃ ফেসবুকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় 

যারা নতুন ফেসবুক ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করেছেন তাদের জন্য লেখা এই গাইটি ব্যবহার করে শেখা আশা করি অনেক সহজ হবে। প্রথমে আপনাকে একটি প্রফেশনাল বিজনেস পেজ তৈরি করতে হবে। টার্গেট অডিয়েন্স ঠিক করতে হবে, সেখানে নিয়মিত আকর্ষণীয় কনটেন্ট করতে হবে এবং বিজ্ঞাপন চালানো শিখতে হবে। ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে ফলাফল বিশ্লেষণ করতে হবে এবং স্ট্র্যাটেজি মান উন্নত করার চেষ্টা করুন। এতক্ষণে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।