বিনামূল্যে দুবাই লটারি টিকিট কাটার নিয়ম
প্রিয় পাঠক, আপনি কি বিনামূল্যে দুবাই লটারি টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি দুবাই লটারি টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আপনি দুবাই লটারি টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন দেরি না করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।পোস্ট সূচিপত্রঃ বিনামূল্যে দুবাই লটারি টিকিট কাটার নিয়ম
- বিনামূল্যে দুবাই লটারি টিকিট কাটার নিয়ম
- দুবাই লটারি কিনতে কত টাকা খরচ হয়
- বাংলাদেশ থেকে কি দুবাই লটারি কেনা যায়
- দুবাইয়ের লটারি বৈধ নাকি অবৈধ
- দুবাই লটারি কিলার সত্য এবং নীতিমালা
- দুবাই লটারি কি কি পুরস্কার পাওয়া যায়
- ইসলামের দৃষ্টিতে লটারি খেলা জায়েজ নাকি হারাম
- দুবাইতে কি কি লটারি পাওয়া যায়
- বাংলাদেশ থেকে দুবাই লটারি কেনার সহজ উপায়
- লেখকের মন্তব্যঃ বিনামূল্যে দুবাই লটারি টিকিট কাটার নিয়ম
বিনামূল্যে দুবাই লটারি টিকিট কাটার নিয়ম
আপনি যদি বিনামূল্যে দুবাই লটারি টিকিট কাটার নিয়ম জানতে চান তাহলে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন। দুবাই লটারি টিকিট কাটার জন্য সর্বপ্রথম যেকোন একটি বাজার ওপেন করে নিতে হবে। তবে গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করলে সব থেকে উত্তম। এরপর বাউজার থেকে সাজবারে Dubai big ticket লিখে সার্চ করুন।
এই কথাটি লিখে সার্চ করলে আপনার সামনে অনেকগুলো ওয়েবসাইট চলে আসবে। এবার ওখান থেকে আপনি টিকিটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। সাধারণত উপরের ওই কথাটি লিখে সার্চ করলেই সবার প্রথমে ওই ওয়েবসাইটটি চলে আসবে। তবে কোনো কারণে বা সবার ক্ষেত্রে প্রথমে সাইটটি নাও আসতে পারে সে ক্ষেত্রে এই ওয়েবসাইট কোথায় আছে সেটি খুঁজে বের করে তারপরে ওই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।আরো পড়ুনঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন আবেদন করার নিয়ম
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর উপরে দেখানো ছবির মত থেকে এরকম একটি ইন্টারফেস চলে আসবে। এবার এখান থেকে প্রথমে সাইন আপ করে নিতে হবে। সাইন আপ করার জন্য একটি একটিভ ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিলেই সাইন আপের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর ওখান থেকে টিকিট কেনার জন্য BIG TICKET লিখার উপর ক্লিক করতে হবে।
এরপর আপনার সামনে উপরে দেখানো ছবিটির মত একটি ইন্টারফেস চলে আসবে। এবার সেখান থেকে BIG TICKET লিখার উপরে ক্লিক করলে আপনি অনেকগুলো টিকিট দেখতে পাবে। ওখান থেকে আপনি যে টিকিট ক্রয় করতে চান তার উপরে ক্লিক করে পেমেন্ট করলেই আপনার টিকিট কেনা হয়ে যাবে। এভাবেই মূলত অনলাইনে মাধ্যমে বিনামূল্যে দুবাই লটারি টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।দুবাই লটারি কিনতে কত টাকা খরচ হয়
দুবাই লটারি টিকিট সাধারণত অনেক প্রকার হয়ে থাকে। আপনি যদি দুবাই লটারি টিকিট এর
Abu Dhabi Cash Draw কিনতে চান তাহলে আপনার একটি টিকিটের খরচ পড়বে AED ৫০০
দিরহাম যা বাংলা টাকায় হিসাব করলে দাঁড়াবে ১৪৭০০ টাকার মত। তবে দুবাই লটারি
অনেক সময় এই সকল লটারিতে অনেক অফার দিয়ে থাকে।
যেমন দুইটি লটারি কিনলে একটি লটারি ফ্রি। অর্থাৎ আপনি যদি ১০০০ দিরহাম দিয়ে
দুইটি লটারি ক্রয় করে থাকেন তাহলে ৫০০ দিরহাম সমূলে একটি টিকিট সম্পূর্ণ ফ্রি
পাবেন। আবার আপনি যদি Dubai Duty Free Millennium Millionare টিকিট কিনতে চান
তাহলে আপনার খরচ পড়বে AED ১০০০ যা বালা টাকায় ২৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং এর সাথে
আলাদাভাবে 5% ভ্যাট দিতে হবে আপনাকে।
অর্থাৎ১০০০ দিরহাম দিয়ে লটারি কেনার পরও আলাদাভাবে ৫% ভ্যাট ১৪০০ টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ এই টিকিটের মূল্য ভ্যাট সহ ৩১২০ টাকা মতন। তবে অন্যান্য টিকিটের মত এই টিকিটের কোন অফার দেওয়া হয় না এবং একজন মানুষ এই টিকিট সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টিকিট ক্রয় করতে পারে। এ সকল লটারি টিকিট ছাড়া দুবাই কিক টিকিট লটারি আরো অনেক ছোট ছোট লটারি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ থেকে কি দুবাই লটারি কেনা যায়
আপনি চাইলে বাংলাদেশ থেকে দুবাই লটারি কিনতে পারবেন। তবে বাংলাদেশ থেকে এই সকল লটারি ক্রয় করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু সত্য মেনে চলতে হয়। এখন আমরা প্রথমে জানবো কিভাবে বাংলাদেশ থেকে দুবাই লটারি কিনা যায় সে সেই সম্পর্কে। অথবা আপনাকে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এরপর আপনার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য এবং পাসপোর্ট দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার পর আপনি যদি পাসপোর্ট না থাকে সে ক্ষেত্রে লটারি ক্রয়
করতে পারবেন ঠিকই কিন্তু আপনি যখন পুরস্কার নিতে যাবেন তখন পাসপোর্ট না থাকার
কারণে আপনি পুরস্কারটা বাতিল করে দিতে পারে। তাই এই সকল আন্তর্জাতিক লটারি ক্রয়
করার পূর্বে আগে অবশ্যই আপনাকে পাসপোর্ট করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন করার পর এখন আপনার কাজ হচ্ছে নির্দিষ্ট লটারি ক্রয় করার। দুবাই
লটারি টিকিট অনেক রকম পাওয়া যায় এখন আপনাকে আপনার পছন্দমত যেকোনো একটি লটারি
বেছে নিতে হবে। লটারি বেছে নেওয়ার পর এর মূল্য পরিশোধ করতে হবে সাধারণত টিকিট
একটি লটারি মূল্য হয়ে থাকে প্রায় ৫০০ দিরহামজা বাংলা টাকা ১৪৭০০ টাকার মত।
মূল্য পরিশোধ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি ডুয়েল কারেন্সি ভিসা বা মাস্টার
কার্ড ব্যবহার করতে হবে। মূল্য পরিশোধ করা হয়ে গেলে আপনার টিকিট আপনি রেজিস্টেশন
এর সময় যে ইমেজ দিয়েছিলেন সেই ইমেজ ২৪ ঘন্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাঠিয়ে দিতে
হবে। মূলত উপরের এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশ থেকে দুবাই লটারি ক্রয়
করতে পারবেন।
দুবাইয়ের লটারি বৈধ নাকি অবৈধ
দুবাইতে নির্দিষ্ট কিছু সত্যের আওতায় লটারি খেলা বৈধ। যেমনঃ dubai big ticke ও Dubai Duty Free Millennium Millionare হল সরকারি অনুমোদিত লটারি জাস্ট স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এসব লটারি আয়োজন হয় নির্ধারিত নিয়ম ও লাইসেন্সের ভিত্তিতে। তাই এই লটারি গুলো দুবাইতে বৈধ করা হয়েছে।
এ ধরনের লটারি প্রমোশনাল রাফেল ড্র হিসেবে পরিচালিত হয়। তাই এগুলো সাধারণত
জুয়ার অন্তর্ভুক্ত নয়। অংশগ্রহণকারী অনির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ দিয়ে টিকিট কিনলে
অংশ নিন এসব কার্যক্রম ইউ এ ই সরকারের তত্ত্বাবধানে আইনগতভাবে পরিচালিত হয়। ঠিক
এই কারণে মূলত উপরের এই নির্দিষ্ট কিছু লটারি বৈধ অর্জন করেছে।
আরো পড়ুনঃ কম্বোডিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি জানুন
তবে দুবাই বাস সমগ্র সংযুক্ত আরব আমিরাতে ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে জুয়া সম্পন্ন
অবৈধ। ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী যে কোন প্রকার চান্স ভিত্তিক জোয়ান নিষিদ্ধ করা
হয়েছে। ফলে ক্যাসিনো বেআইনি লটারি বা সেটিং ধরনের কার্যক্রম জড়ানো অপরাধ হিসেবে
গণ্য হয়। এসব বেআইনি জোয়ার জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি এমনকি জেল ও জরিমানা হতে
পারে।
তাই শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত লটারি প্লাটফর্মে অংশ নেওয়া নিরাপদ অবৈধ। অনুমোদিত
লটারি ছাড়া অন্য কোন প্রকার মাধ্যমে খেলা থেকে বিরত থাকা উচিত। তাই এই কথা বলতে
গেলে দুবাই শহরে কিছু সংখ্যক লটারি বৈধ হলে বেশিরভাগ কার্যক্রম অবৈধ। তাই এই
ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
দুবাই লটারি কিলার সত্য এবং নীতিমালা
দুবাই লটারি ক্রয় করার জন্য অনেক শর্ত ও নীতিমাল রয়েছে যেগুলো পালন না করলে
আপনি দুবাই শহর থেকে কোনরকম লটারি ক্রয় করতে পারবেন না। আপনি যদি এই সকল সত্য ও
নীতিমালা সঙ্গে একমত হতে পারেন তাহলে আপনি দুবাই লটারি অনলাইনে কিংবা সরাসরি
ক্রয় করতে পারবেন । আবার এই সকল লটারি ঘরে বসে অনলাইনে ক্রয় করব তাই আমাদের
প্রত্যেককেই এই সকল সত্য নীতিমালা সম্পর্কে জানতে হবে।
তা না হলে পরবর্তীতে টিকিট ক্রয় করার পর ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারে এতক্ষণ
জানলেন বিনামূল্যে দুবাই লটারি টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে, এখন জানবেন
দুবাই লটারি কেনার সত্য এবং নীতিমালা সম্পর্কে।
- লটারি ক্রয় করতে হলে 18 বছর এর বেশি হতে হবে।
- পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে বয়স যাচাই করতে হবে।
- টিকিটের মূল্য এফডি ৫০০ হলে দুটি কিনে তৃতীয়টি বিনামূল্যে প্রমোশন অফার প্রযোজ্য হবে।
- অনলাইনে পেমেন্ট আন্তর্জাতিক ভিসা বা মাস্টার কার্ড ব্যবহার করতে হবে।
- বিজয় শুধু মাত্র নামযুক্ত বা Registred ব্যক্তি হতে পারেন অন্যের হয়ে দাবি করা যাবে না.
- প্রাইজ স্ক্যান করার জন্য অধিকারী ডকুমেন্ট দিতে হবে।
- গ্র্যান্ড প্রাইজ স্ক্যান করতে হলে আবুধাবিতে অফিসে গিয়ে ব্যবহার করতে হবে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাংক ট্রান্সফার করতে হবে।
- যে কেউ সময় মত দাবি না করলে বা ডকুমেন্ট না দিলে ৬ মাসের মধ্যে পুরস্কার বাতিল হয়ে যেতে পারে।
- অপারেটর যেকোন মানবাধ দিক বা প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য নয়।
- ফলাফল সোশ্যাল মিডিয়া ঘোষণা ভুল হলে ওয়েবসাইটে ফলাফল কার্যকরও হতে পারে। ইত্যাদি।
দুবাই লটারি কি কি পুরস্কার পাওয়া যায়
দুবাই লটারি অনেক পুরস্কার আকর্ষণীয় পুরস্কার পাওয়া যায়। তবে মূলত আকর্ষণ ও বিশাল পরিমাণে গ্যাস পুরস্কার দুবাই লটারি ব্যান্ড প্রাইজ হিসেবে দেওয়া হয়। 15 মিলিয়ন দিরহাম থেকে শুরু করে 35 মিলিয়ন দিরহাম পর্যন্ত নগদ অর্থ। এশারাও দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ১ মিলিয়ত দিরহাম এবং এক লক্ষ দিরহাম নগদ অর্থ।
আবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পরবর্তীতে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় পাঁচ হাজার দিরহাম নগদ অর্থ তাছাড়াও মাঝে মাঝে বিশেষ অফার বা নেগার ড্র তে আরো বড় পুরস্কার জেতার সুযোগ থাকে। অনেক সময় টিকিট কিনে যারা early brid হন তারাও Weekly E draw এই অংশগ্রহণ নিয়ে ১ লক্ষ দিরহাম বা তার বেশি জিততে পারে।এ সকল পুরস্কার টেস্ট ফি এবং বিজয়ীকে তাদের দেওয়া হয় ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো হয়ে থাকে। এছাড়াও লটারি টিকিট আরেকটি জনপ্রিয় ক্যাটাগরি হল ডিম কার জাফেল। এখানে অংশগ্রহণকারীরা পিলাস বহুল গাড়ি দিয়ে ইত্যাদি জেতার সুযোগ থাকে। এই লটারি পাওয়ার জন্য আলাদা টিকিট কিনতে হয় যারা দাম সাধারণত ১৫০ টির হাত থেকে ৫০০ দিরহাম পর্যন্ত হয়ে থা্কে।
এই লটারি এখানে বিজয়ীদের সরাসরি গাড়ি দিয়ে থাকে তবে অনেকেই এই গাড়িগুলো নিজেরা ব্যবহার করেন তা বিক্রি করে দেয়। পুরস্কার গুলোর সবগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো এ সকল পুরস্কার সাধারণত দেওয়া হয়ে থাকে লটারি বিজয়ীদের।
ইসলামের দৃষ্টিতে লটারি খেলা জায়েজ নাকি হারাম
ইসলামে লটারি খেলা হারাম হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ এটি মূলত জুয়া বা ভাগ্য
নির্ভর খেলার অন্তর্ভুক্ত যা পবিত্র কুরআনের স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আল্লাহ তা'আলা বলেছেন হে ঈমানদারগণ মত জুয়া মূর্তি পূজা এবং ভাগ্য নির্ধারণকারি
আর সব শয়তানি কাজ এগুলো থেকে বিরত থাকো (সূরা আল -মায়িদা,৫ঃ৯০)।
লটারি খেলে কেউ কেউ উপকার পেলেও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এটি সামাজিক
অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করে এতে কোন পরিশ্রম ছাড়াই অনেক সম্পদ নিজের করে নেওয়া
যায়। যা ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লটারি আরেকটি হারাম উপার্জন
হিসেবে ধরা হয় এবং এর মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ দিয়ে ইবাদত বাতান সদকা করলে তা
গ্রহণযোগ্য হবে না।
দুলা মাই কেরামগণ অধিকাংশ মতামত লটারি হারাম বলে উল্লেখ্য করে থাকে। এর কারণ
অলিয়তা প্রতারণা এবং অপতাসিত মুনাফা লাভের প্রবণতা। ইসলামী দৃষ্টিতে হালাল
উপার্জনের জন্য পরিশ্রম ও সততার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেউ লটারিতে জিতল সেটি
অবৈধভাবে উপার্জিত নয় তাই তা ভোগ করাও জায়েজ হবে না।
শুধু ইসলাম দৃষ্টিতে নয় বরং অনেক ধর্ম ও সমাজ ব্যবস্থা লটারি বা জুয়া বিরুদ্ধে
কঠোর অবল অবস্থা গ্রহণ করে থাকে। আমাদের উচিত হালাল পথে রিযিক খোদা এবং হারানো
উপায় থেকে দূরে থাকা। আল্লাহ তাআলা বলেন তোমরা পরস্পর ধন সম্পদ অন্যায় ভাবে ভোগ
করো না। (সূরা বাকারা ২ঃ১৮৮) আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি ইসলামের দৃষ্টিতে
লটারি খেলা জায়েজ নাকি হারাম সেটি জানতে পেরেছেন।
দুবাইতে কি কি লটারি পাওয়া যায়
দুবাইতে কি কি লটারি পাওয়া যায় এই নিয়ে অনেকেই জানার চেষ্টা করেন তবে অবশ্যই
জানা উচিত দুবাইতে কি কি ধরনের লটারি পাওয়া যায়। এগুলো কিভাবে ক্রয় করা যায়
এর মধ্যে সবচাইতে টিকিট গুলোর মাধ্যমে হচ্ছে দুবাই ডিউটি ফ্রী লটারি এবং বিগ
টিকিট লটারি। তাহলে চলুন দেরি না করে দুবাইতে কি কি লটারি পাওয়া যায় সেগুলো
সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ বিদেশ থেকে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় জেনে নিন
- দুবাই ডিউটি ফ্রী লটারি (Dubai Duti Eree lottery)
- টিকিট লটারি (big ticket lottery)
- এমিরেটস লটারি (Emirates lottery)
- মহজোজ লটারি (Mahzooz lottery)
- আরবিয়ান রেফেলস (Arabin Raffles)
- প্যারিটি লটারি এবং অন্যান্য প্রোগ্রাম (Charity lottery and another Progrmas) ইত্যাদি।
বাংলাদেশ থেকে দুবাই লটারি কেনার সহজ উপায়
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে দুবাই লটারি কিনতে চান তাহলে আপনাকে অফলাইনের মাধ্যমে লটারি কিনতে হবে। বাংলাদেশ থেকে দুবাই লটারি কেনার সহজ পদ্ধতি হচ্ছে অনলাইন। সেখান থেকে আপনি বিনামূল্যে টিকিট কাটতে পারবেন। অপরে যদি একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকে তাহলে আপনার ঘরে বসে থেকে নিজে অনলাইনের মাধ্যমে দুবাই লটারি কিনতে পারবে।
দুবাই লটারি কেদার জন্য আপনাকে টিকিট ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে হবে এবং ওই ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। একাউন্টটি তৈরি করা উপরে দেখানো হয়েছে আপনি যদি দেখতে চান তাহলে উপরে গিয়ে দেখতে পারেন। সেখানে একটি email একাউন্ট ও পাসওয়ার্ড যেটা দিয়ে আপনি খুব সহজে আপনার একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।
একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে এতে আপনার কিছু ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে তথ্য
প্রদান করার পর আপনার প্রোফাইল কে সম্পূর্ণ করবে। সেই সমস্ত প্রয়োজনে তথ্যগুলো
দিতে হবে তা নিচে দেওয়া হলোঃ
- আপনার নাম
- আপনার ঠিকানা
- পাসপোর্ট নাম্বার
- জন্ম তারিখ
- যোগাযোগের ঠিকানা
- মোবাইল নাম্বার
- ইমেইল






নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url