মিশর যেতে কত টাকা লাগে-মিশর ভিসা ফি

মিশর প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য মানুষ ভ্রমণ এবং কাঁধের উদ্দেশ্যে যায়। কিন্তু মিশর যেতে কত টাকা লাগে, মিশর ভিসা ফি কেমন এবং কোন কাজগুলো চাহিদা বেশি রয়েছে সে সম্পর্কে ধারণা রাখেনা। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করি জানতে পারবেন।

মিশর-যেতে-কত-টাকা-লাগে-মিশর-ভিসা-ফি
মিশর সৌন্দর্যতম দেশ বলে অনেক পর্যটক এবং কাজের জন্য অনেক কর্মী ওই দেশটিতে যেতে চায়। কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার একটি বৈধ ভিসা থাকতে হবে। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে নিচে সব বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন, মিশরের ভিসা পাওয়ার উপায়, মিশর যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে। 

পোস্ট সূচীপত্রঃ মিশর যেতে কত টাকা লাগে-মিশর ভিসা ফি

মিশর যেতে কত টাকা লাগে

মিশর যেতে কত টাকা লাগে, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে, মিশর যেতে কত টাকা লাগে এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে যাবতীয় তথ্যগুলো আশা করি জানতে পারবেন। মিশর দিতে আপনার কত টাকা লাগে কত খরচ হতে পারে, সেটা নির্ভর করবে সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ের উপর, আপনার যাত্রা ধরন, বিমান ভাড়া, ভিসা ফি আবাসন খরচ এবং দৈনন্দিন খরচ ইত্যাদির উপরে। তবে মিশরে যেতে কত টাকা লাগে তার নিচে সংক্ষিপ্তভাবে দেওয়া হলোঃ

  1. আপনার বিমান ভাড়া ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত
  2. আপনার ভিসা খরচ ২৭৫০ থেকে ৬৬০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে 
  3. আপনার খরচ ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
  4. দৈনন্দিন মাসিক ব্যয় ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

সর্বমোট আপনার অনুমানিক খরচ হতে পারে প্রায় ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৫০ থেকে ২ লক্ষ ৬ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। তবে খরচের পরিমাণ কিছুটা কম বেশি হতে পারে। মিশর যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে তারপরে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

মিশর কাজের ভিসার ধরন

মিশর কাজের ভিসার ধরন, মিশর যাওয়ার জন্য আপনাকে কাজের ভিসা বা ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে মিশর যাওয়ার জন্য ভিসা ফ্রি সাধারণত ২,৭৫০ থেকে ৬,৬০০ টাকা খরচ করতে হতে পারে। এই ভিসার ধরন এবং নাগরিকত্ব অনুযায়ী হবে।

আরো পড়ুনঃদক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫

মিশর কাজের বেতন

মিশর কাজের বেতন কমবেশি হতে পারে। সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা যোগ্যতা অভিজ্ঞতা এবং কোম্পানি আকারের উপরে। তবে বেতন কম হতে পারে আপনাদের সাধারণত তথ্য দেওয়ার জন্য নিজে উল্লেখ্য করে দেওয়া হলো বেতনের ক্ষেত্রে কিছুটা কম বেশি হতে পারে।

  • মিশরে সরকার কৃতপক্ষে নির্ধারিত নূন্যতম মাসিক বেতন হচ্ছে ২,৭০০ পাউন্ড।
  • মিশরের কর্মীদের ঘর মাসিক বেতন হচ্ছে প্রায় ৬,০০০ থেকে ৯,০০০ মিশরীয় পাউন্ড।

মিশরে কোন কাজের বেতন বেশি

মিশরে কোন কাজের বেতন বেশি, সে সম্পর্কে আপনারা যারা মিশর দেশটিতে যেতে চাচ্ছেন জেনে রাখা খুবই জরুরী। কেননা কোন কাজগুলোর বেতন বেশি সে সম্পর্কে যদি সঠিক তথ্য জেনে যেতে না পারেন, তাহলে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করে যেতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজগুলোর সবচেয়ে বেশি বেতন হয়ে থাকেঃ

  • তেল ও গ্যাস
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • টেলিকমিউনিকেশন ইত্যাদি

আপনি যদি উপরে উল্লেখিত কাজের উপর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিয়ে মিশরে যেতে পারেন, তাহলে ভালো পরিমাণ বেতন আপনি আশা করতে পারবেন।

মিশর কাজের ভিসার জন্য যেসব যোগ্যতা লাগে

মিশর কাজের ভিসার জন্য যেসব যোগ্যতা লাগে, তা আমরা অনেকেই জানিনা। যদি মিশরে যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে না জানি তাহলে মিশরে গিয়ে কোন ফায়দা হবে না। তাহলে চলুন নিচের জেনে নেওয়া যাক মিশর কাজের ভিসার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা দরকার।

  • মিশরের কোন প্রতিষ্ঠান থেকে অবশ্যই কাজের প্রস্তাব থাকতে হবে।
  • মিশর যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই শারীরিক এবং মানসিক সুস্থ থাকতে হবে।
  • কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতা থাকতে হবে।
  • মিশরের কোন ধরনের আইন লঙ্ঘন করা না থাকলে যেতে পারেন

মিশর যাওয়ার জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে

মিশর যাওয়ার জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে, মিশর যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট কাগজপত্র লাগবে। যেগুলো ছাড়া আপনি মিশর দেশটিতে যাওয়ার জন্য ভিসা তৈরি করতে পারবেন না। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক মিশরদের দেখি কি কি কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট লাগে সে সম্পর্কে।

  • আপনার বৈধ পাসপোর্ট, কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদী
  • আপনার কাজের চুক্তিপত্র
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • পুলিশ কিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • আপনার ভিসা ফি
  • সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড হতে হবে
  • চাকরিজীবীদের জন্য অফিস থেকে এনওসি লেটার লাগবে।
  • আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স লাগতে পারে এবং সেটা ইংরেজিতে অনুবাদ সহ দিতে হবে।

মিশর ভিসা প্রসেসিং করতে কতদিন লাগে

মিশর ভিসা প্রসেসিং করতে কতদিন লাগে,? সারা মিশরে যেতে চাচ্ছেন তারা জেনে নিতে পারেন। কারণ আমি ঈশ্বর যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। ভিসা প্রসেসিং করার জন্য আপনার প্রয়োজন ডকুমেন্টগুলো যদি সঠিকভাবে দিয়ে থাকেন, তবে আপনার ভিসা প্রসেসিং খুব দুটোই হয়ে যেতে পারে।

মিশর ভিসা প্রসেসিংহ হতে আপনার সময় লাগবে প্রায় ১০ থেকে ২০ দিনের মতো। আপনার ভিসা প্রসেসিংটি যদি কমপ্লিট হয়ে যায়, তাহলে শুধুমাত্র বিমানে টিকিট ক্রয় করলে মিশরে যেতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে মিশর কত কিলোমিটার

বাংলাদেশ থেকে মিশর কত কিলোমিটার, এ সম্পর্কে জানার জন্য যারা মিশরে যেতে চায় তাদের অনেকেরই আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে আপনারা খুব সহজে চিনে নিতে পারবেন ঢাকা থেকে মিশর যেতে কত কিলোমিটার।

আরো পড়ুনঃওমান থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন 

বাংলাদেশ থেকে মিশরের দূরত্ব হচ্ছে প্রায় ৫,৯৪১ কিলোমিটার। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে মিশরীতে চান সেক্ষেত্রে ৫,৯৪১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আপনাকে মিশরে যেতে হবে।

মিশর টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং ফি

মিশর টুরিস্ট ভিসা ফি কত, সে সম্পর্কে জানা ধারনা রাখে না অনেকেই। তাই আপনাদের জানার সুবিধাতে টুরিস্ট ভিসা ফি কেমন হতে পারে সেগুলো দেওয়া হলো। 

ক্রমিক নং ভিসা ফি ভিসার মেয়াদ কতদিন থাকা যাবে
০১ প্রায় ৩,৭০০ টাকা ৬ মাস ৩০ দিন
০২ প্রায় ৪,৬০০ টাকা ৬ মাস ৩০ দিন

মিশরের মুদ্রার নাম কি

মিশরের মুদ্রার নাম কি সেটা আমরা অনেকেই জানিনা। মিশরের মুদ্রার নাম কি সেটা জানা রাখা প্রয়োজন কেননা দৃষ্টিতে যাবেন অথচ মুদ্রা নাম জানবেন না তা কি হয়, সেটা আপনার জন্য দুঃখজনক হতে পারে। মিশরের মুদ্রার নাম হচ্ছে পাউন্ড। আশা করি মিশরের মুদ্রার নাম সম্পর্কে জানতে পেয়েছেন।

মিশরের এক পাউন্ড সমান বাংলাদেশের কত টাকা

মিশরে এক পাউন্ড সমান বাংলাদেশের কত টাকা সে সম্পর্কে অনেকেরই জানতে চান। যারা মিশরের দৃষ্টিতে অবস্থান করছেন এবং যারা যেতে চাচ্ছেন উভয়ের জন্যই বিষয়টি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা দেশটিতে যাবেন অথচ দেশের পাউন্ড সম্পর্কে জানতে না পারলে অনেকেরই হতাশ হতে হবে। আসলে মিশরের এক পাউন্ড সমান বাংলাদেশের টাকা হচ্ছে ২.৪২ টাকা। তবে সময়ের সাথে সাথে মিশরের টাকার রেট পরিবর্তন হতে পারে

মিশরের নতুন রাজধানীর নাম কি

মিসরের নতুন রাজধানীর নাম কি সেটা আমরা অনেকেই জানিনা। মিশরের রাজধানী কায়রো হলেও দেশটি নতুন রাজধানী নির্মাণ করা হচ্ছে। আর সেই রাজধানীর নাম সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন কিন্তু খুঁজেও কোন তথ্য পান না। মিশরের নতুন রাজধানীর নাম কি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন।

মিশরের নতুন রাজধানীর নাম হচ্ছে সুজাক। রাজধানীর এই নামটি সাধারণত মিশরের সাবেক রাষ্ট্রপতি নির্দেশনা অনুযায়ী নির্মিত হচ্ছে। মিশরের অন্যতম নতুন আধুনিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতীক্ষা করা হয়েছে।

ঢাকা টু মিশর বিমান ভাড়া

ঢাকা টু মিশর বিমান ভাড়া, ঢাকা থেকে মিশরের রাজধানী কায়রোতে যেতে খরচ হবে, সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ভ্রমণের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স উপর। তাহলে চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক ঢাকা থেকে মিশর যেতে বিমান ভাড়া করে কত হতে পারে সে সম্পর্কে নিজেও উল্লেখ করা হলোঃ

  • ঢাকা থেকে মিশর যেতে বিমান ভাড়ার খরচ প্রায় ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে বুকিং এবং সিজনের উপরে নির্ভর করে কম বেশি টাকা হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে মিশর যেতে কত সময় লাগে

বাংলাদেশ থেকে মিশর যেতে কত সময় লাগে, আপনারা জানেন যে বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র বিমানের মাধ্যমে মিশরে যাওয়া যায়। এবং বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স কোম্পানি বিমান ঢাকা টু মিশরে চলাচল করে থাকে। যে সকল বিমান শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে দুবাই অথবা কাতার স্টপিস দিয়ে থাকে সেই সকল বিমানের সময় মাত্র ১২ ঘন্টা থেকে ১৪ ঘন্টা।

 আরো পড়ুনঃ আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সহজ উপায় 

কিন্তু যে সকল এয়ারলাইন্স কোম্পানি বিমান দুবাই এবং সৌদি আরব স্টপেজ দিয়ে থাকে সেই সকল বিমানের সময় লাগে ১৮ থেকে ১২ ঘন্টা। আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন বাংলাদেশ থেকে মিশরে যেতে কত সময় লাগে।

লেখকের মন্তব্যঃ মিশর যেতে কত টাকা লাগে-মিশর ভিসা ফি

প্রিয় পাঠক, আশা করি উপরের এই পোস্টটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন কিভাবে মিশর যেতে হয় মিশরে যেতে কত টাকা লাগে মিশর ভিসা ফি ইত্যাদি সম্পর্কে। এতক্ষণ ধরে এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তী পোস্টটি করার জন্য আপনাকে স্বাগতম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url