ফেসবুকে কিভাবে মার্কেটিং করলে বেশি কাস্টমার পাওয়া যায়

ফেসবুকে কিভাবে মার্কেটিং করলে বেশি কাস্টমার পাওয়া যায়, ফেসবুকে বর্তমানে শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয় বরং ব্যবসার জন্য সবচেয়ে বড় একটি প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক মার্কেটিং করলে খুব সহজে কাস্টমার পাওয়া যায়।

ফেসবুকে-কিভাবে-মার্কেটিং-করলে-বেশি-কাস্টমার-পাওয়া-যায়
সোশ্যাল মিডিয়া সবচেয়ে বড় একটি প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের জানানো হবে ফেসবুকে কিভাবে মার্কেটিং করলে বেশি কাস্টমার পাওয়া যায়, এই সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ফেসবুকে কিভাবে মার্কেটিং করলে বেশি কাস্টমার পাওয়া যায়

ফেসবুকে কিভাবে মার্কেটিং করলে বেশি কাস্টমার পাওয়া যায়

ফেসবুকে কিভাবে মার্কেটিং করলে বেশি কাস্টমার পাওয়া যায়, এখন বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবচেয়ে বড় একটি প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক শুধুমাত্র একটি যোগাযোগ মাধ্যম নয় এটি একটি বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অনলাইনে ব্যবসার জন্য সবচেয়ে বড় মার্কেটিং হলো ফেসবুক মার্কেটিং। কিভাবে এবং কোন কৌশলে ফেসবুক মার্কেটিং করলে খুব সহজেই বেশি বেশি কাস্টমার পাওয়া যায়। চলুন সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন বাংলাদেশী অ্যাপ দিয়ে 1000 টাকা আয় করুন 

ফেসবুক পেজঃ ফেসবুকে মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে। আপনি যে ব্যবসা নিয়ে কাজ করতে চান সেই ব্যবসার নামে একটি প্রোফাইল পেজ খুলুন। প্রোফাইল পেজ খোলার পর ফেসবুক পেজ এবাউট সেকশনে গিয়ে আপনার ব্যবসার সমস্ত তথ্য এবং ফোন নম্বর গুলো ওয়েবসাইটে অর্ডার লিংক যুক্ত করে দিন। কেননা প্রফেশনাল ফেসবুক হলে কাস্টমার পাওয়া যায়।

টার্গেট কাস্টমার নির্ধারণঃ আপনার ফেসবুকে পেজ প্রোডাক্ট করার জন্য বা আপনি কোন কাস্টমারের জন্য নির্ধারণ করতে চান সেগুলো নির্ধারণ করতে হবে। যেমনঃ তরুণী গৃহিণী চাকুরীজীবী শিক্ষার্থী ব্যবসায়ী ইত্যাদি। আবার তারা কোথায় থাকে গ্রামে কিংবা শহরে কোন জায়গায় সেগুলো টার্গেট করতে হবে। কোন জিনিসপত্র আপনার কাস্টমার পছন্দ করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বায়ার পার্সোনাল তৈরি করতে হবে।

আর্টিকেল মার্কেটিংঃ ফেসবুক পেজ কাস্টমার আনার জন্য সবচেয়ে প্রধান কাজ হল মানসম্মত আর্টিকেল। আকর্ষণীয় ভাবে আপনার প্রোডাক্ট এর ফটো ও ভিডিও তৈরি করতে হবে। পুরনো গ্রাহকদের ফিডব্যাক শেয়ার করতে হবে রিভিউ প্রচার করতে হবে শিক্ষামূলক আর্টিকেল তৈরি করতে হবে। এবং ফেসবুক লাইভে এসে প্রোডাক্ট দেখিয়ে সেল করে কাস্টমারের কাছে বিক্রি করতে হবে।

ফেসবুকে বিজ্ঞাপনঃ অর্গানিক রিচ অনেক কমে গেছে এখন। সেজন্য ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দেখানো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জনপ্রিয় ব্লগ পোস্ট তৈরি করতে হবে, বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর ভিডিও বা পোস্ট কাস্টমারদের কাছে শেয়ার এর মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।

কাস্টমার এংগেজমেন্টঃ ফেসবুক কাস্টমারের কাছে কমেন্ট ও মেসেজের উত্তর দিয়ে কাস্টমারদের সাথে এংগেজমেন্ট তৈরি করতে হবে। কাস্টমারদের সুন্দর ও ভদ্রভাবে সকল সার্ভিস দিতে হবে যেন কাস্টমা আরো সার্ভিস নিতে আপনার কাছে আবার আসে।

অফার ও ডিসকাউন্টঃ আপনার প্রোফাইলে ফেসবুক ফলোয়ারদের জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট দিতে হবে। যেমন ধরুন গেট ওয়ান বাফি ডেলিভারি অফার দিতে হবে।

ফেসবুক গ্রুপ মার্কেটিংঃ আপনার ফেসবুক পেইজে নিজের প্রোডাক্ট সম্পর্কিত গ্রুপ তৈরি করতে হবে। সেখানে প্রাসঙ্গিক বড় গ্রুপের নিয়ম মেনে প্রোডাক্ট শেয়ার করতে হবে গ্রুপে নিয়মিত টিপস দরকারি পোস্ট দেখলে আস্থা তৈরি করতে হবে।

ডাটা এনালাইসিসিংঃ ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবহার করতে হবে। কোন পোস্টের বেশি রিচ পাচ্ছে আবার কোন সময় কোন পোস্ট কাস্টমারদের কাছে বেশি রিয়াক্ট করছে এবং কোন বয়সের মানুষদের কাছে পোস্টগুলো বেশি রেসপন্স করছে এই তথ্যগুলো মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করে মার্কেটিং করতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদে ব্যান্ড তৈরিঃ ফেসবুকে শুধু বিক্রি না ভেবে ফেসবুকে একটি ব্যান্ড তৈরি করতে হবে। আপনার ফেসবুক পেজের লোগো বা ব্যানার ডিজাইন সব সময় এক রাখতে হবে। কাস্টমারদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। ভালো সার্ভিসিং দিয়ে কাস্টমারদের রিপিট কেনাকাটার উৎসাহিত তৈরি করতে হবে।

শেষ কথায় বলা যায় যে ফেসবুক মার্কেটিং করে কাস্টমার পাওয়ার একমাত্র মূল লক্ষ্য হলো সঠিক টার্গেট ক্লিন করা মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করা বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা গ্রাহক সেবা ও প্রচার সঠিকভাবে করা।

ফেসবুক মার্কেটিং কি

ফেসবুক মার্কেটিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা আপনাদের আপনার পূর্ণ বাসে বা সম্পর্কে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে। ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবসার জন্য বর্তমান ও সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে এবং ফেসবুক পেজ ভিজিটরদের আগ্রহ ধরে রাখতে তাদের সাথে একটি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পূর্ণ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করাই হলো ফেসবুক মার্কেটিং এর প্রধান কাজ।

পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষের সেই পূর্ণ বা সাইট সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পারে। প্রতিদিন প্রায় বিলিয়ন মানুষ একবার হলেও ফেসবুকে ঢুকেন। আর প্রতিমাসে এই সংখ্যাটি অনেক বেশি ভিউ পেয়ে থাকে। অনলাইনে ফেসবুক মার্কেটিং দুইভাবে করা যায়, এক অর্গানি মার্কেটিং, এবং পেইড মার্কেটিং। ফেসবুক মার্কেটিং হলো অনলাইনে ব্যবসা বাড়ানোর অন্যতম একটি শক্তিশালী মাধ্যম।

ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার

ফেসবুক মার্কেটিং সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে। 

১. অর্গানিক মার্কেটিং এবং ২.পেইড মার্কেটিং

অর্গানিক মার্কেটিংঃ অনেক মার্কেটিং অর্গানিক মার্কেটিং ফ্রি মার্কেটিং পদ্ধতি আপনার ফেসবুক পেজ গ্রুপ পাব প্রোফাইল ব্যবহার করে প্রতি নিয়মিত ছবি ভিডিও আপলোড করে থাকে। সে আপলোডকৃত ছবি ভিডিও পৌঁছানোর যায় এর মাধ্যমে এখানে দিয়ে দিলে ফলোয়ার বা কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পেইড মার্কেটিংঃ পেইড মার্কেটিং হল বিজ্ঞাপনের উপরে নির্ভরশীল। ফেসবুকের এড ম্যানেজার এ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট বয়সের এবং নির্দিষ্ট এলাকা গ্রাহকদের লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপন চালানো হয় সেহেতু এটি একটি দ্রুত বিক্রি ও প্রচারের সম্পন্ন বেশি থাকে।

ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং

সোজা কথা বলা যায় যে ফেসবুক মার্কেটিং এর কোন পর্যায়ে ইনকাম ব্যয় করতে হয় তা ফ্রি মার্কেটিং। অনলাইনে তথ্য ফেসবুক মার্কেটিংয়ে কোন অর্থ ব্যয় ছাড়া মার্কেটিং করা যায় তারই ধারাবাহিকতায় ফেসবুক মার্কেটিং এ ফ্রি হয়ে থাকে। সেখানে ব্যবসা বা প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট কিছু পণ্য অবলম্বনের মাধ্যমে ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করা হয়ে থাকে। তাই বলা হয় বিনা অর্থ ব্যয় করে ফেসবুক মার্কেটিং যে মার্কেটিং করা হয় তাই হল ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং।

ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে প্রথমে আমাদের একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী পেজের নাম নির্ধারণ করতে হবে, কাবার ফটো পিকচার প্রোফাইল দিয়ে সাজাতে হবে তারপর যে পূর্ণ বিক্রি করতে চান তার পরিপূর্ণ তথ্য দিয়ে পোস্ট পাবলিস্ট করতে হবে। এত পর আমাদের পরিচিত সবাই সেই ফেসবুক পেজ ফলো করে আমন্ত্রণ জানাতে পারে। ফেসবুক পেজ এর পোস্টগুলো বিভিন্ন সামাজিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শেয়ার করে দিতে হব।।

ফেসবুক মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ

বাংলাদেশে সহ বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন facebook ব্যবহার করে থাকে। ফেসবুকের মাধ্যমে খুব সহজেই আমরা নির্ধারিত টার্গেট অরিয়েন্স পেয়ে থাকি। ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে একটি বড় মাধ্যম facebook এর সাথে কোটি কোটি মানুষ জড়িত হয়ে আছে। ফেসবুকের মাধ্যমে তুলনামূলকভাবে কম খরচের বিজ্ঞাপন পাবলিস্ট করা যায়। এই বিজ্ঞাপন দেখে পূর্ণ সেবা সহজে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করা যায় ফেসবুক বিজ্ঞাপন নির্দিষ্ট বয়স এলাকা গ্রাহক পেশা ইত্যাদি বেছে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট চালানো যায়।

ফেসবুকের মাধ্যমে খুব কম খরচ এই ফেসবুকের বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালানো যায়। ফেসবুকের মাধ্যমে ছোট ব্যবসার মালিকের খুব সহজেই ফেসবুক মার্কেটিং করতে পারে। ফেসবুকের মাধ্যমে সরাসরি কাস্টমারদের সাথে কথার বলার মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিসপত্র অর্ডার বা সেল করা যায়। ফেসবুকের কারণে ব্যান্ডের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে ফেসবুক মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি খুব সহজেই কম খরচে নির্দিষ্ট অরিয়েন্সের কাছে পৌঁছায়।

ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে কি কি করা যায়

এতক্ষণ আমরা জানলাম ফেসবুক মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমরা জানবো ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে কি কি করা যায়। সেগুলো বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলঃ

ফেসবুক-মার্কেটিং-এর-মাধ্যমে-কি-কি-করা-যায়
ফেসবুক মার্কেটিং এর কারণে নতুন অডিয়েন্স খুঁজে পাওয়া যায়।

ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যান্ডের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।

ফেসবুক মার্কেটিং এর ফলে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি পাওয়া যায়।

ফেসবুক মার্কেটিং এর ফলে ওয়েবসাইটের পুরনো ট্রাফিক আবার ফেরত আনা যায়।

ফেসবুক মার্কেটিং এর ফলে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস খুব সহজেই সেল করা যায়।

ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে কাস্টমারদের সাথে সরাসরি কল বা এসএমএস এ কথা বলা যায়।

ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে কাস্টমারদের সাথে মতামত করে রিভিউ খুব সহজেই করা যায়।

ফেসবুক মার্কেটিং বিজ্ঞাপন দেখিয়ে নির্দিষ্ট টার্গেট কোন জায়গা আমাদের কাছে পৌঁছানো যায়।

ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে রিপিট কাস্টমার তৈরি করতে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক তৈরি করা যায়

ফেসবুক মার্কেটিং এর সুবিধা

ফেসবুক মার্কেটিং এর অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে সেগুলোর নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলঃ

  • ফেসবুক মার্কেটিং করে অনেক সুবিধা রয়েছে বিশেষ করে ছোট মাঝারি ব্যবসার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
  • ফেসবুক মার্কেটিংয়ে সুবিধা হল ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট টার্গেট তৈরি করে নির্দিষ্ট বয়স এলাকা ও বিভিন্ন পেশা অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখানো যায়।
  • ফেসবুকে অনেক সংখ্যক ব্যবহারকারী মানুষের সক্রিয় ব্যবহারকারীর কাছে খুব সহজে পৌঁছানো যায় ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
  • ফেসবুক মার্কেটিং এর বড় সুবিধা হল এতে অল্প খরচেই প্রচার প্রচারণা বেশি করা যায়।
  • ফেসবুক মার্কেটিং এ নিয়মিত পোস্ট ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে ব্যান্ডের পরিচিত অনেক বাড়ে এটি একটি সুবিধা।
  • ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম দিয়ে খুব সহজেই বোঝা যায় কোন বিজ্ঞাপন কতটা সফল হয়েছে।
  • ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে বড় বাজেটের কাস্টমার উদ্যোক্তা কাশ্যকর ভাবে কাজ করতে পারে।

ফেসবুক মার্কেটিং এর অসুবিধা

এতক্ষণ আমরা জানলাম ফেসবুক মার্কেটিং এর সুবিধা, এখন আমরা জানবো ফেসবুক মার্কেটিং এর অসুবিধা সম্পর্কে। ফেসবুক মার্কেটিং এ যেমনি সুবিধা রয়েছে আবার ফেসবুক মার্কেটিং এ তেমনি অসুবিধা রয়েছে। তাহলে চলুন নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক ফেসবুক মার্কেটিং এর অসুবিধা সম্পর্কে।

১. ফেসবুক মার্কেটিং করার ফলে অর্গানিক রিস কমতে থাকে।

২. ফেসবুক মার্কেটিং এর প্রতিযোগিতা অনেক বেশি থাকে তাই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আলাদা হওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়।

৩. ফেসবুক মার্কেটিং এ বিজ্ঞাপন চালাতে বাজেটের পরিমাণ প্রয়োজন হয়।

৪. ফেসবুক মার্কেটিং এ ভুলভাল বিজ্ঞাপন চালালে অনেক টাকা খরচ হয়।

৫. ফেসবুক মার্কেটিং কঠোর নীতিমালা না মেনে চললে আপনার বিজ্ঞাপন একাউন্ট হ্যাক হয়ে যেতে পারে বা ব্যান্ড হয়ে যেতে পারে।

৬. ফেসবুকে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করতে অনেক সময় প্রয়োজন হয় এবং দক্ষতা অর্জন করতে হয়।

ফেসবুক মার্কেটিং করার নিয়ম

প্রত্যেক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য যথাযথ নিয়ম অনুসন্ধান করতে হয়। তেমনি ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। অন্যরা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল লাভ করা সম্ভব নয়, তেমনিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণে আয় উপার্জিত পেজ ফেসবুক মার্কেটিং এর সুবিধা নিয়ে অনুসন্ধান করতে হবে। 

প্রথমেই আপনার ব্যবসায়িক পেজ তৈরি করতে হবে। আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত সব কিছু সেখানে দিতে হবে। যেমন ধরুন পন্যের তালিকা ছবি কি ধরনের সার্ভিস দেবেন সে সম্পর্কে ক্রয় বিক্রয় কাস্টমার এর চাহিদা অনুযায়ী কেমন অফার দিবেন সেগুলো সম্পর্কে। আপনার পেজটি সুন্দরভাবে তৈরি করতে হবে। আপনার ব্যবসার সাথে সাথে সম্পর্ক রেখে একটা নাম দিতে হবে।

ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানে লোগো ব্যবহার করে, কাভার পিকচার ফটো সেট করতে হবে। তেমনি ভাবে প্রোফাইল পিকচার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। তারপর আপনার পণ্য বা সেবার গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হবে। কোন বয়সে কোন ধরনের গ্রাহকদের কাছে আপনার পূর্ণ বা সেবা বিক্রি করতে চান সেগুলো প্রতিনিয়ত আপনার পেজ ও অন্যের সাথে আপলোড করতে হবে। 

ফেসবুক মার্কেটিং টিপস

ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে ফেসবুক মার্কেটিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস অবলম্বন করতে হবে। ফেসবুক মার্কেটিং ভালোভাবে করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস রয়েছে, যা ফেসবুক মার্কেটিং টিপস নামে পরিচিত। এই ফেসবুক মার্কেটিং টিপসগুলো সঠিকভাবে অনুকরণ করলে আপনার ফেসবুক মার্কেটিং লাভজনক করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে দীর্ঘমেয়াদিষ্ঠীর লক্ষ্য করতে হবে। কোন বিষয় যেন শর্টকাট আকারে না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

আপনার সকল প্রকার কনটেন্ট পোস্ট প্রমোশন যাতে অনেক লম্বা বা বড় হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভালোভাবে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যার রিংস দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে। কনটেন্ট হচ্ছে যে কোন মার্কেটিং এর একটি প্রধান প্রাণ। এমন ভাবে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যাতে পুনরায় কনটেন্ট পাবলিশ করার পরেও কাস্টমারদের কাছেই আগের মতই রেসপন্স পায়।

ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায়

ফেসবুকে মার্কেটিং করে ইনকাম করার অনেক ধরনের উপায় রয়েছে। বর্তমানে অনলাইনে দুনিয়ায় ইনকাম করার অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। আপনি চাইলে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম করার কয়েকটি উপায় আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি।

ফেসবুক-মার্কেটিং-করে-ইনকাম-করার-উপায়
ফেসবুক মার্কেটিং থেকে ইনকাম করার প্রথম ধাপ হল আপনার পেজের প্রচুর পরিমাণে ফলোয়ার থাকতে হবে। বেশি ফলোয়ার মানে আপনার পোস্টটি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।

ফেসবুক পোস্ট এর মার্কেটটি করে ইনকাম করা খুব সহজেই সেলিব্রেটির ফেসবুক পেজ ফলো করে থাকে। ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম করার অন্যতম আরেকটি উপায় হলো অনলাইনে তোর এর প্রমোশন কোন কোম্পানির অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য আপনি তাদের পেজ তৈরি পোস্ট পেজের দিকে হতে পারেন যেমন আরদ অথবা ইয়োনেজ পেজের প্রচারের মাধ্যমে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুক ভিডিও আপলোড করতে টাকা ইনকাম করা যায় আপনার ভিডিও কনটেন্ট থেকে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। সম্পত্তি ফেসবুক ভিডিও কনটেন্ট থেকে ইনকাম করার সার্ভিস চালু করেছে। তবে তার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে হিউমান এবং নির্দিষ্ট সময় ভিডিও দেখা লাগবে। আপনি যদি ফেসবুকে পোস্টিং চালাতে চান তাহলে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। 

মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং

বর্তমানে এখন মোবাইল দিয়েও ফেসবুক মার্কেটিং করা যায়। একটি স্মার্ট ফোনও ইন্টারনেট মাধ্যমে মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বা ব্যান্ডের প্রচার প্রচারণা করানো যায়। মোবাইল ফোন একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে নিয়মিত ছবি ভিডিও পোস্ট তৈরি করতে হবে।

আপনি চাইলে আপনার মোবাইল ফেসবুক লিংক বা বিজনেস সাইট এপ্স ব্যবহার করে ফেসবুক মার্কেটিং করতে পারবেন। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খুব সহজে বিজ্ঞাপন বোষ্টিং বা ফেসবুক অ্যাপ্স সারানো যায়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকা বয়স অডিয়েন্স কাস্টমারদের বিজ্ঞাপন দেখানো যায়।

লেখকের মন্তব্যঃ ফেসবুকে কিভাবে মার্কেটিং করলে বেশি কাস্টমার পাওয়া যায়

ফেসবুকে মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে বিভিন্ন ধরনের অডিয়েন্স পাওয়া যায়। বর্তমানে যুগে ফেসবুক শুধুমাত্র একটি যোগাযোগ মাধ্যমের নয় এটি একটি মার্কেটিং এর অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন চালিয়ে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল করে প্রচার-প্রচারণ করে ইনকাম করা যায়। যেহেতু ফেসবুকে অনেক লোকজন জড়িত হয়ে আছে সেহেতু facebook মার্কেটিং করে খুব সহজেই সফল ব্যবসায়ী হওয়া যায়। 
আশা করি ফেসবুকে কিভাবে মার্কেটিং করলে বেশি কাস্টমার পাওয়া যায়, সম্পর্কে পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করলে বেশি কাস্টমার পাওয়া যাবে। এতক্ষণ ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পরবর্তী পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে স্বাগতম, এতক্ষণে সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url