দাউদ বা দাদ এর সবচেয়ে ভালো মলম - গ্যাকোজিমা মলম এর কাজ
noyon 24
১৪ সেপ, ২০২৫
দাউদ বা দাদ এর সমস্যায় আমরা অনেকেই ভোগে থাকি। দাউদ বা দাদ এমন একটি রোগ যা
চামড়ার উপরে বড় গোলাকার লাল রংয়ের হয়ে থাকে, এটি ভালো করতে গ্যাকোজিমা মলম
একমাত্র ওষুধ।
তবে শরীরের জন্য গ্যাকোজিমা মলমটি চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন দেরি না
করে আজকে আমরা দাউদ বা দাঁত এর সবচেয়ে ভালো মলম এবং দেখো জমা মলম এর কাজ
সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
পেজ সূচিপত্রঃ দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম - গ্যাকোজিমা মলম এর কাজ
দাউদ বা দাদ আমাদের সবারই প্রায় কম বেশি হয়ে থাকে। এটি একটি ছত্রাক জনিত রোগ,
এই রোগটি বছরে একবার হয়ে থাকে। তাই দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম সম্পর্কে আমাদের
জানতে হবে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। দাউদের চিকিৎসার জন্য ক্রটি মাজল
ক্রেটোকোনাজল টেবিনাফিন এবং নিকোনাজল এর মত এন্টিফাঙ্গাল মলম গুলি কার্যকর। এর
মধ্যে আবার ফাঙ্গিসন মলমটি দাউদের জন্য ভালো।
গ্যাকোজিমা একটি ছত্রাক বিরোধী ওষুধ যা দাঁত তিনিয়া ভাসিকা আনার এবং ত্বক বা
যোনী খামির সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই মলমটি শরীরের রিং ওয়াম
খুশকি এবং পায়ের দাদের অ্যাথলেটাস ফুড এর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ক্রিম বা
মলম হিসেবে ত্বক বা ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করা হয়।
দাউদ রোগের লক্ষণ
বন্ধুরা, এখন আমরা জানবো দাউদ রোগের লক্ষণ গুলো কি কি। প্রথমে আপনাদের শরীরে
যখন দা উদ হবে তখন বোঝা যাবে যে কিছু লাল বর্ণের আকৃতি গোলাকার হয়ে উঠছে। তখনই
বুঝে নিতে হবে দাউদ রোগ শরীরে তৈরি হতে যাচ্ছে। তখনই গ্যাকোজিমা মলমটি ব্যবহার
করতে হবে। দাউদের জন্য ওষুধ হিসেবে বিভিন্ন অ্যান্টিফাঙ্গাল ছত্রাক রোগী ক্রিম
লম্বা বড়ির ব্যবহার করা হয়। একটি সাধারণ এন্টি সংগঠন ওষুধ যা দাউদের চিকিৎসা
কার্যকর হয়।
গুরুতর আক্রমণ বা শরীরে একাধিক অংশে দাউদ ছড়িয়ে পড়লে গ্রাইসি ও ফুলের মত মৌখিক
ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন হতে পারে। তবে যে কোন ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত, কারণ তিনি আপনার নির্দিষ্ট
অবস্থার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দিতে পারবেন।
মিকোনাজল এটি সাধারণ ক্রিম বা মলম হিসেবে পাওয়া যায় এবং তাকে সরাসরি প্রয়োগ
করা হয় যার ফলে দাউদ ভালো হয়। সাবিনা ফাইল এটিও একটি এন্টিফাঙ্গাল ওষুধ যা
দাউদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এবং বিভিন্ন ব্যান্ডের মলম হিসেবে পাওয়া যায়।
গাইসি ও ফুল ভিম এটি একটি মৌখিক এবং সাধারণ গুরুত্ব বা শরীরের একাধিক অংশে
ছড়িয়ে পড়া দাউদের চিকিৎসা ব্যবহার করা হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে সেবন করতে হতে
পারে এই ট্যাবলেটটি।
গ্যাকোজিমা মলম ব্যবহার
এখন আমরা জানবো গ্যাকোজিমা মলম ব্যবহার সম্পর্কে, দাউদ বা দাঁতের সবচেয়ে ভালো
মলম হলো গ্যাকোজিমা। গ্যাকোজিমা মলম এর ব্যবহার আমাদের জানতে হবে এই মলমটি
ব্যবহারের জন্য ক্ষতস্থানে প্রতিদিন তিন বেলা লাগাতে হবে। ক্ষতস্থানে আগে
চুলকিয়ে তারপরে সেই স্থানে গ্যাকোজিমা মলমটি লাগাতে হবে। তাহলে ধীরে ধীরে
দাউদ সেরে যাবে।
দাউদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যায়
এখন আমরা জানবো দাউদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যায় এ সম্পর্কে। হ্যাঁ, দাউদ হলে
আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার রাখতে সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে, কারণ এটি সংক্রমণ
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়া রোধ করে। তবে সাবান
ব্যবহারের পর অবশ্যই সেই অংশটি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। ক্ষতস্থানে
আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে, তাও একটি ছত্রাক জনিত রোগ যা উষ্ণতা ও আদ্রতা
পরিবেশে বেড়ে ওঠে তাই আক্রান্ত স্থানটি যতটা সম্ভব শুকনো রাখা দরকার।
এন্টি ব্যাকটেরিয়ার সাবান প্রতিদিন জল ও একটি এন্টি ব্যাকটেরিয়া সাবান দিয়ে
আক্রান্ত স্থান ধুয়ে নেওয়া দাউদের রোগীদের জন্য ভালো। বিস্তার রোগ আক্রান্ত
স্থান পরিষ্কার রাখলে ফুসকুড়ির বিস্তার রোধ করা যায় এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে
থাকে।
দাউদ হয় কেনো
আসলে দাউদ হয় কেনো এ কথাটি হয়তো আমরা কেউ জানিনা তাহলে চলুন এই কথার উত্তর জেনে
নেওয়া যাক। আসলে দাউদ বা দাদ একটি ছত্রাক জনিত ত্বকের রোগ যা ডামাটোফাইট নামক
বিশেষ ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ যা উষ্ণ
স্বেচ্ছায়তে পরিবেশে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। দাউদ সংক্রামিত ব্যক্তি বা প্রাণী ত্বকের
স্পর্শে এলে অথবা সংক্রমিত কোন বস্তুর মাধ্যমে এটি ছড়াতে পারে।
ছত্রাকের সংক্রমণ ডামাটোফাইট নামক ছত্রাক ত্বকের উপরের স্তরের সংক্রমণ
ঘটায়। সাথে পরিবেশে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হলে বা আদ্রতার কারণে ছত্রাক সহজে বেড়ে
যেতে পারে। সরাসরি যোগাযোগ সংক্রমিত ব্যক্তি বা প্রাণী ত্বকের সাথে সরাসরি ত্বকের
স্পর্শ আসলে দাউদ ছড়ায়। সংক্রমিত বস্তু দাউদের আক্রান্ত ব্যক্তি ব্যবহৃত
আন্তবার তোয়ালে বা অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র থেকে এটি ছড়াতে পারে। কখন দাউদ
হতে পারে গরম ও আদ্রতা আবহাওয়া ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকলে সংক্রমিত ব্যক্তির
কাছাকাছি থাকলে।
এর প্রতিকার
দাউদ হলে ত্বক পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে
সংক্রমিত ত্বকেরই স্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে
এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম মলম্বা বরি ব্যবহার করতে হতে পারে
প্রয়োজন নেই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে
দাউদ কত প্রকার হয়
দাউদ কত প্রকার হয় তা আমরা কেউ জানিনা চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক। দাউদ
সংক্রমণকে মূলত শরীরের কোন অংশ প্রভাবিত হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে কয়েক ভাগে
ভাগ করা হয় যেমনঃ টিমিয়া কপরিস শরীরের দাদ, তিনি এক্কেপিটিস মাথার দাদ,
টেনিয়া পেরিস অর্থ লিডের পা টিনিয়া কুরুইস কুচুকির দাদ বা ইস এবং
তিনিয়া আন গুইয়াম নখের দাদ।
টিনিয়াক করিস এটি শরীরের ত্বক ছড়া এবং সবচেয়ে সাধারণ ধরনের দাদ। টিনিয়া
কেপিটিস মাথার ত্বকের সংক্রমণ হলে তাকে টিনিয়া ক্যাপিতিস বলে। টিনিয়া পেডিস
পায়ের পাতায় ছত্রাক সংক্রমণ হলে তাকে টিনা পেডিস বা অ্য্যাথলিকের পা বলা হয়।
টিনিয়া করুরিস খুশকি ও সংলগ্ন অঞ্চলের ছত্রাক সংক্রমণে কি টিনিয়াক করিস বা
জকস বলা হয়। টিনিয়া আনগুই আমকে প্রভাবিত করে এমন দাদকে টিনিয়া আন গুইয়াম বা
এনিকো মাইক্রোসিস বলে।
কোন কোন কারণে দাউদ হয়
এখন আমরা জানবো কোন কোন কারণে দাউদ হয়। দাউদ বা দাদ একটি ছত্রাক জনিত তবে
সংক্রমণ যা ডমাটোফাইট নামক বিশেষ ধরনের ছত্রাকের কারণে হয়। এই সংক্রমণ গরম ও
স্বেচ্ছায় তে পরিবেশে বৃদ্ধি পায়, এবং ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব
আটসাট পোশাক পরা, সংক্রমিত ব্যক্তি বা বস্তুর স্পর্শে আসা, এবং রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হতে পারে।
দাউদ হওয়ার প্রধানত কারণ সমূহঃ
ছত্রাকের সংক্রমণ
গরম ও স্বেচ্ছায় তে পরিবেশ
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাব
সংক্রামিত বস্তুর ব্যবহার
আটসাট পোশাক
দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
অসংক্রামক রোগ
ছত্রাক সংক্রমণে এটি দাউদের মূল কারণ। ডামাডোফাইট নামক শত্রাকে ত্বকের
উপরিভাগের বংশগতি বৃদ্ধি করে সংক্রমণ ঘটায়। গরম ও স্বেচ্ছাচারীতির পরিবেশে গরম
এবং আদ্রা আবহাওয়া ছত্রাক জন্মানোর জন্য অনুকূল, তাই এই পরিবেশে দাউদের
প্রকল্প ভাব বেশি দেখা যায়। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাবে দাউদ হয়ে থাকে
অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করা এবং নিয়মিত ঘোষণা করা দাউদের ঝুঁকি বাড়ায়। শংকর
মাতৃব্যাশ বস্তুর ব্যাবহার সংক্রমাতৃক বস্তুর ব্যক্তির ব্যবহার জামাকাপড়,
তোয়ালে গামছা, চিরুনি ইত্যাদি ব্যবহার করলে দাউদ ছড়াতে পারে।
আটসাট পোশাক আটসাট পোশাক বা অন্তর বাস করলে ত্বকের বাতাস চলাফেরা করতে পারেনা
এবং ঘাম জমে যায় ছত্রাকের বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের দাউদ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
অসংক্রামক রোগ কিছু রোগ বা শারীরিক অবস্থা যেমন card 9 এর অভাব মানুষকে ছত্রাক
সংক্রমনের প্রতি আরো সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।
দাউদ শরীরে কতদিন থাকে
দাউদ শরীরে কতদিন থাকে তা আমরা প্রায় কেউ জানিনা। তা ওদের ক্ষেত্রে
ছত্রাকের স্কোর বা হাইবা শরীরে প্রবেশের পর এর শক্তি কাল সাধারণত ৩ থেকে ৫ দিন
থাকে। এরপর আক্রান্ত স্থানে ছোটলাট ফুসকুড়ি বা গোটা দেখা যায় যা পরবর্তীতে
বাড়তে থাকে এবং আইশ যুক্ত হয়ে বৃত্তাকার পরিবেশে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর
লাল বৃত্তাকার ফুসকুড়ি সবচেয়ে পরিচিত লবণ হলো ঋণ এর মত দেখতে লাল ফুসকুড়ি
হয়ে থাকে।
চুলকানি আক্রান্ত স্থানে খুব চুলকানি হতে পারে, সেই স্থানে গ্যাখোজিমা মলম
ব্যবহার করতে হবে। আইস আক্রান্ত স্থানটি বাদামী বনের আইশের পরিণত পূর্ণ হয় এবং
মাঝের ত্বক স্বাভাবিক দেখায়।
দাউদ এর জন্য কি ওষুধ খাব
দাউদ হলে আমরা অনেক কিছুই করে থাকি। দাউদ এর জন্য কি ওষুধ খাব এইটা আমরা অনেকেই
জানিনা, দাউদের জন্য ওষুধ হিসেবে বিভিন্ন এন্টিফাঙ্গাল ছত্রাক্ত্রবি ক্রিম মলম
বা বরি ব্যবহার করা হয়। মিকোনাজল একটি সাধারণ অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ দাদা ওদের
চিকিৎসা জন্য অত্যন্ত কার্যকর। গুরুতর সংক্রমণ বা শরীরের একাধিক অংশে ছড়িয়ে
পড়লে গাইসীয় ফুল ভিন এর মত মৌখিক ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে।
তবে যে কোন ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারি পরামর্শ
নেয়া উচিত, কারণ তিনি আপনার নির্দিষ্ট অবস্থার ওপর ভিত্তি করে সঠিক চিকিৎসার
পরামর্শ দিতে পারবেন। দাও তাহলে আপনি নারকেলের তেল ব্যবহার করতে পারবেন, এটি
দাউদ এবং অন্যান্য ছত্রাকের সংক্রমণের জন্য একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রক্রিয়া হতে
পারে, যা বিশেষ করে মাথার ত্বকের দাউদের ক্ষেত্রে।
দাউদ হলে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে হবে দাউদ ছড়ানো রোগ প্রতিরোধ করতে গরম জলও
ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড়, চাদর, গামছা, তোয়ালে ইত্যাদি ধোয়া উচিত। যাদের
দাউদের চিকিৎসা করে সংক্রমণের তীব্রতা এবং শরীরের কোন অংশে আক্রান্ত আরো বেড়ে
যাচ্ছে এর জন্য চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
শেষ কথাঃ দাউদ বা দাদ এর সবচেয়ে ভালো মলম - গ্যাকোজিমা মলম এর
কাজ
বন্ধুরা, এতক্ষণ আমরা জানলাম দাউদ বা দাদ এর সবচেয়ে ভালো মলম -
গ্যাকোজিমা মলম এর কাজ এ সম্পর্কে। আরো জানলাম গ্যাকোজিমা মলমের ব্যবহার,
দাউদ হলে কি সাবান ব্যবহার করতে হয়, দাউদ হয় কেন, দাউদ কত প্রকার হয়, কোন
কোন কারণে দাউদ হয়, দাউদ শরীরে কতদিন থাকে, তা ওদের জন্য কি ওষুধ খাব।
এতক্ষণ ধরে এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই পোস্টটি পড়ে আপনি
যদি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে কমেন্ট বক্সে গিয়ে একটা ভালো কমেন্ট করুন। এবং এই
পোস্টটি আপনাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন যাতে এই পোষ্টটি পড়ে আপনার
বন্ধুরা উপকৃত হতে পারে। পরবর্তী পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে স্বাগতম। ততক্ষণে
সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন, আসসালামু আলাইকুম।
নয়ন২৪ এ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url